২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সফল শিক্ষক আন্দোলনের কাহিনী

সফল শিক্ষক আন্দোলনের কাহিনী - ছবি : সংগ্রহ

১৯৭৭ সাল। তিতুমীর কলেজে শিক্ষকতা করছি। এর মধ্যে ১৯৭৭ সালের পে-কমিশনের সুপারিশ বের হলো। ওই সুপারিশ ১ জুলাই ১৯৭৭ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। সুপারিশ অনুযায়ী, সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপকের বেতন স্কেল দাঁড়ায় ১১৫০-১৮০০ টাকা। কিন্তু সমপর্যায়ের অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তার বেতন স্কেল ১৪০০-২২২৫ টাকা। এ বৈষম্যের প্রতিবাদে এবং প্রাসঙ্গিক আরো কিছু দাবি নিয়ে সরকারি কলেজ শিক্ষকেরা প্রতিবাদে সোচ্চার হলেন। ঢাকার জগন্নাথ কলেজে প্রতিদিন শিক্ষকদের সভা-সমাবেশ হচ্ছে। প্রথম দফায় আমরা টানা ৫৫ দিন ধর্মধট পালন করলাম। দাবি আদায়ের আগেই শিক্ষকদের কোন্দলের কারণে ওই ধর্মঘট পণ্ড হয়ে গেল।

আবার ১৯৭৯ সালে সরকারি কলেজ শিক্ষকরা সংগঠিত হলেন। এবার আন্দোলন কঠিন কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে গেল। কর্মসূচির মধ্যে ছিল- ধর্মঘট ও গণপদত্যাগ। ধর্মঘট চলাকালেই আমরা গণপদত্যাগপত্র স্বাক্ষর করলাম। সরকার শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিলো। এ পদক্ষেপ চ্যালেঞ্জ করে ঢাকার কবি নজরুল কলেজের অর্থনীতির শিক্ষক নজরুল ইসলাম মজুমদার মামলা করলেন। সরকারের পক্ষে শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করা সম্ভব হলো না। একপর্যায়ে সারা দেশের কলেজ শিক্ষকেরা, ঢাকা কলেজে সমবেত হয়ে মৌন মিছিল করে রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের দাবি-দাওয়া সংবলিত স্মারকলিপি দিতে গেলাম। মৌন মিছিল আউটার স্টেডিয়ামের (ভাসানী হকি স্টেডিয়াম) দক্ষিণের রাস্তা দিয়ে ডিআইটি (রাজউক) রোডের মুখে এলে পুলিশ বাধা দেয়। ক’জন নেতৃস্থানীয় শিক্ষক প্রতিনিধি স্মারকলিপি নিয়ে বঙ্গভবনে গেলেন। রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনের বাইরে থাকায় শিক্ষক প্রতিনিধিরা রাষ্ট্রপতির সচিবের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে এলেন। এর আগেই রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান উপরাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারের ওপর এ সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ওই ঘটনার পর জিয়াউর রহমান তাকে তিরস্কার করলেন- ‘আপনি শেষ পর্যন্ত শিক্ষকদের রাস্তায় নামালেন!’ এদিকে ধর্মঘট চলছে।

একদিন কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলা বিভাগের কবির মজুমদার রিকশায় করে ফার্মগেট পর্যন্ত আমার সাথে এলেন। রিকশা মহাখালী রেলগেট পেরিয়ে একটু পশ্চিম দিকে এলে তিনি আমাকে বললেন- ‘আমাদের আন্দোলনের সাথে ছাত্রদের সম্পৃক্ত করলে কেমন হয়’? বললাম- ‘ভুলেও এ কাজ করতে যাবেন না। এটা করলে সবই আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে’। তিনি একমত হলেন। আমরা আমাদের আন্দোলনে ছাত্রদের জড়ালাম না।

