২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ভারতীয় কংগ্রেস ও গান্ধী পরিবার

ভারতীয় কংগ্রেস ও গান্ধী পরিবার - ছবি : সংগ্রহ

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ডামাডোল চলছে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক এই দেশে আগামী পাঁচ বছর কারা শাসন করবেন তা জানতে অল্প সময়ই বাকি রয়েছে। এ অবস্থায় ভারতীয় কংগ্রেসের একটি পদক্ষেপ এ লড়াইকে আরো জমিয়ে তুলেছে বলেই মনে হচ্ছে। সম্প্রতি দেশটির প্রধান বিরোধী দল জাতীয় কংগ্রেস তাদের সভাপতি রাহুল গান্ধীর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে প্রবেশের ঘোষণা দিয়েছে। প্রিয়াঙ্কার রাজনীতিতে আসার বহু প্রত্যাশিত এ সিদ্ধান্তে ভারতজুড়ে নতুন করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে; যা আসন্ন নির্বাচনের টার্নিং পয়েন্ট হবে বতে পারে মনে করা হচ্ছে।

৪৭ বছর বয়সী প্রিয়াঙ্কাকে ইতোমধ্যেই বিরোধী দল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদে বসানো হয়েছে এবং দেশটির একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য উত্তর প্রদেশের দায়িত্বও অপর্ণ করা হয়েছে এই নবাগতা রাজনীতিকের ওপর। লোকসভার ৫৪৫টি আসনের ৮০টিই ওই রাজ্যের। আর ভারতের ইতিহাসে ৯ জন প্রধানমন্ত্রী এসেছেন উত্তরপ্রদেশ থেকেই। প্রিয়াঙ্কার রাজনীতিতে পদার্পণ ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে বলা যায়।

‘ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস’ সাধারণভাবে ‘কংগ্রেস’ নামে পরিচিত। এটি বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে দলটির ভূমিকা ছিল অগ্রণী। ১৮৮৫ সালে থিওজোফিক্যাল সোসাইটির কিছু সদস্য কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা অর্জন করলে কংগ্রেস দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। সেই থেকে মূলত নেহরু-গান্ধী পরিবারই কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিতে থাকেন। দলটি দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায়ও ছিল এবং আগামী দিনেও সম্ভাবনা উজ্জ্বল।

শুরু থেকে কংগ্রেসকে নানা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হয়েছে। গোড়ার দিকে ভারতীয় মুসলমানেরা খুব বেশি সংখ্যায় কংগ্রেসের প্রতি আকৃষ্ট ছিল না। তাদের মধ্যে একাত্মতা সৃষ্টির লক্ষ্যে স্যার সৈয়দ আহমদ খান তাদের কংগ্রেস থেকে ‘দূরে থাকা’র পরামর্শ দেন। ফিরোজ শাহ মেহতা কংগ্রেসকে সাধারণ জনগণের সংগঠন মনে করেননি। এমনকি, বরিশালের জননেতা অশ্বিনী দত্ত কংগ্রেসের বার্ষিক সম্মেলনকে ‘তিন দিনের অপেরা’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন।

বিশ শতকের শুরুর দিকে ব্রিটিশদের ওপর ভারতীয়দের আস্থা তলানিতে নেমে আসে। তখন থেকে গণভিত্তিক রাজনীতির উদ্ভব হয় এবং একজন নতুন নেতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে দেশে ফিরে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় তিনি অহিংস ‘সত্যাগ্রহ’ আন্দোলন করে বেশ সফল হয়েছিলেন এবং সেই পন্থায় ভারতে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন চালাতে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি কংগ্রেস নেতাদের এবং ‘বিপ্লবী’দের সমর্থন লাভ করেছিলেন। কারণ, তিনি প্রতিশ্রতি দেন এক বছরের মধ্যেই ‘স্বরাজ’ হাসিল করতে পারবেন।

