২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাড়িতে পুলিশ গেছে!

বাড়িতে পুলিশ গেছে! - ছবি : সংগৃহীত

কেউ কেউ মনে করেন, কারো বাড়িতে পুলিশ গেলেই সেই লোকের এবং সেই বাড়ির সবার নাকি মান-সম্মান গেছে। এ এক আজব ধারণা। কারণ, অনেক সময় মামলার তদন্ত করতে প্রয়োজনীয় তথ্য জানার জন্য পুলিশ অনেকের বাসায় বা বাড়িতে যায়। এ জন্য সেই লোকের সম্মান যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। বরং সেই ব্যক্তি পুলিশকে প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য দিতে পারলে ধন্য। আর এটা পুলিশের দায়িত্ব। আবার কেউ পাসপোর্ট করতে চাইলে, পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে যাচাই করবে, তার দেয়া ঠিকানা সঠিক কি না? সে আসলেই বাংলাদেশের নাগরিক কি না? কেউ সরকারি চাকরিতে যোগদান করার সময়, সরকারকে দেয়া তার ঠিকানা যাচাই করার জন্যও পুলিশ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বাড়িতে যাবে। তাই, কারো বাড়িতে পুলিশ যাওয়া মানেই এমন নয় যে, তাদের মানসম্মান গেছে।

অনেক ফৌজদারি আইন আছে, যে ক্ষেত্রে একজনের বিরুদ্ধে কেউ মামলা করলে দোষ প্রমাণিত হওয়ার আগেই তার বিরুদ্ধে গ্রফতারি পরোয়ানা জারি হয়। তাই একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে মানেই এই নয় যে, সে খারাপ। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিষ্পাপ অনেক লোক এভাবে গ্রেফতার হয়ে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর হাজতবাস করে। তার অর্থ এই নয় যে, সে ঘৃণার পাত্র। বরং ঘৃণা ও নিন্দা করতে হবে সেই জালেমদের বিরুদ্ধে, যারা মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে। অনেক খারাপ নারী তার পরকীয়া প্রেম মেনে নিতে স্বামীকে বাধ্য করার জন্য স্বামীর বিরুদ্ধে জঘন্য অভিযোগে গোপনে নারী নির্যাতন মামলা করে। এক সময় দেখা যায়, হঠাৎ সেই পুরুষ লোকটিকে কর্মস্থল থেকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ! তার অর্থ এই নয় যে, এই পুরুষ লোকটি অপরাধী। বরং অভিযোগকারী সেই নারীই দ্বিগুণ অপরাধী। পৃথিবীর অধিকাংশ বিখ্যাত এবং বরেণ্য ব্যক্তিরাও জেল খেটেছেন। পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল!

বাস্তবে দেখা যায়, অপরাধী লোকেরাই বরং তাদের বাড়িতে পুলিশ গেলে অপমানিত বোধ করে। আর নিরপরাধ লোকের বাড়িতে পুলিশ গেলে সে কখনোই অপরাধবোধ করে না। পুলিশ তো আমাদের মতোই মানুষ। পুলিশের কাজই হচ্ছে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক গ্রেফতার করা। কেউ কেউ মনে করে, পুলিশ মানেই ঘুষ! এটাও একটা ভুল ধারণা। সব পুলিশ ঘুষ নেয় না। অনেক সৎ পুলিশ আছে দেশে।

বরং আমজনতার মধ্যে যারা কথায় কথায় পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষের অভিযোগ তোলে, তারা অনেকেই ব্যক্তিজীবনে গড়পড়তা অসৎ পথে চলে। পুলিশের কথা বলে নিজের দোষ ঢাকতে চায়। পুলিশের মা, বাবা ও স্ত্রী যদি নিজেদের চাহিদার তালিকা ছোট করে, তবে অনেক পুলিশই আর ঘুষ নেবে না। মা, বাবা, স্ত্রী ও আত্মীয়রাই পুলিশসহ সব নবীন চাকরিজীবীকে ঘুষের পথে ঠেলে দেয়। বাস্তবতা মেনে নিন। যারা কথায় কথায় পুলিশের সাথে ঘুষের সম্পর্ক আনেন, তারা সবাই ব্যক্তিজীবনে সৎ হলে দেখা যাবে দেশের সব পুলিশ সৎ হয়ে গেছে। অনেক বাবা-মা আছে যারা চায়, তার সন্তান যেন পুলিশে চাকরি পায়। কেননা এতে করে ঘুষ খেয়ে ছয় মাস, এক বছরেই বাড়িতে দালান বানানো যাবে।

তাই ওই পুলিশকে নিন্দা করার সাথে সাথে তার সংশ্লিষ্ট বাবা-মায়ের এমন মানসিকতারও নিন্দা করতে হবে জোরালোভাবে। পাশাপাশি নিজেকে সৎ হতে হবে। সব কিছুতেই ব্যতিক্রম আছে, ব্যতিক্রম কখনোই উদাহরণ নয়।
লেখক: চিকিৎসক, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা


আরো সংবাদ



premium cement
কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দনাইশ, বাঁশখালী ও বোয়ালখালীতে ৩ জনের মৃত্যু

সকল