২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিরূপ প্রকৃতি ও ঈশপের গল্প

-

‘ঊনো বর্ষায় দুনো শীত’ অর্থাৎ যে বছর বৃষ্টি কম, সে বছর শীত বেশি। চলতি বছর বৃষ্টি হয়নি বললেই চলে। খনার বচন অনুসারে, এখন হাড়কাঁপানো শীত নামার কথা। অকার্যকর হতে শুরু করেছে খনার বচনও। প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শীতও। শীত হারিয়ে যাওয়ার সাথে আমাদের প্রিয় বিশ্বটাও হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা জড়িত রয়েছে মর্মে বৈজ্ঞানিকেরা ক’দিন পরপর সতর্কীকরণের পরও সবাই নির্বিকার।

শৈশবে দেখা শীতের কথা মনে করতে গিয়ে বারবার রমজান মাসের সেহরি খাওয়ার বিষয় সামনে চলে আসে। আমাদের তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি বড় চৌচালা টিনের ঘর ছিল। এক কক্ষে থাকতেন ছোটমা। মাঝখানে মাটির ফ্লোরে খড় বিছিয়ে খড়ের ওপর মোর্তার বিছানা পেতে মায়ের সাথে শুতাম আমি। ক্ষীণদেহী মা শীতের শুরুতেই কাতর হয়ে পড়তেন। লেপ-তোষক ও গরম বস্ত্রের প্রচলন গাঁও-গেরামে তখনো শুরু হয়নি। রোদে গরম কাঁথা শক্ত করে পেঁচিয়ে তুলে রাখতেন।

গরম কাঁথার নিচে শুতে না শুতেই ঘুম চলে আসত। মৃত্তিকাপাত্রে (আইল্লা) তুষ রেখে তুষের ওপর রাখতেন ঘুঁটের আগুন। কাঁথা ঠাণ্ডা হয়ে গেলে শোয়ার সময় কাঁথার নিচে রাখতেন গরম আইল্লা। যতক্ষণ গরম না হতো, ততক্ষণ কারো ঘুম আসত না। ঢাকা থেকে রামচন্দ্রপুরগামী সি-বার্ড লঞ্চ আমাদের গ্রাম বরাবর পৌঁছত রাত ১টায়। সেহরির জন্য তখন রান্না চড়াতেন মহিলারা। ঘর থেকে বেশ দূরে পাকেরঘর। রাতে শুতে যাওয়ার আগেই রান্নার সামগ্রী জোগাড় করে রাখতেন। কনকনে শীতে রান্নার সামগ্রীসহ পুরনো শাড়ি কাপড় দু’ভাঁজ করে শরীরে জড়িয়ে মা পাকের ঘরে প্রবেশ করতেন। অনেক সময় মা ওঠার সময় আমার ঘুম ভেঙে যেত। বাবার অজু করা ও খাওয়ার জন্য পানি গরম করাসহ রান্না শেষ করে যখন ঘরে ঢুকতেন তখন রাত ৩টা।

সেহরি খাওয়া শেষ, আজান শুরু। রাখাল লাঙল-গরু ঠিক করতে করতে নামাজ শেষ করে মাঠে রওনা হতেন বাবা। কুয়াশার চাদর ভেদ করে হাল নিয়ে মাঠে নামতেন কৃষক। আরবি পড়ার জন্য মক্তবে যাওয়ার আগে শরীরকে একটু গরম করে নিতাম। ভোরে আগুন জ্বালানোর জন্য আগের দিন খড়কুটো জড়ো করে রাখতাম। মাঝ উঠোনে আগুন জ্বালতে না জ্বালতে মানুষ ভিড় করত চার পাশে। আগুনের সামনে দু’হাত মেলে ধরে গরম হাতের তালু চেপে ধরতেন কানে। ধারণা, কান গরম হলে শীত অর্ধেক কমে যায়। বয়স্ক পুরুষরা এক ধরনের কানটুপি পরতেন। মুখ খোলা কানটুপি কানসহ মাথা ও গলা ঢেকে রাখতেন। অনেকেই মাফলার ও গামছা দিয়ে মাথা ও কান বেঁধে রাখতেন।

