২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মধ্যপ্রাচ্যে ফের যুদ্ধের ঘনঘটা

- ছবি : সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যে আবার যুদ্ধের হুঙ্কার শোনা যাচ্ছে। সাজানো হচ্ছে যুদ্ধবিমান বহনকারী যুদ্ধজাহাজ। ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। ইরানের কথিত সম্ভাব্য হামলার হুমকি রুখতে এবং তেহরানকে ভীতি প্রদর্শনের লক্ষ্যে পরমাণু বিমান মধ্যপ্রাচ্যের ঘাঁটিতে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে কাতারের আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন কৌশলগত বি৫২ বোমারু বিমান অবতরণ করেছে। ইরানকে হুমকি দিতে পাঠানো মার্কিন এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার আব্রাহাম লিংকন ইতোমধ্যে মিসরের সুয়েজ খাল অতিক্রম করেছে। চারদিক থেকে ইরানকে ঘিরে ফেলা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেছেন, এই এয়ারক্রাফট ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি বার্তা। মার্কিন নৌবাহিনীর বাহরাইনভিত্তিক নৌবহরের কমান্ডার ভাইস অ্যাডমিরাল জিমমালয় জানিয়েছেন, সম্ভাব্য ইরানি হামলার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রণতরী নিয়ে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।

তবে ইরান সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে একটিমাত্র ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আমেরিকার নৌ ফ্লিটকে ধ্বংস করে দেয়া যাবে। এদিকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের রণতরী মোতায়েন নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই পারমাণবিক চুক্তি থেকে আংশিক বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেছেন, ইরান এই চুক্তি থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে না গেলেও চুক্তির কিছু শর্ত এখন থেকে আর মানবে না। আমেরিকা ও তেহরানের মধ্যে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে।

ইরানের শক্তিশালী রেভ্যুলুশনারি গার্ড বাহিনীও জানিয়ে দিয়েছে, আমেরিকার সাথে কোনো সমঝোতায় যাবে না ইরান। উদারপন্থী হিসেবে পরিচিত ইরানের প্রিসেডেন্ট হাসান রুহানি ও তার মিত্ররা প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনায় বসার ব্যাপারে নমনীয় থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী মনোভাবের কারণে এখন যে আর সে পরিস্থিতি নেই তা বলাই বাহুল্য। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ ইরানের হুমকির জবাবে তারা এমন ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু কী সেই হুমকি সে ব্যাপারে বিস্তারিতভাবে তারা কিছু জানায়নি। উল্টো আমেরিকার এমন অভিযোগকে ইরান ‘ননসেন্স’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। ইরান বলেছে, তাদের ভীতি প্রদর্শনের জন্য এটা হলো আমেরিকার মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ। এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে একটি প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম তথা আকাশপথে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা পাঠাচ্ছে আমেরিকা।

আগে থেকেই পারস্য উপসাগরে মোতায়েন রয়েছে ইউএসএস আব্রাহাম লিংকন। যুদ্ধবিমান বহনকারী এ বিমানের সাথে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি যুদ্ধবিমান বহনকারী জাহাজ- ইউএসএস আরলিংটন। এতে থাকছে উভচর যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধযান। পেন্টাগন বলেছে, তাদের কাতারের ঘাঁটিতে ইতোমধ্যে ইউএসবি-৫২ যুদ্ধবিমান পৌঁছে গেছে। অর্থাৎ ইরানকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলেছে আমেরিকা। এদিকে, এই নিবন্ধ লিখতে গিয়ে সর্বশেষ খবরে জানা গেছে,্ ইরানের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যে এক লাখ ২০ হাজার সৈন্য মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে হালনাগাদ করা সামরিক পরিকল্পনা হস্তান্তর করেছেন এক সিনিয়র প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা। ওই পরিকল্পনায় ইরানের হামলা ঠেকাতে মধ্যপ্রাচ্যে এক লাখ ২০ হাজার সেনা প্রেরণ বা পরমাণু কর্মসূচি জোরদার করার প্রস্তাব রয়েছে। ১৩ মে মার্কিন প্রশাসনের অজ্ঞাত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস এই তথ্য জানিয়েছে।

