২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

বাজেট বিষয়ে বাতচিত

বাজেট বিষয়ে বাতচিত - ছবি : সংগ্রহ

অর্ধেক পৃথিবী বিজয়ী বীর আলেকজান্ডার (খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫৬-৩২৩) তার সহযোদ্ধা সেলুকাসকে বলেছিলেন, ‘কী বিচিত্র এই দেশ, সেলুকাস!’ তিনি বাংলায় এসেছিলেন বলে কোনো ঐতিহাসিক প্রমাণ না থাকলেও জনশ্র“তি আছে, বাংলার রূপ দেখেই তিনি এই বিস্ময়াভিভূত উক্তি করেছিলেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম গর্বভরে গেয়েছেন- ‘আমার শ্যাম্লা বরণ বাঙলা মায়ের/ রূপ দেখে যা, আয়রে আয়।/
গিরি-দরি-বনে-মাঠে-প্রান্তরে রূপ ছাপিয়ে যায়।/ ধানের ক্ষেতে বনের ফাঁকে/ দেখে যা মোর কালো মা’কে,/ ধূলিরাঙা পথের বাঁকে বৈরাগিনী বীণ বাজায়।’ বাংলাদেশের মাটি এতই উর্বর যে, তা খুঁচিয়ে শস্যের বীজ বুনে দিলেই ফসল ফলে, কায়িক পরিশ্রমের বেশি প্রয়োজন হয় না। এখানে জীবন বড় সহজ। তাই এ অঞ্চলের মানুষ আয়েশি প্রকৃতির; কষ্টসহিষ্ণু নয়। এ কারণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালের বার্মা অঞ্চলের ফিল্ডমার্শাল উইলিয়াম জোসেফ স্লিম বলতেন, ‘এ দেশের মানুষ যুদ্ধক্ষেত্রে পারদর্শিতা দেখানোর মতো দৈহিক সাহসের অধিকারী নয়।’ তবে এই বাংলাকে শস্য-শ্যামল করে গড়ে তুলতে এর কঠোর শ্রমজীবী সাহসী মানুষের অবদান অনস্বীকার্য। নজরুলের ভাষায়, ‘শ্রমিকের সেবা আছে তোমাদের অণু পরমাণু ঘিরে,/ ফসল না যদি ফলাতাম, খেতে টাকা গিলে, নোট ছিঁড়ে?’
কালের বিবর্তনে বাংলার মানুষ ও তাদের পেশা ধীরে ধীরে বদলে যেতে শুরু করেছে। তবু গ্রামীণ এবং শহরের অর্থনৈতিক জীবনে এখনো সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের অবদান মুখ্য। বাংলাদেশ আজ স্বাধীন। প্রতি বছরই বাজেট হয়, তবে দেশের সাধারণ মানুষের কপালে শিকেয় ছিঁড়ে না। ‘সাত ভূতে’ বাজেট বরাদ্দের টাকা লুটেপুটে খায়। উজানের দেশ একতরফাভাবে নদীর পানি প্রত্যাহার করেছে। স্বাধীনতা-উত্তর সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা বাংলাদেশে মরুকরণের প্রক্রিয়া চলছে।

১৯৮০-এর দশকের প্রথম দিকে ঢাকা কলেজে শিক্ষকতা করছিলাম। তখন সিগারেট সেবনে বেশি অভ্যস্ত ছিলাম। কিন্তু প্যাকেট ভর্তি সিগারেট কিনতাম না। কলেজের গেটের পাশে এক পান-সিগারেট বিক্রেতা কাঠের একটি ছোট আলমারি নিয়ে বসত। তার কাছ থেকে প্রতিদিন দিনে বারবার গেটে এসে একটি করে স্টার সিগারেট কিনে দোকানের জ্বালানো দড়ি থেকে সিগারেটটি জ্বালিয়ে নিতাম। তখন স্টার সিগারেট ছিল ফিল্টারলেস। একদিন ১৫ পয়সার একটি সিগারেট ২২ পয়সা দিয়ে কিনতে হলো। কারণ জিজ্ঞেস করলে দোকানি বলল- ‘স্যার, বাজেটে সিগারেটের ওপর ট্যাক্স বসাইছে। সিগারেটের দাম বাড়ছে।’ সেটা ছিল জুন মাস। জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে বাজেট কার্যকর হয়। ২২ পয়সা করেই পুরো জুন মাস স্টার সিগারেট কিনলাম। সিগারেটের ওপর যে হারে কর বসেছিল, তাতে সিগারেটের দাম স্টিকপ্রতি এক পয়সা করে বাড়ার কথা। অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, জুলাই মাসের প্রথম থেকে একই বিক্রেতা আমার কাছে প্রতি স্টিক স্টার সিগারেট ১৫ পয়সা করে বিক্রি করছে। বললাম, ‘সিগারেটের দাম এক পয়সা করে বাড়ছে। তুমি একটার দাম ১৫ পয়সা রাখছো কেন?’ সে বলল, ‘না স্যার। বাজেটের পর সিগারেটের দাম কমছে।’ ব্যাপারটি আমার কাছে কৌতুকপ্রদ মনে হলো।