১৯৩৪ সালে কংগ্রেসের অভ্যন্তরে বামপন্থী ও সমাজবাদী একটি গ্রুপ কংগ্রেস সোস্যালিস্ট পার্টি গঠন করে। সমাজতন্ত্রের প্রতি জওয়াহেরলাল নেহরু এবং সুভাষ বোসের সহানুভূতি ছিল। তবে তারা এ দলে প্রকাশ্যে যোগদান করেননি। ভারতে তখন কমিউনিস্ট পার্টি ছিল নিষিদ্ধ। তাই এর নেতাকর্মীরা এই নতুন দলের মাধ্যমে কাজ করতে থাকেন। বিখ্যাত মানবেন্দ্রনাথ রায় এবং ‘কৃষক সভার’ একটি গ্রুপ কংগ্রেস ও সোস্যালিস্ট পার্টির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করতে থাকে। কংগ্রেসের অভ্যন্তরে বামপন্থীদের শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় গান্ধীসহ দক্ষিণপন্থী নেতারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।

১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের অধীনে ১৯৩৭ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কংগ্রেস বিপুল ভোটে সাধারণ আসনগুলোতে জয়ী হয় এবং ছয়টি হিন্দুপ্রধান প্রদেশে দলীয় সরকার গঠন করে। বাংলা প্রদেশে কংগ্রেস শেরে বাংলা ফজলুল হকের কৃষক প্রজা পার্টির সাথে যৌথভাবে সরকার গঠনে অস্বীকার করায় মুসলিম লীগ এবং কৃষক প্রজা কোয়ালিশন সরকার গঠন করে। উত্তর প্রদেশে মুসলিম লীগ কংগ্রেসের সাথে সরকার গঠনে রাজি হলেও নেহরু মুসলিম লীগকে কংগ্রেসের নীতি গ্রহণে চাপ দেয়ায় তা সম্ভব হয়নি। বামপন্থীদের প্রভাব খর্ব করার উদ্দেশ্যে ১৯৩৮ সালে হরিপুরায় কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনের জন্য গান্ধী ‘বামপন্থী’ নেতা সুভাষবোসকে সভাপতি হিসেবে মনোনীত করেন।

কিন্তু সুভাষ তাতে অস্বীকৃতি জানান এবং সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের দিকনির্দেশনা দিয়ে ভারতের অর্থনৈতিক উন্নতির পরিকল্পনার কথা বলেন। পরের বছরের বার্ষিক অধিবেশনের জন্য গান্ধী এবং দক্ষিণপন্থী নেতারা তাকে সভাপতি নির্বাচিত করতে অস্বীকার করেন; তবে বামপন্থীদের সহায়তায় সুভাষ তাদের মনোনীত প্রার্থীকে পরাজিত করতে সক্ষম হন। এ দিকে, মুসলিম লীগ মুসলমানদের জন্য পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৪০ সালে লাহোরের অধিবেশনে প্রস্তাব গ্রহণ করে।

১৯৪২ সালের আগস্ট মাসে গান্ধী ‘ভারত ছাড়’ আন্দোলন শুরু করেন। কিন্তু এটা সহিংসতার পর্যায়ে চলে গেলে ব্রিটিশ সরকার অচিরেই এটি দমন করে। এর পরেই ব্রিটিশ সরকার ক্ষমতা হন্তান্তরের জন্য কংগ্রেস এবং মুসলিম লীগের সাথে আলোচনা শুরু করে দেয়। বড় লাট লর্ড ওয়াভেল ১৯৪৫ সালের জুন-জুলাইতে সিমলায় সব রাজনৈতিক দলের একটি সম্মেলন ডাকেন। কিন্তু এই আলোচনায় বাস্তব কোনো ফল পাওয়া যায়নি। কংগ্রেস এবং মুসলিম লীগের নেতাদের মধ্যে মতৈক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