এক ধরনের মোটা সুতার তৈরি চাদর (আঞ্চলিক নাম গজি) গায়ে জড়াতেন পুরুষেরা; মহিলারা গায়ে জড়াতেন দু’ভাঁজ করা পুরনো শাড়ি। শহরে যাদের যাতায়াত ছিল সেসব পরিবারের কারো কারো গায়ে মহিলার চাদর দেখা যেত। শীতবস্ত্রের অভাবে জীর্ণ-বৃদ্ধ মানুষ মারা যাওয়ার সংবাদও মাঝে মাঝে কানে আসত। দিনের শুরুতে কঠিন কাজ ছিল নদীর ঠাণ্ডা পানিতে গোসল। যখন গোসল করতে যেতাম, তখনো নদীর পানির ওপর কুয়াশা ভাসত। পানিতে নামতে ইচ্ছে করত না। একসময় গামছা পরে চোখ বন্ধ করে ঝাঁপিয়ে পড়তাম জলে। কৃষকের বড় সম্পদ গরু। কখনো কখনো কনকনে শীতের সাথে বইতো উত্তরের ঠাণ্ডা হাওয়া। গরুর গায়ের পশম খাড়া হয়ে যেত। অসুস্থ হয়ে পড়ত কোনো কোনো গরু। গরুর গা পাটের চট দিয়ে ঢেকে রাখা হতো।

আমাদের গাঁয়ের তিন পাশে নদী। বর্ষার শেষ দিকে নদীর বাঁকে বাঁকে সুবিধাজনক স্থানে গাছের ডাল ফেলতেন মাছ ব্যবসায়ীরা। কয়েক বিঘা স্থানজুড়ে ডালপালা ফেলে এর ওপর কচুরিপানা ইত্যাদি আটকিয়ে তৈরি করা, মাছের কৃত্রিম অভয়াশ্রয়ের নাম ঝোপ। বর্ষার পানি কমতে শুরু করলে নদীর রুই, কাতলা চিংড়িসহ নানা ধরনের মাছ আশ্রয় নেয় ঝোপে। শীত যত বাড়ে ঝোপের মাছ তত বাড়ে। হিমশীতল কনকনে শীতই ঝোপের মাছ ধরার উপযুক্ত সময়। ঝোপের চারদিকে জাল পাতা হয়। পোঁতা বাঁশে জালের উপরের মাথা আটকিয়ে নিচের মাথা আটকাতে হয় মাটির সাথে। মাটির সাথে এমনভাবে আটকাতে হয়, কোনোক্রমেই যাতে মাছ বের হতে না পারে। ১০-১৫ ঠুট পানির নিচে নিরাপদ জাল বিছানোর কাজ করতে হয় রাতের বেলা ডুব দিয়ে দিয়ে। শৈত্যপ্রবাহের সময় যারা গভীর পানিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ডুব দিয়ে এসব কাজ করে তাদের শীতের কথা ভাবলে আমাদের শীত লাগা কমে যেত।

শীতের প্রিয় খাবার পিঠা। শীত এবং পৌষপার্বণ এক সাথেই শুরু হয়। পৌষপার্বণের বারো ধরনের পিঠার মধ্যে ভাঁপা পিঠার কথা ভুলতে পারছি না। হাইস্কুলে সোনারগাঁ অবস্থানকালে ভোরে নদীর পারে হাঁটতে যেতাম। এক মহিলা ছোট ছোট ভাঁপা পিঠা বানিয়ে এক আনা করে বিক্রি করতেন। সামান্য নারিকেল ও খেজুরের গুড় লাগানো ভাঁপা পিঠার স্বাদ এখনো জিহ্বায় লেগে রয়েছে। শীতকালের আরেক আকর্ষণ খেজুরের রস। পাশের গাঁ থেকে ভাঁড় বেয়ে ঘটি ভরে এক লোক নিয়ে আসতেন খেজুরের রস। এ রসের খাঁটি গুড়ের শিরনি পায়েশ যার জিহবায় একবার পড়েছে তার জিহ্বায় আর অন্য পায়েশ রুচবে না।

যাদের জমিজমা নেই, দিনমজুর, নিত্য এনে নিত্য খায়, কোনো কারণে হাতে কাজ না থাকলে তাদের কষ্টের সীমা-পরিসীমা থাকত না। ক্ষুধা কত বড় যন্ত্রণা যার জীবনে না আসে, সে বুঝতেই পারে না। আমার শৈশবে পঞ্চাশের দশকে আশ্বিনের ঝড়ে একবার মাঠের সব ধান ভেসে গিয়েছিল। শতভাগ কৃষির ওপর নির্ভরশীল এলাকা আমাদের। শুরু হয় অভাব। ভাসিয়ে নেয়া ধানের জমিতে মাসকলাই বোনা হয়।