বাজেট মওসুমের আগে পরে কারণে-অকারণে প্রায় সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের হরহামেশাই দেখা যায়। এবার দেখলাম, বাজেট ঘোষণার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই জুন মাসে ১০০ টাকা কেজি দরের আদা ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও বেড়েছে। তাই আমার ধারণা, এ দেশে ‘বাজেট’ মানে কিছু ব্যবসায়ীর আর্থিক সুযোগ-সুবিধা লাভের ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়া। এ ধারণা অনেকের কাছেই বেখাপ্পা লাগতে পারে। তবে বাজেট নিয়ে এ রকমই হলো সাধারণ ভোক্তার অভিজ্ঞতা। বাজেট এ দেশে জুজুর ভয়। বাজেটের আগে পরে বাজারে বাজেট মেনে কেউ চলে না। ক্ষেত্রবিশেষে প্রাকৃতিক দৈব দুর্যোগ, পণ্য উৎপাদনের উঠতি-পড়তি, বাজারে পণ্য সরবরাহের খরচের তারতম্য এবং এ জাতীয় অন্য কারণেও বাজারে পণ্যমূল্য ওঠানামা করে, যা বাজেটের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তবে বাজেটকালে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি করা সম্পূর্ণ খামখেয়ালিপনা।

প্রতি সরকারের আমলেই প্রতি বছর বাজেট প্রণীত হয়। আজকাল ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বদৌলতে এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মাঝে তুমুল হইচই এবং প্রিন্ট মিডিয়াতেও ব্যাপক আলোচনা-পর্যালোচনার ঝড় বয়ে যায়। আগে এতটা হতো না। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের ৫.২৩ ট্রিলিয়ন টাকার বাজেটের ওপর মন্তব্য করতে গিয়ে বর্ষীয়ান অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলি খান মন্তব্য করেছেন, ‘বাংলাদেশে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ৮-১০ শতাংশে উন্নীত করা যাবে না। কারণ তা করার জন্য যে পরিবেশের দরকার, এ দেশে তা নেই।’ তিনি আরেকটি মন্তব্য করেছেন, ‘বাজেট উপস্থাপনের ১৫ দিনের মধ্যেই পাস হয়ে যাবে। এর মধ্যে বাজেটের সাথে যেসব দলিল সন্নিবেশিত করা হয়েছে, তা এই ১৫ দিনের মধ্যে কোনো সংসদ সদস্যই পড়ে শেষ করতে পারবেন না। সুতরাং যথেষ্ট আলোচনা ব্যতিরেকেই বাজেট পাস হয়ে যাবে।’ টেলিভিশনে প্রচারিত, পরিবেশসংক্রান্ত ড. খানের মন্তব্যটি তিনি অবশ্য বিস্তারিত বলেননি। দুটো মন্তব্যই আমার কছে খুব প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে। প্রথমত পরিবেশ যে নেই তা একান্তই সত্য কথা। যেভাবে ব্যাংক লুট, প্রশাসনে দুর্নীতি, সামাজিক অরাজকতার সাথে বৈষম্যমূলক উন্নয়নের পাগলা ঘোড়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছে; তাতে করে দেশে উন্নয়নের পরিবেশ আছে বলে কেউ দাবি করবেন না। আর পাহাড়সম উচ্চ, বাজেটের দলিল পড়ে সব সংসদ সদস্য সংসদে বাজেট আলোচনা করেন, এ কথা কোনো দিনই মনে হয়নি। বাজেট-দলিল পড়ার তাদের সময় কই? ব্যক্তিগত সুবিধা হাসিলের পেছনেই তো তাদের অনেকের বেশির ভাগ সময় যায়। ড. খানও বাজেট-দলিল না পড়েই বাজেট বক্তৃতাকে ভিত্তি করে অভিজ্ঞতালব্ধ যে ত্বরিত মন্তব্য করেছেন তাতে যে নির্ভেজাল সত্য আছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এ মন্তব্য করতে বাজেট-দলিল পড়া লাগে না, বাজেট বক্তৃতা এবং নিজ অভিজ্ঞতাই যথেষ্ট।