১৯৪৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারতবর্ষে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দেখা যায় ভারতীয়রা স্পষ্টত কংগ্রেস বা মুসলিম লীগের প্রতি তাদের আনুগত্যের ভিত্তিতে বিভক্ত। এ দিকে, ইংরেজ সরকার দেশদ্রোহিতার অভিযোগে সুভাষচন্দ্র বসুর ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (আইএনএ) অফিসারদের বিচার শুরু করলে চার দিকে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মুম্বাইতে রাজকীয় নৌবাহিনীতে বিদ্রোহের সূত্রপাত। একই সাথে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্যেও বিদ্রোহী মনোভাবের সৃষ্টি হয়। এ পর্যায়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট অ্যাটলি ভারতীয় নেতাদের সাথে আলোচনার জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ‘কেবিনেট মিশন’ প্রেরণ করেন। মিশন অবিলম্বে একটি গণপরিষদ গঠন এবং ভারতীয়দের নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের সুপারিশ করে।

মুসলিম লীগের ‘পাকিস্তান প্রস্তাব’ সরাসরি গ্রহণ করা হয়নি। তবে সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে প্রদেশগুলোর গ্রুপিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কংগ্রেস এবং মুসলিম লীগ আপত্তি সত্ত্বেও সুপারিশগুলো মানতে রাজি হলো। কিন্তু পুরো পরিকল্পনাই বানচাল হয়ে যায়। কারণ, নেহরু জেদ ধরেন- কংগ্রেস কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই সংবিধান তৈরি করবে। ফলে মুসলিম লীগ নেহরুর অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভা গঠন বানচাল করার চেষ্টা করে এবং দেশ বিভক্তির জন্য ১৯৪৭ সালের গোড়া থেকে প্রচণ্ড আন্দোলন শুরু হয়ে যায়।

অ্যাটলি তখন লর্ড মাউন্টব্যাটেনকে ভারতের বড় লাট নিয়োগ এবং ১৯৪৮ সালের জুন মাসের মধ্যে ভারতে ব্রিটিশ শাসন অবসানের সময়সীমা নির্ধারণ করেন। এরপরেই ঘটনাবলি দ্রতগতিতে এগোতে থাকে। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ভারত বিভক্তি কার্যকর হয়।

জাতীয় কংগ্রেসই ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরোধা রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে অভিহিত। আর দীর্ঘদিন থেকেই দলটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছে নেহরু তথা ‘গান্ধী পরিবার’। গত ২০১৪ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস দক্ষিণপন্থী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কাছে ক্ষমতা হারালেও আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের বিজয়ের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিগত শতাব্দীর শেষ দিক থেকে ভারতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে দক্ষিণপন্থী উগ্র বিজেপি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে বিজেপিকে মোকাবেলা করার দায়িত্ব রাহুল গান্ধীর ওপর বর্তেছে। নির্বাচনের দিন-ক্ষণ ঘনিয়ে আসার মধ্যেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে দলের শীর্ষ পদে বসানোর মধ্য দিয়ে রাহুলের ওপর চাপ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল কংগ্রেস। তারা সে সময় মাত্র ৪৪টি আসন লাভ করে। উত্তর প্রদেশে তখন কংগ্রেসের ভোটের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছিল মাত্র আট শতাংশ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ রাজ্যে ‘ভাগ্য ফেরাতে’ কংগ্রেসের নতুন আইডিয়া ও নতুন মুখের প্রয়োজন। প্রিয়াঙ্কা খুবই জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব এবং তাকে রাজনীতিতে নিয়ে আসায় বিজেপি নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে কংগ্রেস মহল এখন ফুরফুরে মেজাজে আছে।

জাতীয় রাজনীতিতে দীর্ঘ দিন ধরেই প্রভাবশালী অবস্থান গান্ধী পরিবারের। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর দাদীর বাবা জওয়াহেরলাল নেহরু ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। তার দাদী ইন্দিরা গান্ধী ও বাবা রাজীব গান্ধীও দেশটির প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। মা সোনিয়া গান্ধী প্রায় দুই দশক কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। ২০১৭ সালে এ দায়িত্ব দেয়া হয় প্রিয়াঙ্কার ভাই রাহুল গান্ধীকে। রাজনীতিতে প্রিয়াঙ্কা তেমন অপরিচিত নন, কিন্তু এর আগে তার কর্মতৎপরতা মা ও ভাইয়ের আসন আমেথি এবং রায়বেরেলিতেই সীমাবদ্ধ রাখতেন।

