২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

গণশক্তির আইনানুগ প্রতিরোধ

গণশক্তির আইনানুগ প্রতিরোধ - নয়া দিগন্ত

এক : এখন যা হচ্ছে
ক. বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে যাকে খুশি তাকে সন্দেহ বা গায়েবি মামলায় সম্পৃক্ততা দেখিয়ে- পোশাকি পুলিশ হলে গ্রেফতার, আর সাদা পোশাকি অপর কোনো গ্রুপ বা সংস্থা হলে অপহরণ করে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর আটক বা অপহৃত ব্যক্তির আত্মীয়স্বজন যখন রীতি ও আইনানুযায়ী সেই ব্যক্তির সন্ধানে নিকটস্থ থানায় যাচ্ছেন, তখন সেই থানার ওসি সাহেব প্রাথমিক অবস্থায় হয় সেই ব্যক্তির গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করছেন অথবা বলছেন, ‘আমরা আনিনি, কারা করেছে তা জানি না।’ বাহ, কী চমৎকার কথা! অথচ তার ওপরই রাষ্ট্র আইনানুগ দায়িত্ব দিয়ে রেখেছে- তার অধিক্ষেত্রাধীন এলাকায় সব ধরনের অপরাধ নিবারণ করা। আর তাতে ব্যর্থ হলে তা উদঘাটন করা।

খ. এরপর ভাগ্য ‘ভালো’ হলে নির্দিষ্ট একটা সময় পরে, যা অবশ্যই আটক/অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নয়, সেই হতভাগ্য ব্যক্তিকে অসুস্থ/অর্ধমৃত অবস্থায় আদালতে উপস্থাপন করে অস্বীকারকারী সেই পুলিশই রিমান্ড চাইছে। আর হতভাগা ব্যক্তিটির ভাগ্য খারাপ, কিন্তু তার আত্মীয়স্বজনের ভাগ্য ‘ভালো’ হলে কিছু দিন পরে নদী-নালা বা বনে-বাদাড়ে সেই ব্যক্তির লাশ পাওয়া যাচ্ছে। এরপর বেদনাবিধুর আত্মীয়স্বজন তাদের প্রিয়জনের সেই লাশটি নিজ কাঁধে বহন করে কবরস্থানে নিয়ে অন্তত দাফন করতে বা সেই কবরের পাশে দাঁড়িয়ে ফাতিহা পাঠের ‘সুযোগ’ পাচ্ছেন।

গ. আর যদি উভয়ের ভাগ্যই খারাপ হয়, তাহলে সেই অধম বনিআদম চিরতরে নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছেন। এই নিখোঁজ হয়ে যাওয়া দু’টি কারণে তুলনামূলক বেশি করুণ। প্রথমত, প্রতীক্ষার প্রহরের এ শোক জীবদ্দশায় কখনোই শেষ হয় না। আর দ্বিতীয়ত, নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ব্যক্তিটির রেখে যাওয়া সহায়-সম্পদ তার বৈধ উত্তরাধিকারীরা শত প্রয়োজনেও বেচাবিক্রি করতে পারে না। অর্থাৎ নিখোঁজ হওয়া মানেই ব্যক্তি ও তার সম্পদ, উভয়েই তার আত্মীয়স্বজন ও উত্তরাধিকারীদের কাছ থেকে চিরতরে ‘নাই’ হয়ে যাওয়া।

অথচ পুলিশ অথবা পুলিশের ছদ্মবেশে অপর কোনো গোষ্ঠী বা সংস্থা, যাদের ওপর জনগণের জানমাল রক্ষার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব অর্পিত, অর্থাৎ জানমালের ওপর হুমকি সৃষ্টি হলে নাগরিকেরা যাদের কাছে আশ্রয় চাইবেন, তাদের মধ্যে মুষ্টিমেয় যারা এখন এমন কাজ করছে তারা রীতিমতো ফৌজদারি অপরাধই করছে। আর এই ফৌজদারি অপরাধ থেকে পরিত্রাণ তথা নাগরিকদের জানমাল রক্ষার জন্য অপরাপর যেসব সরকারি বা রাষ্ট্রীয় বৈধ সংস্থা রয়েছে, তারা কোনো কার্যকর ভূমিকাই রাখছে না।

তারা হয় নিশ্চুপ থাকছে অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাতে সহায়তা করে যাচ্ছে। এ কারণেই উপরোল্লিখিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ তথা মানব জান ও মাল রক্ষাকল্পে আইনানুগ গণশক্তি প্রয়োগ এখন একান্তই অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। যত দেরি হবে আমাদের অপূরণীয় এ ক্ষতির পরিমাণ দিন দিন তত বাড়তেই থাকবে।