অজ্ঞাত মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ৯ মে ট্রাম্পের সিনিয়র নিরাপত্তা সহযোগীদের বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহান ওই পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রাম্পের উপদেষ্টা জন বোল্টন পুনর্বিবেচনার আদেশটি দিয়েছেন। তারা ইরানে সরাসরি আক্রমণের কথা বলেননি। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জন বোল্টন, সিআইএ’র পরিচালক জিনাহ্যাসপেল, ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক ড্যান কুটস এবং জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড। নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি হোয়াইট হাউজ। পেন্টাগনও কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আফগানিস্তান ও সিরিয়া থেকে সেনা ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছেন তাই তিনিই আবার মধ্যপ্রাচ্যে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করবেন কি না তা এখনও নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। ইরানের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন চান কি না জানতে চাইলে ১৩ মে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন,‘ কী হয় দেখব। যদি ইরান কিছু করে তা হবে খুব বড় ভুল।

আমরা জানি, প্রায় দুই বছর আলোচনার পর প্রেসিডেন্ট ওবামার আমলে ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় ইরানের সাথে ছয় বিশ্বশক্তির পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন ও ফ্রান্স এবং জার্মানির সাথে ইরান ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। ইরান শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যেতে পারবে এই মর্মে চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক এনার্জি এজেন্সি নিয়মিত পরিদর্শন করে সবসময় ইরান চুক্তির সব শর্ত সর্বতোভাবে মেনে চলছে বলে রিপোর্ট দিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে চুক্তি স্বাক্ষরকারী অন্য পাঁচটি দেশকে অবাক করে দিয়ে এবং তাদের সাথে কোনো আলোচনা না করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একতরফাভাবে ২০১৭ সালে ছয় জাতি গোষ্ঠীর সঙ্গে করা ইরান চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। এর পরই তিনি ইরানের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করেন।

সম্প্রতি তিনি ইরানের সব ধরনের তেল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। আমেরিকা চুক্তি থেকে বের হয়ে আসার পরও পাঁচ বিশ্বশক্তি চুক্তিতে অটল থাকার ঘোষণা দেয়। তারা মার্কিন অবরোধ সত্ত্বেও ইরান থেকে তের আমদানি বন্ধ করবে না বলে জানিয়ে দেয়। কিন্তু পশ্চিমা এই দেশগুলো ইরানের সঙ্গে জোরালো কোনো ভূমিকাও পালন করেনি। এই পরিস্থিতিতে ইরান ৮ মে ঘোষণা করে চুক্তির কোনো কোনো অংশ না মেনে তারা তাদের পরমাণু কর্মসূচি এগিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়া ইরান বলেছে, চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশগুলো যদি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ইরানকে সাহায্য না করে তাহলে তারা চুক্তির শর্তাবলির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এই পরিস্থিতিতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমেরিকা এখন ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে।

তবে মার্কিন হুমকিতে মনে হয় ইরান ভীত নয়। দেশটির আধা সরকারি বার্তা সংস্থা ইনসাফে দেশটির একজন সিনিয়র ধর্মীয় নেতা ইউসেফ তাবাতাবাই নেজাদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ফ্লিটকে ধ্বংস করে দিতে পারে ইরানের একটি মাত্র ক্ষেপণাস্ত্র। সম্প্রতি পেন্টাগন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সাথে সঙ্ঘাত চায় না। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার শক্তি ও স্বার্থ রক্ষায় ওয়াশিংটন প্রস্তুত রয়েছে। পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানের শাসকগোষ্ঠীর কর্মকাণ্ড ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে আরো বলা হয়, সম্ভাব্য যেকোনো হামলা মোকাবেলার জন্য মোতায়েন করা হচ্ছে প্যাট্রিয়ট সিস্টেম। এর মাধ্যমে ব্যাপক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও অ্যাডভান্সড যুদ্ধবিমানকে কাউন্টার দেয়া হয়। কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়াকে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েনের জন্য ইতোমধ্যে যাত্রা শুরু করেছে ইউএসএস আরলিংটন। এই পরিস্থিতিতে বিবিসির প্রতিরক্ষা ও কূটনৈতিক প্রতিনিধি জোনাথন মারকাস বলেছেন, পারস্য উপসাগরে যুদ্ধবিমান বহনকারী যুদ্ধজাহাজ ও তাদের ‘ব্যাটেল গ্রুপ’ পাঠানো কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। কিন্তু বর্তমানে দুই পক্ষের মধ্যে যে উত্তেজনা বিরাজ করছে তাতে যেকোনো দুর্ঘটনাবশত বা পরিকল্পনা অনুযায়ী যুদ্ধ লেগে যেতে পারে।