প্রিয়াঙ্কা বিয়ে করেছেন ব্যবসায়ী রবার্ট ভদ্রকে। বিজেপির অভিযোগ, ব্যবসায়িক লেনদেনের ক্ষেত্রে ভদ্র ‘দুর্নীতির আশ্রয়’ নিয়েছেন। অবশ্য কংগ্রেস বিজেপির এ অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কংগ্রেস ক্রমেই জোরালো অবস্থানে উন্নীত হচ্ছে। গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রাজস্থান, ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশের মতো উল্লেখযোগ্য রাজ্যগুলো বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় এই দল। ২০১৪ সালে ক্ষমতা নেয়ার পর এবারই বিজেপি সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মুখোমুখি হয়েছে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কংগ্রেসের শীর্ষপদ গ্রহণ করায় লোকসভা নির্বাচনে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল।

অপর দিকে, বেশির ভাগ জরিপে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি এগিয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা এখনো শীর্ষস্থানে। তবে এগিয়ে থাকা সব সময় শেষের খবর দেয় না। এ মাসে আঞ্চলিক সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টির নেতারা মোদিকে চ্যালেঞ্জ করার লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। অন্য দিকে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও কয়েক দিন আগে বড় আকারের একটি সমাবেশের আয়োজন করেন, যাতে বিজেপি-বিরোধী দলগুলোর বেশির ভাগই অংশ নিয়েছিল।

আনুষ্ঠানিকভাবে প্রিয়াঙ্কার রাজনীতির প্রবেশ করা মোদি ও ক্ষমতাসীন দলের ওপর আরো চাপ সৃষ্টি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পর্যবেক্ষকদের অভিমত হলো, রাজনীতিতে প্রিয়াঙ্কার প্রবেশ ক্ষমতার খেলার ফল বদলে দিতে পারে। কারণ মানুষ তার মধ্যে ‘ইন্দিরা গান্ধীর প্রতিফলন’ দেখতে পায়। তিনি রাহুলের চেয়ে অনেক বেশি ক্যারিশম্যাটিক। তিনি কংগ্রেসের ট্রাম্প কার্ড বা তুরুপের তাস।

ভারতীয় রাজনীতিতে পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাজনীতিতে আসার মাধ্যমে তা আরো জোরালো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ভিত্তি ক্রমেই দুর্বল হয়ে আসার প্রেক্ষাপটে প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের উদীয়মান ও তরুণ নেতৃত্বের প্রতি জনগণ ক্রমেই আস্থাশীল হয়ে উঠছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাই গান্ধী পরিবারের ভাই-বোনের নেতৃত্বে কংগ্রেসের ক্ষমতায় ফিরে আসার ব্যাপারে তারা আশাবাদী। বাস্তবতা দেখার জন্য এখন শুধু ক্ষণ গণনার পালা।
srdas1371@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি আহসান উল্লাহ ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বিবৃতি আনোয়ারায় বর্তমান স্বামীর হাতে সাবেক স্বামী খুন, গ্রেফতার ৩ ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বদরের শিক্ষায় ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : সেলিম উদ্দিন ইসলামের বিজয়ই বদরের মূল চেতনা : ছাত্রশিবির পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশে বছরে ২ লাখ ৭২ হাজার মানুষের মৃত্যু : বিশ্বব্যাংক নোয়াখালীতে ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ‘আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল কাজ করে যাচ্ছে’ পুকুরে পাওয়া গেল ১০০ ইলিশ অবন্তিকার আত্মহত্যা : জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন আবারো নামঞ্জুর

সকল