বন্যাকবলিত পলিযুক্ত জমিতে আশাতীত পরিমাণে কলাই হলো। তখন মানুষকে চালের সাথে কলাই মিলিয়ে ভাত খেতে দেখেছি। রান্নার সময় খাবারের অপেক্ষায় চুলার ধারে বসে থাকলে মা বলতেন, ‘মুখ দিয়েছেন যিনি আহার দেন তিনি’। এ বিষয়টি বুঝানোর জন্য মাঝে মাঝে একটি কাহিনী বলতেন। খলিফা হজরত ওমর রা: রাজ্যের অবস্থা স্বচক্ষে দেখার জন্য রাতে একাকী বের হতেন। এক রাতে ছদ্মবেশে বের হয়ে এক জায়গায় দেখেন, এক মা চুলায় হাঁড়ি চড়িয়ে কান্না করছেন। পাশে ঘুমিয়ে রয়েছে দুই শিশু-সন্তান।

কাছে গিয়ে কান্নার কারণ জানতে গিয়ে জানতে পারেন, দুই শিশুর ক্ষধার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে চুলায় হাঁড়ি চড়িয়ে শূন্য হাঁড়িতে আগুনের আঁচ দিতে শুরু করেন। ক্রন্দনরত শিশুদের এই বলে সান্ত্বনা দেন যে, ‘রান্না হচ্ছে আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করো। অপেক্ষা করতে করতে দুই শিশুই ঘুমিয়ে পড়েছে। ঘুম থেকে উঠে খাবার চাইলে কী উত্তর দেবো? তাই কাঁদছি।’ মায়ের এ কথা শোনার পর খলিফা রা: বিলম্ব না করে স্থান ত্যাগ করেন। রাষ্ট্রীয় মালখানা খুলে এক বস্তা আটা নিজে মাথায় করে নিয়ে যান মহিলার বাড়িতে।

অসহায় মানুষ আর কনকনে শীতের কথা প্রসঙ্গে মনে পড়ছে গণমানুষের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কথা। কবি যখন বলেন,-
‘হে সূর্য! শীতের সূর্য!/ হিমশীতল সুদীর্ঘ রাত তোমার প্রতীক্ষায়
আমরা থাকি, / যেমন প্রতীক্ষা করে থাকে কৃষকের চঞ্চল চোখ / ধান কাটার রোমাঞ্চকর দিনগুলির জন্য।

এ কবিতার মতো হুবহু অবস্থা ছিল আমাদেরও। আমরাও ‘এক টুকরো’ রোদ্দুরের আশায় খড়-কুটোর স্তূপের ওপর বসে থাকতাম। মানুষ শীতের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে সূর্যের কাছে উত্তাপ প্রার্থনা করেছেন।

এখন আর আমরা উত্তাপের জন্য সূর্যের প্রতীক্ষায় থাকি না। মানুষের সাহায্যে উত্তাপ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে গেছি আমরা। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জ্বালানি তেলের ব্যবহার। জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের প্রভাবেও প্রতিনিয়ত পুড়ছে জ্বালানি। এতে উন্নত দেশগুলোতে কার্বন নিঃসরণ বাড়ছে দ্রুত। উষ্ণতা বাড়ছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতেও। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকলেও গত দুই যুগের ব্যবধানে কার্বন নিঃসরণে আমরা এগিয়ে গেছি ৪২২ শতাংশ।

পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশের পুরনো বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো এর জন্য দায়ী। প্যারিসভিত্তিক বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির (আইইএ) সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। তথ্যানুসারে, ১৯৯০ সালে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ ছিল ১১.৪ মিলিয়ন টন। ২০১৩ সালে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৯.৬ মিলিয়ন টন।

