‘একতাই বল’
- সারওয়ার মো: সাইফুল্লাহ্ খালেদ
- ২১ জানুয়ারি ২০২০, ২০:১২
সে পিতার গল্প আমরা সবাই জানি, যিনি দশ সন্তানের প্রত্যেকের হাতে একটি করে কাঠি দিয়ে বলেছিলেন, ‘এগুলো তোমরা ভাঙ্গো’। ছেলেরা অবলীলায় কাঠিগুলো ভেঙে ফেলল। এরপর আরো ১০টি কাঠি একত্রে আঁটি বেঁধে প্রত্যেক সন্তানের হাতে দিয়ে বললেন, ‘এবার এ আঁটিটি ভাঙ্গো, দেখি’। কোনো সন্তানই আঁটি ভাঙতে পারল না দেখে পিতা বললেন, ‘তোমরা ১০ জনে বিবাদ না করে ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ তোমাদের ভাঙতে পারবে না।’ এ গল্পটির এক জ্ঞানগর্ভ শিক্ষা, ‘একতাই বল’। এ বার্তা সার্বজনিক সত্য। বিবদমান ১০ ছেলে ঐক্যবদ্ধ হলে তাদের সবাই মেনে চলবে- এ তো সত্য কথা। ঠিক তেমনি গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকে ব্রিটিশরা ঐক্যবদ্ধভাবে নিজেরা ধরে রেখেছে বলেই দুনিয়া তাদের গণতন্ত্রকে গ্রহণ করেছে। তবে এর চেয়েও উত্তম গণতন্ত্র ইসলাম শিক্ষা দিয়েছে। কিন্তু মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্যের কারণে তা বর্তমান বিশ্বে পরাভূত। মুসলমানদের গণতন্ত্রে কূটিলতা বা ক্রুরতা নেই। যদিও ব্রিটিশ গণতন্ত্রে তা আছে। আজকের বাংলাদেশে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তীব্র কোন্দলের কারণে সমাজে সৃষ্টি হয়েছে বিভেদ। জাতিকে দুর্বল করে দিয়েছে তা। সে প্রসঙ্গই এ নিবন্ধের আলোচ্য।
বাংলাদেশ রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকালে জাতি ঐক্যবদ্ধ ছিল। ১৯৭০-এর নির্বাচনে ৬ দফা গণদাবিতে পরিণত হয়েছিল। দেশের মানুষ ৬ দফাকে গ্রহণ করেছিল; বিশেষ কোনো ব্যক্তি বা দলকে নয়। যা হোক, ১৯৭০ সালের ভোট নিয়ে আজ অবধি কেউ প্রশ্ন তোলেনি কিংবা তোলার প্রয়োজন মনে করেনি। পরে ৬ দফা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সে সময়ের দেশ ভেঙে যাবে তা জনগণ ভাবেনি। এ ছাড়া আজকে আওয়ামী লীগের যে শক্তি, তা স্বাধীন বাংলাদেশে ধীরে ধীরে অর্জিত হয়েছে। ১৯৭০-এর নির্বাচনপূর্ব বাংলাদেশে তাদের এত বেশি শক্তি ছিল না। মানুষের মনে বঞ্চনাবোধ ছিল, যে কারণে ৬ দফাকে তারা গ্রহণ করেছিল। মুজিব যে ঐতিহাসিক ভাষণ ১৯৭১-এর ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) দিয়েছেন অনুরূপ ভাষণ ১৯৭০-এর নির্বাচনের আগে দেয়া সম্ভব ছিল না। নির্বাচন পরবর্তী গণঐক্যকে তিনি কাজে লাগিয়েছেন।
এমনকি যারা সক্রিয়ভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তারাও স্বাধীন বাংলার বাস্তবতা মেনে নিয়েছে। সত্যিকার অর্থে, আওয়ামী লীগের নেতারা উদ্ভূত যখন ভারতে চলে গেলেন, তখন জনগণকে আর্মির আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে মুসলিম দলগুলো (যারা সত্তরের নির্বাচনে একটি আসনও পায়নি) এগিয়ে এসেছিল। যুদ্ধকালীন ভুক্তভোগী জনগোষ্ঠীর ওপর আওয়ামী লীগ তেমন ভরসা রাখতে পারছে না। স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে এই রেসকোর্সের ময়দানেই শেখ মুজিব বলেছিলেন, ‘এই যে, সাদা কালারওয়ালা লোকদের দেখছেন, এদের যদি আমি আমার গায়ের মাংসও কেটে টুকরো টুকরো করে দেই, তবু এদের আমি সন্তুষ্ট করতে পারব না।’ এই ‘সাদা কালারওয়ালা লোক’দের পাকিস্তান আমলে বৈষয়িক অভাব ছিল না তেমন।