দুই : গায়েবি মামলা
অপরাধজনক কোনো ঘটনাই ঘটেনি, অথচ পুলিশ নিজে বাদি হয়ে কাল্পনিকভাবে এমন মিথ্যা মামলা রুজু করেছে। যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের কেউ মৃত, চলাফেরায় অক্ষম পঙ্গু, কেউ বিদেশে বা হাসপাতাল বা অন্য মিথ্যা মামলায় জেলহাজতে। এমন মামলা রুজু শুধু অন্যায়ই নয়, আইনানুগভাবে ফৌজদারি কারাদণ্ডনীয় অপরাধ। আর সেই মামলায় ‘এজাহার নামীয় বা সন্দিগ্ধ আসামি’ তকমা দিয়ে কাউকে গ্রেফতার করা আইনের ভাষায় ‘অন্যায় আটক’। এমন অন্যায় আটক শুধু অন্যায়ই নয়, আইনানুগভাবেও ফৌজদারি কারাদণ্ডনীয় অপরাধ।

নিম্নস্তরের পুলিশ কর্মকর্তাদের এমন অপরাধজনক কুকর্ম দেখা ও প্রয়োজনানুগ ব্যবস্থা নেয়া ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং নিম্ন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট-জজদের আইনি দায়িত্ব। অথচ তাদের সেই দায়িত্ব পালনের ওপর ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ যুক্তিসঙ্গত কারণেই আস্থা রাখতে পারছে না। তাদের গাফিলতি, উদাসীনতা, ক্ষেত্রভেদে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্রশ্রয়ের কারণে নাগরিকদের জানমাল, সম্মান ইত্যাদির ক্ষতি হচ্ছে অপরিসীম। নিরুপায় জনগণকে তাই নিজের জান-মাল-ইজ্জত রক্ষায় আইনানুগ পন্থায় নিজের ব্যবস্থা নিজে নেয়া ছাড়া এখন আর কোনো গত্যন্তর নেই।

তিন : এ ক্ষেত্রে জান-মাল-ইজ্জত রক্ষায় আইনানুগ পন্থা (দণ্ডবিধি ধারা : ৯৯-১০৩)
১. একজন ব্যক্তি যদি উপরোল্লিখিত বর্ণনানুযায়ী নিজে আক্রান্ত হন (অথবা অপর কোনো ব্যক্তিকে আক্রান্ত হতে দেখেন), যাতে তার মনে এই আতঙ্ক সৃষ্টি করে যে, এই আক্রান্ত হওয়ার ফলে তার (অথবা সেই ব্যক্তি) মৃত্যুবরণ অথবা গুরুতর আহত হতে পারেন- অথবা
২. এমন আশঙ্কা সৃষ্টি করে যে, এই অন্যায় বা বেআইনি আটকের পর সেই আটকাবস্থা থেকে মুক্তির জন্য বৈধ কোনো সরকারি কর্তৃপক্ষের সাহায্য তিনি পাবেন না।

তাহলে তেমন আক্রান্ত অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য যতটুকু প্রয়োজন আক্রমণকারীর বিপক্ষে ততটুকু বল প্রয়োগ করে তিনি তা থেকে নিজে মুক্ত হতে (বা অপরকে মুক্ত করতে) পারেন। তাতে আক্রমণকারীর পরিণতি যা-ই হোক আইনগত কোনো বাধা নেই। কেননা এই ক্ষমতা আইনই প্রত্যেক ব্যক্তিকে দিয়েছে।
তবে নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলো অতি সতর্কতার সাথে খেয়াল রাখতে হবে-

ক. কোনো সত্য মামলাসংক্রান্তে অথবা আদালত থেকে জারি ওয়ারেন্ট মূলে (তা যদি মিথ্যা মামলারও হয়) নিজ পরিচয়দাতা পুলিশ যখন কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে, তখন সেই পুলিশ দলের বিরুদ্ধে এই অধিকার প্রয়োগ করা যাবে না।

খ. কোনো মিথ্যা বা গায়েবি মামলায় অথবা কোনো মামলা না থাকলেও শুধু রাজনৈতিক কারণে যখন কোনো ব্যক্তি বা কর্মীকে হয়রানিমূলক আটক করা হয়, তখন এই অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে যখনই সেই আশঙ্কা কেটে যাবে, তখন সাথে সাথেই আক্রমণকারীর ওপর সেই বল প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে।
চার : কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে পুলিশ যে প্রক্রিয়ায় তা সম্পন্ন করবে [৫৫ ডিএলআর (২০০৩) ৩৬৩]

