২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

‘সার্বভৌমত্ব’ নিয়ে বিতর্ক

- ছবি : সংগৃহীত

‘সার্বভৌমত্ব’ যেকোনো রাষ্ট্র বা জনগণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। সার্বভৌমত্ব নিয়ে আলোচনা করার উদ্দেশ্য হলো- এ বিষয়ে মুসলিমদের মধ্যে বড় ধরনের যে ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে; তা দূর করা। ইস্যুটি নিয়ে এখনো নানাভাবে আলোচনা হচ্ছে। কিছুদিন আগে বিবিসির এক সংলাপে বাংলাদেশের একটি সংবাদপত্রের সম্পাদক মন্তব্য করেছেন : ‘গণতন্ত্র বলতে জনগণের সার্বভৌমত্ব বোঝায় এবং যেসব লোক আল্লাহর সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী, তারা যতদিন বাংলাদেশের রাজনীতিতে জড়িত থাকবে, ততদিন এ দেশে গণতন্ত্রের কোনো ভবিষ্যৎ নেই।’ অনুষ্ঠানটিতে এ কথার জবাব দেয়ার মতো কেউ ছিলেন না।

সার্বভৌমত্বের বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভেবেচিন্তে দেখতে হবে। গভীরে গিয়ে এর বিশ্লেষণ করতে হবে। বলা হয়ে থাকে, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট একজন পুরুষকে মহিলা এবং একজন মহিলাকে পুরুষে রূপান্তর করা ছাড়া আর সবই করতে পারে। এটি আসলে শুধু মানুষের কর্তৃত্বের সীমাবদ্ধতাকে ব্যাখ্যা করে। মুসলিমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, মানবীয় কর্তৃত্ব দিয়ে প্রাকৃতিক আইন পরিবর্তন করা যায় না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আমরা জোর করে সূর্যকে পশ্চিম দিকে উদয় এবং পূর্বদিকে অস্ত যাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারি না। এ ধরনের আরো উদাহরণ দেয়া যেতে পারে।

ইসলামের সারকথা হচ্ছে, আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ, অর্থাৎ আল্লাহর নির্দেশের প্রতি সবসময় অনুগত এবং বিশ্বস্ত থাকা। কারো কারো মতে, এটি হচ্ছে মানুষের কর্তৃত্বের সীমাবদ্ধতা।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে ‘জনগণের সার্বভৌমত্ব’ সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি। বরং বলা হয়েছে, সব মানুষ জন্মগতভাবে সমান এবং সৃষ্টিকর্তা তাদের কতগুলো সুনির্দিষ্ট অধিকার দিয়েছেন যা হরণ করা যায় না। সৃষ্টিকর্তার দেয়া এ অধিকার এমনকি জনগণের ভোটের মাধ্যমেও বাতিল করা যায় না। তাই এ ধরনের অধিকার জনগণের সার্বভৌমত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধতা এনে দিয়েছে, এমনকি গণতন্ত্রেও।

আল্লাহ হচ্ছেন ‘হাকিম’ বা নির্দেশদাতা। চূড়ান্ত নির্দেশ একমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে (আল কুরআন ১২ : ৪০)। অস্টিনের সার্বভৌমত্বের ধারণার সাথে আল্লাহ হাকিমের তুলনা করা ঠিক হবে না। অস্টিন সৃষ্টিকর্তার কর্তৃত্বের কথা বলেননি। তিনি শাসকের কর্তৃত্বের কথা বলেছেন। খলিফারা, এমনকি খোলাফায়ে রাশেদিন পর্যন্ত লিখিত ও অলিখিত উভয় ধরনের আইন জারি করেছেন, যা আল্লাহর হাকিমিয়াতের লঙ্ঘন নয়।