বাংলাদেশ ভারতের সহায়তা ব্যতিরেকে এত শিগগির হয়তো স্বাধীন হতো না। এ কথাও সত্য, ভারতের সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব সমতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠেনি। জনগণ এটা আজ ভালোই বোঝে। আওয়ামী লীগের নেতারা সম্প্রতি এটা টের পেয়েছেন বলেই মনে হয়। এ কারণে একাধিক মন্ত্রী ভারত সফর বাতিল করেছেন। একুশ বছর পর দলটি চারবার ক্ষমতায় এসেছে এ দেশে। এর মধ্যে পরবর্তী তিনবার বিতর্কিত নির্বাচনে একটানা ক্ষমতায় এসে, নানা অপপ্রচার চালিয়ে ও অপসংস্কৃতির বিস্তার ঘটিয়ে নতুন প্রজন্ম এবং প্রবীণ প্রজন্মের কিছু সুবিধাভোগী লোককে বিভ্রান্ত করে প্রধানত ‘ভারতবান্ধব’ করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিশেষ করে স্বাধীনতার পর এসব সুবিধাভোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েছে। তবু আওয়ামী লীগের ভয় কাটেনি। আজ দলটি ক্ষমতায় এসে দেশকে ‘স্বাধীনতার পক্ষ ও বিপক্ষ’ শক্তির ধুয়া তুলে জনমনে ভয় ঢুকিয়ে বিভেদের ভিত্তিতে দেশকে জোরজবরদস্তি শাসন ও লুটপাট করতে এত অধীর কেন?
এ কাজে তাদের শক্তি জোগায় হিন্দুত্ববাদী ভারত এবং এর পশ্চিমা দোসররা। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দুই দেশ মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান অবরুদ্ধ কাশ্মির নিয়ে ভারতীয় নীতির ও নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) সমালোচনা করায় মালয়েশিয়া থেকে বিশ্বের বৃহত্তম পরিশোধিত পামঅয়েল আমদানিকারক দেশের মোদি সরকার তা আমদানি নিষিদ্ধ করেছে এবং তুরস্ক থেকে তেল ও ইস্পাতজাত পণ্য আমদানি বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে। পক্ষান্তরে, মিয়ানমার ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মুসলমানকে নির্যাতন করে দলে দলে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার পরও মিয়ানমারের সাথে বর্তমান সরকারের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অটুট; অধিকন্তু পেঁয়াজ ও চালের আমদানির জন্য মিয়ানমার দৌড়াতে হয়। অপর দিকে, দুনিয়ার তাবৎ দেশ ও সরকারের ‘মিত্র’ হলেও কোনো কোনো মুসলিম দেশ তাদের চক্ষুশূল। এ দিকে ভারতের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক অহি-নকুল।
জনগণের অনৈক্যের কারণে জাতি হিসেবে বাংলাদেশীরা আজও দুর্বল। এমনকি জাতীয় প্রশ্নেও আমরা ঐক্যবদ্ধ নই। পুরনো কাসুন্দি ঘেঁটে দেশে চলছে ব্লেইমগেম ও প্রতিশোধের রাজনীতি। জাতি আজ বহুধা বিভক্ত। তার সুযোগ নিচ্ছে দেশের অভ্যন্তরীণ এবং এর বহিস্থ অপশক্তি। বিদেশীরা দেশ থেকে অন্যায় সুবিধা আদায় করছে। দেশের জনগণের এমন দৃঢ় ঐক্য নেই যে, সরকার সাহসের সাথে অভ্যন্তরের ও বাইরের অপশক্তিকে মোকাবেলা করবে। তথ্যাভিজ্ঞ নাগরিকরা দেখছেন সরকার দলীয়স্বার্থে জনগণকে বিভক্ত করে রেখেছে এবং এ বিভেদকে প্রকট করে তুলছে। এমন তো হওয়ার কথা নয় যে, সরকারের পক্ষে যারা তারাই ‘দেশপ্রেমিক এবং স্বাধীনতার সপক্ষ শক্তি’ এবং এর বাইরের সবাই ‘স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি’! এর দেশ এখানকার সবার। জনগণের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি এবং সরকারবিরোধীদের ‘স্বাধীনতাবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে লাঠিপেটা করা বা মিথ্যা মামলা বা গণমামলা দিয়ে জেলে ভরা কোনো দেশপ্রেমিক সরকারের কাজ হতে পারে না।