৯ অক্টোবর পত্রিকার পাতায় চোখ পড়তেই দেখি- জাতিসঙ্ঘের আশঙ্কা ‘ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে বাংলাদেশ’। পরদিন ‘জাতিসঙ্ঘের আশঙ্কার থেকেও ভয়াবহ’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত পরপর দু’টি বৈজ্ঞানিক সতর্কীকরণ বার্তা। এতে আরো বলা হয়েছে, হাজার বছরের সাজানো মানব সভ্যতা চোখের পলকে দুমড়ে-মুচড়ে যাবে। এই ধ্বংসযজ্ঞের হাত থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তিসহ বিজ্ঞানের নেই।

ভয়াবহ বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ, বিশ্বের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ, কার্বন নিঃসরণ। বৈজ্ঞানিকদের আশঙ্কা, কার্বন নিঃসরণের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে মাত্র এক যুগ পর উষ্ণতা বৃদ্ধির হার ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে যাবে। ফলে শুরু হবে অস্বাভাবিক বৃষ্টি, খরা, ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস।

১০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূল দিয়ে বয়ে যাওয়ার সময় দানবীয় ঘূর্ণিঝড় ‘মাইকেল’ সবচেয়ে বড় বোমার (মাদার অব অল বোমস) মতো ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এবং বহু প্রাণহানিসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চৌদ্দ লাখেরও বেশি ঘরবাড়ি। আড়াই শ’ কিলোমিটার বেগের বাতাস নিয়ে আছড়ে পড়া ‘মাইকেল’ উপকূল এলাকার অসংখ্য ভবন ও গাছ উপড়ে ফেলেছে।

‘মাইকেল আসছে’ সংবাদটি আগেই জানতে পেরেছিল বিশ্বের ১ নম্বর পরাশক্তি, বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে বিশ্বের শীর্ষে, স্মার্টআপ ও গুগলের তীর্থস্থান আমেরিকার মতো দেশ। তবু চেয়ে চেয়ে দেখাসহ কয়েক লাখ লোককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া ছাড়া কিছুই করার ছিল না।
একই কারণে ঝুঁকিপূর্ণ শহর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে জাকার্তা, ব্যাংকক, ম্যানিলা, লাগোস, টোকিও, তেহরান ও লন্ডনকে। দিনবদলের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নাগরিক প্রয়োজন, বাড়ছে প্রাকৃতিক উপাদানের ভোগ। কারখানার ধোঁয়া, ঘর ঠাণ্ডা করাসহ নানা কারণে চাপ বাড়ছে প্রকৃতির ওপর। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার বিশ্বের ১৬টি দেশ থেকে তাদের সংস্করণ প্রকাশ করে থাকে।

প্রতিবেদনে এমন কতগুলো ঝুঁকিপূর্ণ শহরের কথা বলা হয়েছে, যেগুলো হারিয়ে যেতে পারে যেকোনো মুহূর্তে। প্রতিবেদনে প্রকাশ, ‘প্রতি বছর ১০ ইঞ্চি করে ডুবছে জাকার্তা।’ নিঃসন্দেহে অশনিসঙ্কেত। সমুদ্রস্তর বাড়লেই বিপদ ম্যানিলার। সৌন্দর্যে ম্যানিলা এতটাই মনোমুগ্ধকর যে প্রতি বছর ১০ লাখ পর্যটকের আগমন ঘটে ফিলিপাইনের রাজধানীতে। এখানকার সাগরের উপকূলবর্তী দীর্ঘ প্রাকৃতিক পোতাশ্রয় থেকে সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য অবলোকন যে কোনো দর্শনার্থীর জন্য স্মরণীয়। এই শহরে রয়েছে চমৎকার হোটেল, বিপণিবিতান, বুটিক, সারিবাঁধা মল, স্থানীয় কিংবা আন্তর্জাতিক খাবারের পসরা। এত সৌন্দর্যের আড়ালে এই শহরটি নিজকে হারাচ্ছে একটু একটু করে।

প্রতি বছর ২০ সেন্টিমিটার করে ডুবে যাচ্ছে নাইজেরিয়ার লাগোস। সুনামি হলেই ভেসে যেতে পারে ব্যস্ততম ও ব্যয়বহুল ইলেকট্র্রনিক পণ্যের আঁতুড়ঘর টেকসিটি টোকিও। অপরূপ তেহরান এমন একটি জায়গায় অবস্থিত যাকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ও ত্রুটিপূর্ণ সীমা হিসেবে ধরা হয়। তাই যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে অঘটন।
লেখক : সিনিয়র আইনজীবী


আরো সংবাদ



premium cement
কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু

সকল