শোনা যাচ্ছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার ‘কড়া’ ব্যবস্থা নিচ্ছে। ভোট দুর্নীতি করে যে দুর্নীতিবাজ রাজনীতিকেরা ক্ষমতা দখল করেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের সরকার কী ব্যবস্থা নেবে তা কারো বোধগম্য নয়। যে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসনের কাঁধে ভর করে সরকার ক্ষমতায় এসেছে এবং যার ওপর সরকার সর্ববিষয়ে নির্ভরশীল, সে প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত করার সক্ষমতাই বা সে সরকার কতটুকু রাখে? ক্ষমতাসীন রাজনীতিকদের ও প্রশাসনের দুর্নীতি এতটাই সর্বগ্রাসী যে তা নিবারণ করা কতটা দুষ্কর, তা একটি পুরনো গল্প দিয়ে ব্যাখ্যা করছি। এক লাচার মনিব চোর টাইপের এক চাকরকে নিয়ে মহাফ্যাসাদে পড়েছেন। বাজারঘাট করা থেকে শুরু করে যে কাজেই তার হাতে টাকা দেন, সে চুরি করে। একদিন তাকে জব্দ করার জন্য তিনি একটি ফন্দি আঁটলেন। সেকালে এক পয়সায় পাঁচটি বাতাসা পাওয়া যেত। সেটা মনিব জানতেন। চাকরের হাতে একটি পয়সা দিয়ে বললেন, ‘যা। এক পয়সার বাতাসা নিয়ে আয়।’ চাকর কাগজে মোড়ানো এক পয়সার বাতাসা এনে মনিবের হাতে দিলো। কাগজের মোড়ক খুলে মনিব গুনে দেখেন ঠিক পাঁচটি আস্ত বাতাসা। চাকরকে ঠিক করা গেছে ভেবে মনিব আনন্দে লাফিয়ে উঠে বললেন, ‘এবার! এক পয়সায় পাঁচ বাতাসা। তোর চুরি করা হলো না।’ চাকর মুচকি হেসে বলল, ‘এইবারও আমারে ঠগাইতে পারেন নাই। চুরি ঠিকই করছি।’ মনিব অবাক হয়ে জানতে চাইলেন, ‘তা কেমনে!’ চাকর বলল, “বাতাসা ক’ডা চাটতে চাটতে আনছি।” মনিব বিরক্ত হয়ে বাতাসার পোঁটলাটা চাকরের হাতে দিয়ে বললেন, ‘এগুলো কে খাবে? নে তুই-ই খা।’ চাকর হাসিমুখে বলল, ‘এইবার আমার ষোলআনাই লাভ।’ মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, ‘চাটার দল চাটতে চাটতে সব নিয়ে গেল’; এও তেমনই আর কি। অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাস্তবায়নে টাকা খরচ, প্রকল্প বাস্তবায়নে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার, পাঁচ বছরের প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ১০ বছরে প্রলম্বিত, সিমেন্টের বদলে এঁটেল মাটি ব্যবহার, বছর বছর ভাঙা রাস্তা পুনঃপুনঃ মেরামত করে- এমন হাজারো উপায়ে রাজনীতিক ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত কর প্রদানকারী দেশের লাচার মনিব, জনগণকে ঠকিয়ে ‘চাটতে চাটতে ষোলআনাই লাভ’ করছেন।

এবারো দেখা গেল, বাজেটে বৈদেশিক ঋণনির্ভরতা আছে। মনে পড়ে, বিএনপি সরকারের অর্থমন্ত্রী মরহুম সাইফুর রহমান একবার বলেছিলেন, ‘যখন বিদেশ সফরে যাওয়ার জন্য প্লেনে উঠি, তখন আমার চোখে পানি এসে যায়। আমি জানি, ভিক্ষা করতে বিদেশ যাচ্ছি।’ এর আগে পরে বহু অর্থমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী ‘ভিক্ষা’ করতে বিদেশ গেছেন। কিন্তু এমন করুণ অনুভূতির কথা করো মুখে তো শুনিনি। বরং বিদেশ থেকে ‘ভিক্ষা’ আনতে পারাকে তারা নিজেদের ক্রেডিট বলে অনেক ক্ষেত্রেই দাবি করেছেন।