প্রকৃতপক্ষে আধুনিক সার্বভৌমত্বের ধারণা অত্যন্ত জটিল এবং বৈশিষ্ট্যগতভাবে ‘টেকনিক্যাল’। অস্টিনের মতে, সার্বভৌম শক্তি সীমাহীন ক্ষমতা সংরক্ষণ করে যা অবিভাজ্য ও চূড়ান্ত। এক রাষ্ট্রের কার্যক্রম অন্যান্য রাষ্ট্রের কার্যক্রম ও অধিকার দ্বারা বাহ্যিকভাবে সীমাবদ্ধ এবং অভ্যন্তরীণ দিক থেকে রাষ্ট্র ও সরকারের বিভিন্ন বিভাগ- আইন, শাসন ও বিচার বিভাগের মধ্যে রাষ্ট্রের ক্ষমতা বিভক্ত- এ বিবেচনায় বাস্তব ক্ষেত্রে কেউই সীমাহীন সার্বভৌমত্বের অধিকারী নয়। সার্বভৌম ক্ষমতা এমনকি মাঝে মধ্যে প্রথা ও জনমতের অধীন। আমলাতন্ত্র এবং গণমাধ্যমও ক্ষমতার অধিকারী। কর্তৃত্ব বিভক্ত এবং এটা বলা সম্ভব নয় যে, একজনই সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করে। কেননা প্রত্যেকে শুধু একটি অংশই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কেউই অন্যের ওপর চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী নয়। এসব বিষয় বিবেচনা করে আমরা বলতে পারি- রাষ্ট্রের ক্ষমতা অভ্যন্তরীণভাবে বিভক্ত। অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি রাষ্ট্রের অস্তিত্ব শুধু বহির্গতভাবে বিদ্যমান।

১৯৬৯ সালে পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে ছাত্রবিনিময় কর্মসূচির আওতায় লাহোরে গিয়েছিলাম। সেখানে মাওলানা আবুল আলা মওদুদীর সাথে সাক্ষাৎকালে আমি সার্বভৌমত্বের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। তার কাছে জানতে চাই : কুরআনে বর্ণিত শরিয়াহর আইনের চূড়ান্ত ব্যাখ্যাকারী কে হবেন? কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে? এটা কি আইনসভা? বিচার বিভাগ- সংবিধান এবং আইনের ব্যাখ্যাকারী হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট? না কি কাউন্সিল অব এলডারস অথবা গণভোটের মাধ্যমে জনগণ? মাওলানা মওদুদী সুনির্দিষ্ট বা সুস্পষ্ট কোনো উত্তর দেননি। তিনি শুধু বললেন, এ ধরনের বিষয়ের শুধু ইসলামী সরকার গঠিত হলেই সমাধান হবে।’ আমরা মনে করি, এ বিষয়টির এখনো সমাধান হয়নি এবং ইসলামিক স্কলার ও আলেমরা এ ব্যাপারে বিভক্ত। বিষয়টির একাডেমিক আলোচনা হওয়া দরকার। আমার মতে, কুরআনের আইনের চূড়ান্ত ব্যাখ্যাকারী কর্তৃপক্ষই সার্বভৌম।

সম্প্রতি পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর ওয়েবসাইট থেকে একটি সংবাদ ডাউনলোড করেছি। ২০০২ সালের ৫ জুলাইয়ের ওই সংবাদের শিরোনাম ছিল :'Govt. deprives people of sovereignty' অর্থাৎ সরকার জনগণকে সার্বভৌম অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। এতে বলা হয় : 'Ameer Jamat-e-lslami Qazi Hussain Ahmad said on Friday that the government has deprived people of sovereignty...' অর্থাৎ জামায়াতে ইসলামীর (তদানীন্তন) আমির কাজী হুসাইন আহমদ বলেছেন, ‘সরকার জনগণকে সার্বভৌম অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে...।’ লক্ষ করুন, এমনকি জামায়াতে ইসলামীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের সংবাদে এ আমিরের অভিমত উল্লেখ করে বলা হচ্ছে যে, পাকিস্তান রাষ্ট্র সার্বভৌম।