একসময় মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অত্যন্ত বন্ধুরাষ্ট্র ছিল ইরান। কিন্তু ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে আমেরিকার বন্ধু রেজা শাহ পাহলভীকে উৎখাতের পর থেকে ইরানের সাথে আমেরিকার সাপে নেউলে সম্পর্ক। আমেরিকা জর্জ ডব্লিউ বুশের আমলে মিথ্যা অজুহাতে ২০০৩ সালে ইরাকে আগ্রাসন চালায়। সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতাচ্যুত করে সরাসরি আমেরিকার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। ইরাক যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। ইরানের সাথে ৭৯ সালে আমেরিকার যে শত্রুতার সৃষ্টি হয় তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিনিদের নিজেদের ভিটেমাটি ছাড়া করছে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল প্রতিষ্ঠায় সর্বতোভাবে সহায়তা করে।

ইসরাইল এখন মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র পরমাণু শক্তির অধিকারী দেশ। আমেরিকা এবং ইসরাইল যৌথভাবে ইরানকে ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচিকে তারা সহ্য করতে পারছে না। তাই যেকোনো অজুহাতে ইরানে আগ্রাসন চালানো তাদের লক্ষ্য। কিন্তু আমেরিকাকে মনে রাখতে হবে ইরান কিন্তু ২০০৩ সালের ইরাক নয়। হামলা চালিয়ে ইরাককে ধ্বংস করা গেলেও ইরানে সে ধরনের আগ্রাসন আমেরিকার জন্যও বিপদ ডেকে আনতে পারে। ইরান মধ্যপ্রাচ্যে এখন শক্তিধর ও প্রভাবশালী একটি দেশ। আমেরিকাসহ সাম্রাজ্যবাদীরা ইরানের পরমাণু শক্তির বিরোধিতা করলেও আমেরিকার হুঙ্কারে ইরান কাবু হওয়ার মতো দেশ নয়।

ইরাক ও আফগান যুদ্ধের কারণে আমেরিকারও বিশাল ক্ষতি হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে যেমন আমেরিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে- তেমনি আমেরিকার অনেক সৈন্যও ইরাক-আফগান যুদ্ধে নিহত ও চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছে। এখন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র তালেবানদের সাথে বৈঠকের পর বৈঠকে বসছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে সহজেই আমেরিকা ইরানে আক্রমণ করে বসবে বলে মনে হয় না। দুষ্ট লোকেরা তো মনে করছে এটা আমেরিকার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কৌশল। তিনি যুদ্ধের ডামাডোল বাজিয়ে অভিশংসনের মাধ্যমে তার গদিচ্যুতির যে দাবি উঠছে তা থেকে যুক্তরাষ্ট্রবাসীর দৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার কৌশল এঁটেছেন। এ জন্য হয়তো শেষ পর্যন্ত তিনি যুদ্ধে জড়িয়েও পড়তে পারেন। ইরান আক্রমণ করে যদি একঢিলে দুই পাখি মারা যায়- ইমপিচমেন্ট থেকে বাঁচা যায় এবং দ্বিতীয় মেয়াদে আবার ক্ষমতায় আসার টিকিট পাওয়া যায়- তার জন্য হয়তো তিনি ইরান আক্রমণ করে বসতে পারেন অথবা ইরানের সাথে যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলতে পারেন। ট্রাম্পের কৌশল ও ইরানের অবস্থান শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সে জন্য আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করে।


আরো সংবাদ



premium cement