এবারের বাজেটের ঘাটতি ব্যয় ধরা হয়েছে ১.৪৫ ট্রিলিয়ন টাকা, যা মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের শতকরা ৫ ভাগ। এর ৭৭৩.৬৩ বিলিয়ন টাকা সংগ্রহ করা হবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এবং ৬৮০.১৬ বিলিয়ন টাকা সংগ্রহ করা হবে বহিস্থ উৎস থেকে। বর্তমানে চীন ও রাশিয়া থেকে ব্যাপক হারে ঋণ নেয়ার ফলে বাংলাদেশে আজ যে শিশু জন্ম নিলো তার মাথায়ও বৈদেশিক ঋণের বোঝা প্রায় ২০৪.৮৫ মার্কিন ডলার, যা টাকার অঙ্কে প্রায় ১৭২৬৫.১৮ হাজার টাকা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন শিশু-সমাবেশে প্রায়ই সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘ছাড়পত্র’ শিরোনামের কবিতার ক’টি চরণ- ‘চলে যাব- তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ/ প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল,/ এ বিশ্বকে এ-শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি-/ নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার’ উচ্চকণ্ঠে উচ্চারণ করে থাকেন। বাজেটে ‘নবজাতকের’ মাথায় যে ঋণের বোঝা চাপানো হলো, তাতে শিশুরা গাইতে পারে, ‘এই কী গো শেষ দান/ ঋণের বোঝা চাপিয়ে গেলে!’

আজকের রাজনীতির খলনায়কেরা ক্ষমতায় টিকে থাকতে সব কিছুই করছেন। বাজেটকেও অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছেন। আজকে দেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি লাভের সুযোগ না থাকায় ধনী লোকের সন্তানেরা বিদেশে লেখাপড়া শিখছে এবং ধনী লোকেরা বিদেশে স্বাস্থ্যসেবা নিচ্ছে। রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে সরকার প্রধান ও সরকারদলীয় লোকেরা মামুলি হেলথ চেকআপের জন্যও দেশের বাইরে ছোটেন। অর্থাৎ, যে দেশের উন্নয়ন নিয়ে তারা গর্ব করেন, সে দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার প্রতি তাদের আস্থা নেই। যে জনগণের করের টাকায় রাষ্ট্র চলে, তাদের সুশিক্ষা ও সুচিকিৎসার ব্যাপারে তারা উদাসীন কেন? এ অমানবিক শাসনব্যবস্থা মুখ বুজে সহ্য করতে দেশের জনগণকে বাধ্য করা হচ্ছে। রাষ্ট্রনায়ক খলিফা ওমর রা: বলতেন, ‘যদি সুদূর দজলার তীরে একটি বকরির বাচ্চাও না খেয়ে মারা যায়, তবে আমার আশঙ্কা হয়, না জানি এ সম্বন্ধে আল্লাহ তায়ালা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।’ (দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম, ২০০০, পৃষ্ঠা: ৫১১)। তিনি বলতেন, ‘যদি ফোরাতের তীরে একটি ছাগলের বাচ্চাও হারিয়ে যায় তবে আমার ভয় হয়, হয়তো আল্লাহ তায়ালা আমাকে সে সম্বন্ধে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।’ (কানজুল উম্মাল, ৫ম খণ্ড)। আমাদের রাষ্ট্র পরিচালকেরা যদি পরকালে বিশ্বাসী হয়ে থাকেন এবং এসব উক্তির তাৎপর্য অনুধাবন করেন, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাজেট প্রণয়ন করেন তবে ইহকাল ও পরকালে নিজেরাও উপকৃত হবেন এবং যে কোটি কোটি লোকের শাসনভার তারা হাতে নিয়েছেন, তারাও উপকৃত হবেন।

লেখক : অর্থনীতির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক,
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার


আরো সংবাদ



premium cement
ড. ইউনূসের ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে যা বললেন তার আইনজীবী একনেকে ৮৪২৫ কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যুবক নিহত জলবায়ু সহনশীল মৎস্যচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পদক্ষেপ নেয়া হবে : আব্দুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের সেতু ভাঙ্গার প্রভাব পড়বে বিশ্বজুড়ে! নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে হারল্যানের পণ্য কিনে লাখপতি হলেন ফাহিম-উর্বানা দম্পতি যাদের ফিতরা দেয়া যায় না ১৭ দিনের ছুটি পাচ্ছে জবি শিক্ষার্থীরা বেলাবতে অটোরিকশা উল্টে কাঠমিস্ত্রি নিহত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন

সকল