‘ইসলামিক রিপাবলিক’ অব পাকিস্তানের ১৯৫৬ সালের সংবিধানের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, 'And Whereas the Constituent Assembly, represented by the people of Pakistan, have resolved to frame for the sovereign independent State of Pakistan a constitution'. অর্থাৎ ‘এবং যেহেতু পাকিস্তানের জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল কনস্টিটিউন্ট অ্যাসেম্বলি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা সার্বভৌম স্বাধীন পাকিস্তানের জন্য একটি সংবিধান প্রণয়ন করবে।’ লক্ষ করুন, এমনকি ১৯৫৬ সালে তদানীন্তন পাকিস্তানের সংবিধান যা তখনকার সব আলেম এবং সব ইসলামী রাজনৈতিক দল দ্বারা গৃহীত হয়, তাতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। সংবিধানের প্রস্তাবনার অন্যত্র বলা হয় :"Whereas the integrity of the territories of the Federation, its independence and all its rights, including its sovereign rights over land, sea and air should be safeguarded". অর্থাৎ ‘যেহেতু ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত সব অঞ্চলের অখণ্ডতা, এর স্বাধীনতা এবং এর ভূখণ্ড, সমুদ্র ও আকাশের সার্বভৌম অধিকারসহ সব অধিকার সুরক্ষিত করতে হবে।’ এর অর্থ হচ্ছে- এটি একটি সার্বভৌম দেশ এবং দেশটি অবশ্যই সমুদ্র ও আকাশসহ সব ভূখণ্ডের ওপর সার্বভৌম অধিকার প্রয়োগ করবে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক প্রধান মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ২০০৬ সালের ৩ জুন দলের রুকন সম্মেলনের যে বক্তব্য দেন তা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেছিলেন, ‘জাতিসঙ্ঘ সনদের আলোকে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ভিত্তিতে জামায়াত সব দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল (বুকলেট : উদ্বোধনী ভাষণ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রকাশনা বিভাগ, বড় মগবাজার, ঢাকা, ২০০৬ পৃষ্ঠা- ২৩)। লক্ষ করুন, মাওলানা নিজামী এমনকি সৃষ্টিকর্তার সার্বভৌমত্বের ট্র্যাডিশনাল ধারণা থেকে সরে এসেছেন এবং বলেছেন, জামায়াত ‘সব দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে’ বিশ্বাস করে।

এ প্রসঙ্গে আর একটি উদাহরণ দেয়া যাক। রাসূল সা:-এর আমলে মদিনা রাষ্ট্রে কে সার্বভৌম ছিল? একটি চুক্তিবলে মদিনা রাষ্ট্রটি গঠিত হয় যাতে মুসলমান, ইহুদি, খ্রিষ্টান এবং পৌত্তলিকরা অংশীদার ছিল।"Sovereignty in the society [of Medina] would not rest with the rulers or any particular group, but with the law founded on the basis of justice and goodness, maintaining dignity of all" [Dr. Louay M. Safi, Overcoming the Religious-Secular Divide : Islam's Contribution to Civilization in Muslim Contributions to World Civilization, International Institute of Islamic Thought, U.S.A., 2005, p 16].

অর্থাৎ ‘মদিনার সমাজে সার্বভৌমত্ব শাসক বা কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর ওপর ন্যস্ত ছিল না। বরং ন্যায়বিচার ও কল্যাণের ওপর ভিত্তি করে রচিত আইনের (যেখানে সবার মর্যাদা রক্ষিত হয়) ওপর ন্যস্ত ছিল।’ অর্থাৎ মদিনা সনদ হচ্ছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দলিল যার প্রতি সব মুসলমান, ইহুদি, খ্রিষ্টান ও পৌত্তলিক আনুগত্যশীল ছিল, এ কারণে দলিলটিকে সার্বভৌম বলা যায়।

সৌদি আরবে ওলামাসহ ইসলামী চিন্তাবিদরা সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে কী ধারণা পোষণ করেন? ইমাম মুহাম্মদ বিন সৌদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিষয়ক প্রফেসর, ড. সুলাইমান বিন আবদুর রহমান আল হাজিল তার ‘হিউম্যান রাইটস ইন ইসলাম অ্যান্ড দেয়ার অ্যাপ্লিকেশন্স ইন দি কিংডম অব সৌদি অ্যারাবিয়া’ শীর্ষক বইতে ড. তৌফিক আল শাবি’র মত উদ্ধৃত করেছেন। ড. তৌফিক ইসলামে গণতন্ত্র এবং শূরার (পরামর্শ সভা) মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনাকালে সার্বভৌমত্বের ধারণা ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে: "...In Islam sovereignty does not belong solely to ruler, since the Islamic religion is not an `autocracy'; nor does it belong to the law alone, since Islam is not a `nomocracy'; nor does it belong to people alone; since it is not a 'democracy', Rather, in Islam sovereignty belongs to the divine law alone; [Prof. Dr. Suleiman Bin Abdul Rahman Al-Hageel, Human Rights in Islam and Their Application in the Kingdom of Saudi Arabia', English tr. Dr. Omer F. Atari, 2001, p 258].