১. গ্রেফতারকারী পুলিশ (ইউনিফর্ম বা ডিবি পুলিশ, যাই হোক না কেন) গ্রেফতার করার সময় অবশ্যই তার নিজের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করবে।
২. গ্রেফতার করা ব্যক্তি যদি গ্রেফতারকালীন সময়ে অসুস্থ থাকেন বা আহত হন, তবে গ্রেফতারকারী পুলিশ তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে হাজির করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ডাক্তারি সনদ গ্রহণ করবে।
৩. গ্রেফতার করা ব্যক্তিকে যদি তার নিজ বাড়ি বা কর্মস্থল থেকে গ্রেফতার না করে অন্য যেকোনো স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে গ্রেফতারকারী পুলিশ এমন গ্রেফতারের বিষয়টি এক ঘণ্টার মধ্যে হয় ফোনে অথবা কোনো বাহকের মাধ্যমে গ্রেফতার করা ব্যক্তির নিকটাত্মীয়স্বজনকে অবহিত করবেন।
৪. গ্রেফতার করা ব্যক্তিকে তার পছন্দমতো আইনজীবীর সাথে পরামর্শ এবং তার নিকটাত্মীয়দের সাথে তার চাহিদানুযায়ী সাক্ষাতের সুযোগ দিতে হবে।
৫. রিমান্ডে নেয়ার পর শুধু সেই মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে, অন্য কেউ নয়।

পাঁচ : বেআইনি ও অপরাধমূলক কার্য সম্পন্নকারী ব্যক্তি (পুলিশ) শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া
প্রশ্ন উঠতে পারে, আত্মরক্ষামূলক আইনগত এই অধিকার প্রয়োগের প্রধান যে দু’টি ক্ষেত্র যেমন- ১. আক্রান্ত ব্যক্তি হয় মৃত্যুবরণ কিংবা গুরুতর আহত হতে পারেন, অথবা ২. এমন আটকাবস্থা থেকে মুক্তির জন্য বৈধ কোনো সরকারি কর্তৃপক্ষের সাহায্য পাবেন না- কিভাবে সেটি অপরের বা প্রয়োজনে আদালতের সম্মুখে প্রমাণ করবেন? সেটি প্রমাণ করতে হলে তো তাকে হয় নিহত-আহত হতে হবে অথবা আটক হয়ে তা দেখাতে হবে। নাহ! তা নয়। এখানে ‘কাদম্বিনীকে মরিয়া প্রমাণ করার দরকার নাই যে, সে আগে জীবিত ছিল’।

মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ এবং ‘আইন ও সালিস কেন্দ্র’-এর এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২০০৯ থেকে নভেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে এমন নির্মম বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন এক হাজার ৮৬১ জন, যার মধ্যে ৪০৬ জন শুধু এই নির্বাচনী বছর ২০১৮-এর গত ১১ মাসে।

২০০৯ থেকে মে ২০১৮ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নামে আটকের পর তা অস্বীকারের মাধ্যমে চিরতরে নিখোঁজ হয়েছেন ৪৩০ জন হতভাগ্য ব্যক্তি। নির্বাচন কমিশন ও প্রধানমন্ত্রীর চাহিদা অনুযায়ী, বিরোধী দল বিএনপি গত নভেম্বর ১৮ মাসেই উভয় কার্যালয়ে তৎপূর্ববর্তী মাত্র দেড় মাস সময়ে তাদের নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা মোট দুই হাজার ৪৮ মামলার তালিকা দেয়। যাতে এজাহার নামীয় আসামির সংখ্যা ছিল ৪৮৭ জন, অজ্ঞাত নামীয় কয়েক লাখ।

যার মধ্যে গ্রেফতার করা হয় ৭৭৩ জনকে। এ হিসাব ১৬ নভেম্বর ২০১৮ থেকে ১২ ডিসেম্বর ২০১৮-এর বাইরের। অপর আরেকটি পত্রে প্রতিকারের দাবি করে বিএনপি জানায়- ২০০৯ থেকে সেপ্টেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত তাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়েছে ৯০ হাজার ৩৪০টি। যাতে আসামি করা হয় ২৫ লাখ ৭০ হাজার ৫৪৭ জনকে। এদের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে জেলহাজতে আছেন ৭৫ হাজার ৯২৫ জন। এ ছাড়াও মোট নিহত হয়েছেন এক হাজার ৫১২ জন নেতাকর্মী। যার মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার ৭৮২ জন। গুম হয়ে যাওয়া এক হাজার ২০৪ জন নেতাকর্মীর মধ্যে পরবর্তীকালে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ৭৮১ জনকে। অর্থাৎ এখনো নিখোঁজ নেতাকর্মীর মোট সংখ্যা কম-বেশি ৪২৩ জন।

উল্লেখ্য, গুরুতর জখম ও আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে আছেন ১০ হাজার ১২৬ জন নেতাকর্মী। এগুলো নিছকই শুধু পরিসংখ্যান নয়, বরং পুত্রহারা পিতামাতা, পিতাহারা সন্তান, স্বামীহারা স্ত্রী আর স্বজনহারাদের আকাশ-বাতাস বিদীর্ণ করা আর্তনাদ। যা হোক, যেখানে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দু’টি সরকারি কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও এ বিষয়ে কোনো প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা অদ্যাবধি নেয়া হয়নি, সেখানে স্থানীয় পুলিশ বা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ তো অনেক দূরের কথা।

তাই এটা মোটামুটি নিশ্চিত, ইতঃপূর্বে হাজারো নেতাকর্মী বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও গুমের শিকার এবং লক্ষ নেতাকর্মী মিথ্যা-গায়েবি মামলায় হয়রানির শিকার হলেও রাষ্ট্রের কোনো বৈধ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তারা আশ্রয় লাভ করতে পারেননি। সুতরাং আসন্ন নির্বাচন-পূর্ব দিনগুলোতে বর্তমানদের সে আশা করা কেবল দুরাশাই নয়, রীতিমতো বোকামিও।

তাই এ ধরনের মিথ্যা ও গায়েবি মামলা রুজুকারী, আটক বা অপহরণ করে এমন খুন-গুম ও গুরুতর আহত করার সাথে যেসব ব্যক্তি জড়িত, সেই যে-ই হোক, তাদের যদি শনাক্ত করা যায়, তবে সেসব চিহ্নিত ব্যক্তিরা যখনই এমন কর্মের পুনরাবৃত্তির সূচনা করে তখন আর কালবিলম্ব না করে আইনসঙ্গত উপায়ে নিজের এবং অপরের জান ও মাল রক্ষায় সম্মিলিতভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তেই হবে। আপাতত এর আর কোনো বিকল্প নেই।

ছয় : উপসংহার
হিটলারের ‘দুই পারদর্শী হাত’- প্রপাগান্ডায় গোয়েবলস আর মানুষ হত্যায় রোমেল। সেই রোমেলের বিখ্যাত উক্তি- যদি তুমি গুনে-বেছে মানুষ হত্যা করো, তাহলে অন্যরা শোকে মাতম করবে। কিন্তু যদি তুমি তা করো ব্যাপকাকারে, তাহলে অন্যের কাছে তা হবে নেহায়েতই একটি পরিসংখ্যান। আর মানুষের চাহিদার স্তর ধাপে ধাপে বাড়ে। প্রথমে সে চায় নিরাপত্তা। এরপর মৌলিক চাহিদার পূরণ। যখন তা নিশ্চিত হয়ে যায়, তখন সে পেতে চায় বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র। সুতরাং যদি নিরঙ্কুশ স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাও, তবে মানুষের জীবন-জীবিকাকে নিরাপত্তাহীন করে ফেল। তাহলে সারাক্ষণই তারা তাই নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। চিন্তা করার ফুরসতই পাবে না তার মৌলিক অধিকারগুলোর। আর বাকস্বাধীনতা, গণতন্ত্র! সে কথা তারা ভুলেই যাবে। আমরা এখন সেই রোমেল-নীতি বাস্তবায়নের শিকারে পরিণত হয়েছি। কিন্তু যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করা এ দেশের যোদ্ধারা তা হতে দেবেন না। ইনশা আল্লাহ!

লেখক : ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ


আরো সংবাদ



premium cement
আল-আকসায় কোনো ধরণের সহিংসতা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হলো তৃতীয় জুমআর জামাত ‘পেশাগত স্বার্থে সাংবাদিকদের ঐক্যবব্ধ হতে হবে’ গাজাবাসীর প্রধান কথা- ‘আমাদের খাবার চাই’ অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক জনতার ঐক্যের বিকল্প নেই : ডা: শফিকুর রহমান সোনাগাজীতে জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পুরস্কার পেল ২২ কিশোর গফরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ

সকল