১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চান তরুণেরা

-

টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা শপথ নিয়ে পুরোদমে কাজ শুরু করেছেন। দেশবাসীর প্রত্যাশা, নির্বাচনে ঘোষিত ইশতেহারের প্রতিটি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবে নতুন সরকার। এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষিত বেকার তরুণদের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। উল্লেখযোগ্য প্রতিশ্রুতিগুলো হলো- দেড় কোটি বেকারের কর্মসংস্থান, তাদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর, শিক্ষার মান বাড়ানো, উদ্যোক্তা তৈরি ইত্যাদি। তবে একটি প্রতিশ্রুতির প্রতি তরুণ সমাজের বেশ আগ্রহ রয়েছে। তা হলো- সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো। গত ক’বছরে তরুণদের এ দাবি সব মহলে গুরুত্বের সাথে আলোচিত হয়েছে। প্রভাবশালী মন্ত্রীরাও বারবার তরুণদের আশার আলো দেখিয়েছিলেন। অথচ অজানা কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। অবশেষে গত সরকারের আমলে শেষ মুহূর্তে তরুণেরা শাহবাগ ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দাবি আদায়ে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেন।

এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কয়েক দিন আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একটি টিভি চ্যানেলের ‘সবিনয়ে জানতে চাই’ অনুষ্ঠানে এবং তরুণদের নিয়ে সিআরআই’র একটি অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবারে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ সরকার সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ এবারের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ফের ক্ষমতায় আসলে এটা বাস্তবায়ন করা হবে।

এবারের সংসদ নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহজাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা না রাখার বিষয়টি নিয়ে ওবায়দুল কাদের ও তারানা হালিম মন্তব্য করেছিলেন, বর্তমানে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটে বয়সসীমা একেবারেই তুলে দেয়া অযৌক্তিক। তাই আওয়ামী লীগ সরকার যৌক্তিকভাবে, বাস্তবতার নিরিখে ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বয়সসীমার সাথে সামঞ্জস্য রেখে এ বয়সসীমা বাড়াবে।

গত সাত বছর ধরে তরুণদের দাবি ছিল সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ বছর করা। এ দাবিতে প্রথম থেকে যেসব তরুণ আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, তাদের অনেকের বয়সসীমা এখন ৩৫-এর দ্বারপ্রান্তে। তাই সরকারের কাছে প্রত্যাশা, সবাই যাতে অন্তত আবেদনের সুযোগ পান; মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সেভাবেই এর বাস্তবায়ন করা দরকার।

ত্রিশোর্ধ্বদের জন্য সরকার এমন একটি আইন তৈরি করতে পারে, যেখানে এর প্রজ্ঞাপনের পরই কমপক্ষে তিন বছর পর্যন্ত আইনের আওতাভুক্তরাই শুধু সরকারি চাকরিতে আবেদন করতে পারবেন। এ বিশেষ আইনটি নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পর আপনা থেকেই বাতিল হয়ে যাবে। তরুণরা এর মাধ্যমে একটু সান্ত্বনা পাবেন।

নির্বাচনী ইশতেহারে রাখা অনেক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন সময়সাপেক্ষ। তবে চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর জন্য কোনো সময় বা বাড়তি পরিকল্পনার দরকার আছে বলে মনে হয় না। তাই ইশতেহারে রাখা এ প্রতিশ্রুতি যত দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে, আকণ্ঠ হতাশায় নিমজ্জিত সব বেকারের ততই মঙ্গল। নতুন সরকারের কাছে তরুণদের প্রত্যাশা, ইশতেহারে ঘোষিত চাকরিতে প্রবেশের বয়স সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন করে তরুণ সমাজের প্রতি সুবিচার করা হোক।
লেখক : প্রকৌশলী
nazmulhussen@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement
তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বিএনপি : কাদের রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত

সকল