অর্থাৎ ‘...ইসলামে সার্বভৌম ক্ষমতা শুধু শাসকের অধীন নয়, যেহেতু ইসলাম ধর্মে অটোক্র্যাসির স্থান নেই; এটা শুধু আইনের অধীনও নয়, যেহেতু ইসলাম নমোক্র্যাসি নয়; এটি শুধু জনগণের অধীন নয় যেহেতু এটি ডেমোক্র্যাসিও নয়। বরং ইসলামে সার্বভৌমত্ব শুধু স্রষ্টার আইনের অধীন।’ এর অর্থ শরিয়াহ, ইসলামী আইন- কুরআন এবং অকাট্য বা সহিহ হাদিস হচ্ছে সার্বভৌম।

এ প্রসঙ্গে বলা যায়, ‘সৃষ্টিকর্তা সার্বভৌম’ কথাটা বলা অর্থহীন যতক্ষণ না আধুনিক প্রেক্ষাপটে বিষয়টির গূঢ়ার্থ পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে ব্যাখ্যা করা হয়। ‘সার্বভৌমত্ব’ একটি নতুন শব্দ, এর সাদৃশ্যবাচক শব্দ অথবা সমার্থক কোনো আরবি বা ইসলামী পরিভাষা নেই। ‘সার্বভৌমত্ব’ সম্পূর্ণরূপে একটি পশ্চিমা ধারণা। আমরা শুধু আলোচনা করতে পারি- ইসলাম কতটা আধুনিক সার্বভৌমত্বের ধারণার কাছাকাছি অথবা সার্বভৌমত্বের আধুনিক ধারণার সাথে ইসলামের পার্থক্য কতটুকু। বাংলাদেশে কুরআনের ব্যাখ্যা দেয়ার ক্ষেত্রে কারা চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী, সে ব্যাপারে বাংলাদেশের জনগণই শেষ কথা বলবে। এ ব্যাপারে জনগণ সংবিধানের আওতায় রেফারেন্ডামের মাধ্যমে অথবা জাতীয় সংসদ বা সুপ্রিম কোর্ট বা যথাযথভাবে গঠিত কাউন্সিল অব এল্ডার্সের মাধ্যমে এ ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে।

যে বিষয়টির অবতারণা করা হয়েছে তা ওলামা, তাত্ত্বিক এবং ইসলামিক স্কলারদের ব্যাপকভিত্তিক বিচারবিবেচনাপ্রসূত মতামত দেয়ার জন্য। এখানে যা আলোচনা করলাম তা শেষ কথা নয়। বিষয়টি গভীর পর্যবেক্ষণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সূক্ষ্ম বিশ্লেষণের দাবি করে।

লেখক : ইসলামিক ইনফরমেশন ব্যুরো বাংলাদেশের চেয়ারম্যান


আরো সংবাদ



premium cement
কালিয়াকৈরে ছিনতাইকারীর অস্ত্রের আঘাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাবা-ছেলে আহত কাপাসিয়ায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২ রাশিয়ার ২৬টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের উত্তর কোরিয়ার সাথে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করতে চাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র মাগুরায় বজ্রপাতে ২ যুবকের মৃত্যু মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ‘অস্থায়ীভাবে’ ক্ষমতায় রয়েছে : জান্তা প্রধান গাজীপুরে কাভার্ডভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেলচালক নিহত উত্তরপ্রদেশে কারাগারে মুসলিম রাজনীতিবিদের মৃত্যু : ছেলের অভিযোগ বিষপ্রয়োগের দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে, নিহত ৪৫, বাঁচল একটি শিশু ইসরাইলের রাফা অভিযান পরিকল্পনা স্থগিত এগিয়ে নিয়ে গিয়েও জেতাতে পারলেন না ত্রিস্তান

সকল