কিছুদিন পর মনে হলো, সরকারি কলেজ শিক্ষকদের সমস্যা নিরসনের একটি পদক্ষেপ সরকার শিগগিরই নেবে। সেটাই হলো। সমিতির নেতাদের সাথে সরকার আলোচনায় বসলেন। এ আলোচনায় সরকার ও সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি, উভয় পক্ষ একটি সমঝোতায় আসে। এ সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হলে ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়ামে সরকারি কলেজ শিক্ষকদের এক মহাসমাবেশে সমিতির সাধারণ সম্পাদক, জগন্নাথ কলেজের শিক্ষক আলী রেজা এটি পড়ে শোনালেন। এরপর সমিতির সভাপতি, বদরুন্নেসা কলেজের অধ্যক্ষ জাহানারা বেগম সবার প্রতি ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। ৮৫ দিনের ধর্মঘটের অবসান হলো। কিন্তু ঢাকা কলেজে একটি সমস্যা রয়েই গেল। কলেজের বাংলা বিভাগের প্রবীণ শিক্ষক এবং আমার নিজের শিক্ষক রওশন আরা রহমান ওই সমাবেশে বললেন- ‘শিক্ষক সমস্যার সার্বিক সমাধান হলেও ঢাকা কলেজের নিজস্ব সমস্যার সমাধান হয়নি। এটারও সমাধান করতে হবে’।

ঘটনা হলো, শিক্ষক ধর্মঘট চলাকালে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ড. আলী আহমেদ ধর্মঘটি কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। এদের সংখ্যা প্রবীণ-নবীন মিলে বিশের অধিক। ঢাকা কলেজের শিক্ষকরা তাদের প্রতি অধ্যক্ষের এহেন আচরণ ও অন্যান্য বিষয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, আগে এর ‘বিচার হতে হবে’। এরপর তারা কাজে যোগ দেবেন। সমিতির নেতাদের অনুরোধে কলেজের শিক্ষকরা তাৎক্ষণিকভাবে কাজে যোগ দিলেও সমস্যা রয়েই গেল। যে কারণে অধ্যক্ষ ও কলেজের শিক্ষকদের দ্বন্দ্ব তুঙ্গে উঠল।

ইতোমধ্যে ঢাকা কলেজে বদলি হয়ে এসেছি এবং অধ্যক্ষ আমাকে ডেকে দক্ষিণ হোস্টেলের সহকারী সুপার নিযুক্ত করেছেন। সুপার আমাকে বললেন- ‘অধ্যক্ষ চান আমরা তাকে হোস্টেলে সংবর্ধনা দেই। আপনি কী বলেন?’ আমি বললাম- ‘এ অবস্থায় তাকে হোস্টেলে সংবর্ধনা দিলে শিক্ষকরা আমাদের ওপর ক্ষেপে যাবেন। চুপ করে থাকুন স্যার’। তিনি ব্যাপারটি বুঝেন। নেহায়েত চাপের মুখে আছেন বলেই আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন।

অধ্যক্ষের বিপক্ষের শিক্ষকদের মনোভাব তার প্রতি এতটাই তীব্র যে, একদিন এক সহকর্মী ‘দৈনিক বাংলা’র প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত একটি সংবাদের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। সংবাদটির ক্যাপশন ‘চিনিল কেমন করিয়া’। ব্যাপার হচ্ছে- অধ্যক্ষ ড. আলী আহমেদ বৈকালিক ভ্রমণে নিউ মার্কেটের পূর্ব পাশের ফুটপাথ ধরে হাঁটছিলেন। এ অবস্থায় একটি ষাঁড় এসে তাকে শিং দিয়ে আক্রমণ করে। ফলে তিনি নিচে রাস্তায় পড়ে যান। কিছু পথচারী চিনতে পেরে তাকে এ দুর্দশা থেকে উদ্ধার করেন। ব্যাপারটি সাংবাদিক এবং আমাকে যিনি সংবাদটি দেখালেন, উভয়ের কাছে কৌতুককর মনে হয়েছে। ড. আহমেদ এ কলেজে এতটাই নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছিলেন যে, ওই দুর্ঘটনার পর তার প্রতি কেউ সমবেদনা জানাতে যাওয়া দূরের কথা, যারাই এ সংবাদ পড়েছেন; তারা সবাই হেসেছেন। মানুষ মানুষকে যেমন ভালোবাসতে জানে, ঠিক তেমনি নির্দয় ঘৃণায় উচ্ছিষ্ট করতেও জানে।
কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন সমাসন্ন হলো। ছাত্ররা নির্বাচন চায়। অধ্যক্ষ শিক্ষকদের সাথে কোনো প্রকার আলোচনা না করেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দিলেন। তিনি শিক্ষকদের চাপের মুখে ফেলে দিলেন।