আজ দেশে নির্বিচারে নানাবিধ অপরাধ সঙ্ঘটিত হচ্ছে। সরকারের সুবিধাভোগীরা দেশ লুটেপুটে খাচ্ছে। সরকার যাদের ‘স্বাধীনতাবিরোধী’ বলে আখ্যায়িত করছে, তাদের কারো বিরুদ্ধে দেশের সম্পদ লুটপাটের তেমন কোনো অভিযোগ নেই। সরকারদলীয় ‘স্বাধীনতার সপক্ষ শক্তি’ই সম্পদ লুটপাটে অগ্রণী। সরকারের ভেবে দেখা উচিত, রাজনৈতিক কারণে যাদের ‘স্বাধীনতাবিরোধী’ বলে দূরে ঠেলে দিয়ে হেয়প্রতিপন্ন করা হচ্ছে, তারা এসব অপরাধ দমনে সরকারের পদক্ষেপের পূর্ণ সহযোগিতা করতে পারে পরিবেশ অনুকূল পেলে। রবিঠাকুরের ভাষায়- ‘পশ্চাতে রেখেছ যারে, সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে।’ যাদের ‘স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি’ বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে তারা নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনে বর্তমান সরকারদলীয়দের পরাজিত করে কয়েকবার ক্ষমতায় এসেছে। বলা যায়, সে কারণেই বর্তমান সরকার নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন দিতে ভীত। সরকারবিরোধীরা নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় বলেই কি ‘স্বাধীনতাবিরোধী’ হয়ে গেল! দেশের প্রতি ইঞ্চি জমির ওপর প্রতিটি দল ও মানুষের অধিকার আছে। একটি নির্ভেজাল নির্বাচনে অংশ নিয়ে পছন্দের সরকার গঠনের সাংবিধানিক অধিকার আছে জনগণের। সে সুযোগ দেয়া হচ্ছে না বলেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে; দেশের ‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের’ প্রশ্নে নয়। রাজনৈতিক দল ও জনগণের সমান অধিকার নিশ্চিত করেই দেশকে অপরাধমুক্ত করা যাবে।
বর্তমান সরকার দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকের ধর্মবিশ্বাসের প্রতি ভ্রুকুটি করেছে। প্রকৃতার্থে ধার্মিক লোকদের ‘মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক’ বলে আখ্যায়িত করা হয়। একটি স্বাধীন দেশে যার যার ধর্মবিশ্বাসকে সবাই মান্য করে চলবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্ম অগ্রাধিকার পাবে- এটাই স্বাভাবিক ও প্রত্যাশিত। পৃথিবীর সব গণতান্ত্রিক দেশেই তা দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ, পাশ্চাত্যের সব দেশ এবং আমাদের নিকট প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। ‘ইসলামী গণতন্ত্রে’ ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ও জোরজবরদস্তি নেই; যেমনটা পাশ্চাত্য দেশ ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রে আছে। গণতান্ত্রিক দেশে ধর্মকে ভিত্তি করে রাজনৈতিক দল গড়ে উঠতে পারে। তবে তারা সংখ্যালঘুদের ধর্মকে যেমন কটাক্ষ করবে না, তেমনি সংখ্যালঘুদের খুশি করার জন্য ক্ষমতাসীন কোনো দল কর্তৃক নিগৃহীতও হবে না। ইসলামের শিক্ষা- ‘লাকুম দ্বীনুকুম ওয়ালিয়াদ্বীন’। এ দেশে সবই উল্টো। বর্তমানে দেশের সমাজ-সংস্কৃতি এমনভাবে রূপান্তরিত করা হচ্ছে যে, সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকের ধর্ম ও সংস্কৃতি আজ উপেক্ষিত। প্রধানত একটি প্রতিবেশী দেশের আনুকূল্য লাভের আশায় এ ধারার রাজনীতিকদের ‘মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক’ আখ্যায়িত করা হচ্ছে বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। এ অনৈক্যের ফাটল পথে দেশী-বিদেশী সুবিধাবাদী চক্র ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করছে। দেশে খুন, ধর্ষণ, গুম, মাদক সেবন ইত্যাদি মহামারী আকার ধারণ করেছে।