শিক্ষকরা অধ্যক্ষের সাথে অসহযোগিতা করে আসছেন। সেখানে তার নির্দেশে তারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন কি না সে বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিলে ছাত্ররা উৎকণ্ঠিত হলো। নির্বাচনের জন্য ছাত্রদের চাপ ছিল। অধ্যক্ষ শিক্ষকদের বেকায়দায় ফেলে দিলেন। এক সন্ধ্যায় ছাত্রদের সাথে শিক্ষকরা স্টাফ রুমে বসলেন। শিক্ষকদের পক্ষে বাংলার প্রবীণ শিক্ষক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ছাত্রনেতাদের বুঝালেন, নির্বাচন করতে শিক্ষকদের আপত্তি নেই। ছাত্রদের স্বার্থে শিক্ষকরা নির্বাচন পরিচালনা করবেন। তবে তারা যেন মনে না করেন, অধ্যক্ষ নির্দেশ দিয়েছেন বলেই শিক্ষকরা নির্বাচন পরিচালনা করছেন। ছাত্রদেরকে নিরাশ করা শিক্ষকদের উদ্দেশ্য নয়। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের অবস্থান অপরিবর্তিতই থাকবে। এতে যেন ছাত্ররা নাক গলানোর চেষ্টা না করে। ছাত্ররা শিক্ষকদের এ আশ্বাসে সন্তুষ্ট এবং শর্তে রাজি হলো। সুষ্ঠু নির্বাচন হলো।

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের মধ্যেকার ওই বিরোধ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। কলেজের শিক্ষকরা এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিশন গঠিত হলো। কমিশন কাজ শুরু করল। অধ্যক্ষের পক্ষ-বিপক্ষের শিক্ষকরা তদন্ত কমিশনের সামনে নথিপত্র নিয়ে হাজির হলেন। ওই কলেজেরই উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে আমার সহপাঠী এবং কলেজের রসায়নের নবীন শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান আমাকে বললেন, ‘আপনাকে তদন্ত কমিশনের সামনে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিতে হবে।’ বললাম, ‘আমি তো মাত্র সেদিন এলাম। কী বলব’? তিনি বললেন, ‘আপনি বলবেন, সে কলেজের পুকুরের মাছ চুরি করে ধরে নিয়েছে। শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে...’। এই সব।

হেসে বললাম, ‘আমাকে সাক্ষী মানলে আপনারা ঠকবেন। আমাকে যদি কমিশন জিজ্ঞেস করে, আপনি এ কলেজে ক’দিন থেকে আছেন? আর আমি যদি বলি ১৭ মার্চ ১৯৮০ সালে তিতুমীর কলেজ থেকে এখানে এসেছি। তখন কমিশন বলবে, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ কখন কলেজের পুকুরের মাছ চুরি করেছেন, শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন, তিতুমীর কলেজে থেকে এ খোঁজ নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন, নাকি সেখানে কাজ করেছেন? এতে আপনাদের কেস তো হালকা হবেই, উল্টো আমি নিজেও বিপদে পড়ব।’ তিনি বুঝলেন। সাক্ষীর তালিকা থেকে আমার নাম বাদ দেয়া হলো। একটা বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেলাম। তবে আমার এহেন অবস্থানকে কোনো কোনো শিক্ষক সহজভাবে নেননি।

তদন্ত কাজ চলাকালেই এক নবীন শিক্ষক আমাকে একদিন জিজ্ঞেস করে বসলেন, ‘এ কলেজে আপনার জয়েনিং পত্রে স্বাক্ষর করেছে কে’? বললাম, ‘অধ্যক্ষ’। তিনি বললেন, ‘আমরা তো তার স্বাক্ষরের কোনো মূল্য দেই না’। আমি বললাম, ‘আমার তো সেটা জানা ছিল না’। তিনি আর কিছু বললেন না। ড. আলী আহমেদ এবং কলেজের সংখ্যাগরিষ্ঠ শিক্ষকের মধ্যেকার বিরোধ তদন্তের পর সরকার তাকে ঢাকা কলেজ থেকে সরিয়ে তার পুরনো কর্মস্থল স্টাফ কলেজে নিয়ে গেল। অধ্যক্ষের সাথে তার কিছু সমর্থক শিক্ষকও বদলি হলেন। নতুন অধ্যক্ষ এলেন প্রফেসর মোহাম্মদ নোমান। এর আগে তিনি দীর্ঘদিন এ কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের মধ্যেকার সঙ্কটের নিরসন হলো।

সরকারি কলেজ শিক্ষকদের যাবতীয় ন্যায্য দাবি সরকার মেনে নেয়ার পর প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শিক্ষকদের বঙ্গভবনে সান্ধ্য চা-চক্রে দাওয়াত দিলেন। ঢাকায় অবস্থানরত শিক্ষকদের প্রায় সবাই গিয়েছিলেন। আমরা বঙ্গভবনের করিডোরে পূর্বে-পশ্চিমে খানিকটা ফাঁক রেখে মুখোমুখি দু’সারিতে দাঁড়ালাম। কোনো প্রকার বক্তৃতা-বিবৃতি, স্তুতি-নিন্দা, নসিহত-নির্দেশ বা সাংবাদিক-ক্যামেরার আয়োজন ছিল না। কিছুক্ষণ পর তিনি ধূসর রঙের কর্ডের কোট ও প্যান্ট পরে একা করিডোরের পূর্ব দিক থেকে শিক্ষকদের সাথে হাত মিলাতে মিলাতে পশ্চিম দিকে আসলেন। লক্ষ করলাম, তিনি সবার সাথে হাত মিলাচ্ছেন না। দুয়েক জন ফাঁক দিয়ে দিয়ে হাত মিলাচ্ছেন। যে সারিটি দক্ষিণ দিকে মুখ করে দাঁড়িয়েছে, আমি সেই সারিতে। আমার বামে একজনের সাথে হাত মিলালেন; কিন্তু আমার সাথে হাত না মিলিয়ে আমার দু’জন পরে আরেকজনের সাথে হাত মিলালেন। দু’সারির শিক্ষকদের সাথে প্রেসিডেন্টের করমর্দন পর্বশেষে ডানের কক্ষে খাবারের আয়োজন আছে। চমচমসহ নানা ধরনের মিষ্টি ছিল। সেখানে আমরা যার যেমন ইচ্ছা খেলাম। এর আগে বা পরে কোনোদিন বঙ্গভবনে আর যাওয়া হয়নি।


১৯৮১ সালের ঢাকা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা চলছে। স্টাফ রুমের পশ্চিমের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষে অধ্যক্ষ নোমানসহ আমরা ক’জন বসে আছি। হঠাৎ একজন বেয়ারা হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসে বলল, ‘স্যার, জিয়াউর রহমান সাহেবরে মাইরা ফালাইছে’।

আমরা হকচকিয়ে উঠে বললাম, ‘তুমি জানলা কেমন করে’? সে বলে, ‘আমি বাইরে গেছিলাম। হোটেলের রেডিওতে কুরআন তিলওয়াত অইতাছে’। অধ্যক্ষ নিশ্চিত হওয়ার জন্য একজন শিক্ষক পাঠালেন। তিনিও এসে বললেন, ‘ঘটনা সত্য’। কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক নুরুল ইসলাম হাঁপাতে হাঁপাতে দৌড়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কক্ষে এসে অধ্যক্ষকে বললেন, ‘স্যার, আমি বাসায় চলে যাই’। তিনি নিঃসন্তান ভাইস প্রেসিডেন্ট জাস্টিস আবদুস সাত্তারের ভাইপো। অধ্যক্ষ সাহেব বললেন, ‘হ্যাঁ। তুমি এখনই বাসায় চলে যাও। একা যেতে পারবে তো’? তিনি বললেন, ‘একাই যেতে পারবো স্যার’। কাছেই গ্রিন রোডের দক্ষিণ মাথায় পেট্রল পাম্পের উত্তরে জাস্টিস সাত্তারের নিজ বাসা। তিনি চলে গেলেন। পরীক্ষা চলতে থাকে এবং যথাসময়ে শেষ হলো। এ মহাবিশ্বে মানুষের সার্বক্ষণিক কর্মকাণ্ড কারো জন্ম বা মৃত্যুর মুখাপেক্ষী নয়।
লেখক : অর্থনীতির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক,
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা কাডার

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
ফিলিপাইনে ব্রহ্মস পাঠাল ভারত, ৩৭৫ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি চীনের মোকাবেলায় নতুন ডিভিশন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে! আবারো চেন্নাইয়ের হার, ম্লান মোস্তাফিজ 'কেএনএফ' সন্ত্রাস : সার্বভৌম নিরাপত্তা সতর্কতা অর্থনীতিতে চুরি : ব্যাংকে ডাকাতি পাকিস্তানে আফগান তালেবান আলেম নিহত যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য না করলে এ বছরই রাশিয়ার কাছে হারতে পারে ইউক্রেন : সিআইএ প্রধান রাশিয়ার সামরিক শিল্পক্ষেত্রে প্রধান যোগানদার চীন : ব্লিংকন ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে 'বিকট বিস্ফোরণ' শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার

সকল