অতীতে দেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা এতটা প্রকট ছিল না। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মধ্যে মমত্ববোধ, বন্ধুত্ব, সহনশীলতা ও মূল্যবোধ চমৎকার ছিল। সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ ছিল সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ। মানুষ আজ হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে স্বীয় প্রতিদ্বন্দ্বীকে হত্যা এবং লাশ টুকরো টুকরো করে বস্তাবন্দী করে বা পেট কেটে ইট ভরে নদীতে ডুবিয়ে দিচ্ছে; শিশু কিংবা তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলছে। আজকের এ দেশ আমাদের অপরিচিত। ভারতীয় কণ্ঠশিল্পী শ্যামল মিত্রের কথায় আমাদের কাছে, ‘এ যেন অচেনা এক দেশ/এ যেন অজানা এক পথ/এ জানি কোথায় হবে শেষ।’ দলীয় সঙ্কীর্ণ স্বার্থ ভুলে জাতীয় স্বার্থে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদের সামনে এগোনো জরুরি। জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত না হলে ভবিষ্যতে আমাদের এ জাতি স্বাধীন সত্তা নিয়ে টিকে থাকতে পারবে কি না, এমন আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
সরকার বারবার বলছে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। অপরদিকে, টাকার জন্য দেশের ঐক্যকে বিকিয়ে দেয়া আত্মঘাতী। দেশের কল্যাণ ও সর্বজনমতের ঐক্যের খাতিরে সে উন্নয়নের সুফল সমভাবে সবাই ভোগ করছে কি না, তাও দেখতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন যদি সার্বিকভাবে কল্যাণ বয়ে আনতে না পারে, তাতে দেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। দেশের মানুষের মনে শান্তি ও স্বস্তি ফিরে আসবে না। দেশের সার্বিক মানুষের মনে বঞ্চনাবোধ, প্রতারণাবোধ, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, শৃঙ্খলাহীনতা ও বৈষম্যের হাহাকার বাড়বে। এমনটা পাকিস্তান আমলে হয়েছিল।
স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের টিকতে হলে গণমানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার মানসিকতা নিয়ে সরকারকে এগোতে হবে। অন্যথায়, বাংলাদেশ মনুষ্যসৃষ্ট বা প্রাকৃতিক যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলা ব্যর্থ হবে। দেশ যেন তেমন দুর্দিনের মুখোমুখি না হয় সে জন্য রাজনীতিতে ও সমাজে সব ধরনের বিভেদ ভুলে সরকারকে প্রস্তুত থাকতে হবে। দলমত নির্বিশেষে সবাই যেন এ দেশকে নিয়ে গর্ব করতে পারে সে জন্য সামাজিক ও রাজনৈতিক বাতাবরণ তৈরি করা জরুরি। রবিঠাকুরের ভাষায় বলতে হবে, ‘যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে-যাওয়া গীতি,/ অশ্র“বাষ্প সুদূরে মিলাক।’ এ লক্ষ্যে আমাদের সর্বান্তকরণে বিশ্বাস করতে হবে, বিভেদ নয়, ‘একতাই বল’। পেছনের দিকে তাকিয়ে জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি না করে এ বিশ্বাস সম্বল করে সরকারকে সামনের দিকেই তাকাতে হবে।
লেখক : অর্থনীতির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও ভাইস প্রিন্সিপাল, কুমিল্লা মহিলা সরকারি কলেজ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা