২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভোটকেন্দ্র পাহারা ও জানা-অজানা শঙ্কা

-

এবারের শীতের আমেজের মধ্যে দেশের চার দিকে এখন একটিই সুর। নগর-শহর পেরিয়ে গ্রামগঞ্জের আনাচে-কানাচে ও সংসদ নির্বাচনের ডামাডোল বেজে চলেছে। চায়ের স্টলগুলোতে দুধসরযুক্ত ধোঁয়া ওঠা চা অথবা হেমন্তের নতুন চালের ভাপা পিঠার সুগন্ধ ছাপিয়ে জমে উঠেছে নির্বাচনী আলোচনা ও তর্কবিতর্ক। আর মাত্র কয়েকটি দিন। তারপরই ভোট। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে গঠিত হবে নতুন একটি সংসদ। এটাই জাতির এই মুহূর্তের প্রত্যাশা! জনগণ জেনে গেছেন, তাদের নির্বাচনী এলাকার সংসদীয় কাণ্ডারি পদে কারা প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হতে চলেছেন। শত বিপত্তির মাঝেও এমন একটি উৎসবমুখর পরিবেশ জাতির জন্য বেশ আশাপ্রদ বৈকি।

যেনতেন একটি নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর সবাই ভেবেছিলেন দশম সংসদ বেশি দিন টিকবে না। কিন্তু টিকে গিয়েছে পুরো পাঁচ বছর। সবাই স্বীকার করবেন যে, গৃহপোষ্য বিরোধী দল ও আজ্ঞাবহ জনপ্রশাসন এবং একটি বহিঃসেবাদাস চক্র এই সংসদকে প্রভূত সহায়তা করেছে- ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য। রাজনীতিতে আনকোরা হয়েও প্রায় বিনা ভোটের নির্বাচনে জয়লাভ করে, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা উপেক্ষা করার সুযোগে তারা অনেকেই বিপুল সম্পদের মালিক হয়ে গেছেন। অনেক অখ্যাত ব্যবসায়ী নির্বাচনে জিতে নিজেদের বিভিন্ন বেনামী, অবৈধ ব্যবসাকে সম্প্রসারিত করারও সুযোগ পেয়েছেন। গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে এবারের নির্বাচনী হলফনামার বিবরণ অনুযায়ী, গত ১০ বছরে কেউ কেউ বৈধ আয় অপেক্ষা ৫২৭ গুণ বেশি সম্পদ অর্জন করেছেন (প্রথম আলো ০৮.১২.২০১৮)।

সিপিডির রিপোর্ট অনুযায়ী গত ১০ বছরে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে দেশের ব্যাংকগুলো থেকে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে (আমাদের সময় ০৮.১২.২০১৮)! দেশের কোটিপতি ধনী মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। এর কারণ হলো, উন্নয়ন কর্মসূচিগুলো সর্বতো জনঅংশগ্রহণমূলক না হয়ে ‘একচোখা’ উন্নয়নসূচি ছিল। সেখানে পরিকল্পিত উপায়ে যথেষ্ট কাজ না করে দ্রুত দায়সারা কাজ করানো হয়েছে। এসডিজি অর্জনের রূপরেখার কথা বলা হলেও সেগুলো বাস্তবায়ন না করায় টেকসই উন্নয়ন হয়নি। ফলে দেখা গেছে রাস্তা-ব্রিজ তৈরি বা মেরামতের ছয় মাস না যেতেই তা ভেঙে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে। উন্নয়ন ব্যয় বহুবার বহুগুণ বর্ধিত করার পরও মানুষ কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে না। অর্থাৎ, ‘উন্নয়ন’ করা হয়েছে; কিন্তু অদূরদর্শিতা, দলপ্রীতি ও অনৈতিকতা জড়িয়ে থাকায় উন্নয়নের সুফল উধাও হয়ে গেছে।

একজন মন্ত্রী এক বক্তৃতায় স্বীকার করেছেন, বাংলাদেশে এখনও তিন কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে। দেশে শিক্ষিত বেকার শতকরা ৪৭ শতাংশ পার হয়েছে এবং দ্রুত ওদের যথাযথ কর্মসংস্থান করা না গেলে ‘শিক্ষিত বেকার যুববিপ্লব’ ঘটে যেতে পারে। নিয়ন্ত্রণহীন যানবাহন এবং রাস্তায় নৈরাজ্য নিয়ে একটি ‘কিশোর বিপ্লব’সহ নানা উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে গেছে। এ ছাড়া, প্রতিনিয়ত ক্ষমতা হারানোর অজানা আশঙ্কায়, বিরোধীদের দমন-পীড়নের মাধ্যমে ও ‘গায়েবি’ মামলা দিয়ে জেলখানায় পাঠিয়ে নিজেরা টিকে থেকে ‘একাই খাবো’ নীতি অবলম্বন করা হয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষমতাসীনেরা বিরোধীদের জন্য একটি ভীতিকর ও নাজুক অবস্থা সৃষ্টি করে আজ্ঞাবহ জনপ্রশাসন দিয়ে ওপেন সিক্রেট বলয় তৈরি করে আবার ভোটবিহীন নির্বাচন করার দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য খুব তোড়জোড় শুরু হয় এবং বিরোধী জনপ্রিয় রাজনীতিকদের মামলায় জড়িয়ে জেলে আবদ্ধ রেখেই নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। হয়তো আশা একটাই, বিরোধী দল ছাড়া পুনরায় একটি পোষ্য বিরোধী দল করে সংসদে ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে।

কিন্তু বিগত দশ বছরে বাংলাদেশের মানুষ নিজেদের অধিকার সম্পর্কে অনেক সচেতন হয়েছে। মানুষদের বিবেককে নানাভাবে রোধ করার চেষ্টা করা হলেও সবার বিবেকবোধকে রুদ্ধ করা যায়নি। বলা যায়- বিরোধী দলগুলো যখন দিশেহারা এবং ক্ষমতাসীনেরা যখন দ্রুততার সাথে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত; যখন তাদের সাথে ‘বিনা ভোটে সংসদে যাওয়ার পথ খোলা, চল আমিও এমপি হই’- এই পরিস্থিতি; তখন ক্ষমতাসীন শিবিরে নমিনেশন ফরম কেনা-তোলা নিয়ে হৈ-হুল্লোড়! একপক্ষের মারামারি করে দু’জনের প্রাণহানি এবং অন্য পক্ষের পুলিশের সাথে সংঘর্ষ ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করার ঘটনাও ঘটেছে। রাজনীতি আজকাল সবচেয়ে লাভজনক প্লাটফর্মের রূপ নিয়েছে।

রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সবকিছুতেই একটা ‘ছাড়’ পাওয়া যেতে পারে- এই ভাবনা নতুন প্রজন্মের মনে জেঁকে বসেছে। এই আশায় নমিনেশন পেতে ব্যবসায়ী-কৃষক, মৎস্যজীবী, নায়ক-নায়িকা, খেলোয়াড়, গায়ক-গায়িকা, সাবেক আমলা-পুলিশ-সেনা, শিক্ষক, শ্রমিক, সবার হুমড়ি খেয়ে পড়ার অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। এটা ঘটেছে প্রায় সব দলে। মনে হয়েছিল, রাজনীতি আর ‘নীতির রাজা’ নয়। মোহ-বাসনাত্যাগী প্রকৃত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রায় উধাও হতে বসেছেন। এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, আবারো বুঝি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অরাজনৈতিকদের হাতে দেশের মহান সংসদের নিয়ন্ত্রণ চলেই যাচ্ছে! অনেকের আশঙ্কা হচ্ছিল, তাহলে এবার দেশের ‘বারোটা’ বেজে যাবে। তাই দেশের প্রয়োজনে প্রকৃত রাজনীতিকদের রাজনীতিতে এগিয়ে আসা কর্তব্য।

এই আশঙ্কায় দেশের প্রকৃত রাজনীতিবিদদের কারো কারো হৃদয়ে অশনি সঙ্কেত শুরু হয়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় গণতন্ত্র ও জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষার মানসে যে ক’জন এগিয়ে আসেন, তাদের পুরোধা ৮২ বছর বয়স্ক বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন। তিনি জনগণের ভোটাধিকার সঠিকভাব প্রয়োগের জন্য ভোটের দিন সকাল সকাল ভোটকেন্দ্র উপস্থিত থাকা ও ‘পাহারা দেয়ার’ কথা বলেছেন; যাতে অন্য কেউ কেন্দ্রে গিয়ে চুপিসারে আগেই অন্যের ভোট দিয়ে ফেলতে না পারে। এর পাল্টা মন্তব্য হিসেবে ভোটকেন্দ্র ‘রক্ষা’ করার কথাও বলা হয়েছে। একটি পক্ষ ভোট দিতে না পারার আশঙ্কা ও জালিয়াতি ঠেকানোর জন্য ভোটকেন্দ্র ‘পাহারা দেয়া’; অন্যপক্ষ নিজের ছকমতো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় মোহভঙ্গ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে। ক্ষমতাসীনেরা কল্পনাও করেননি অথচ তাদের একজন অবহেলিত নেতার নেতৃত্বে এবং শত প্রতিরোধ ডিঙিয়ে বাস্তবে রূপলাভ করেছে সরকারের বিরোধী প্রাচীর।

এটা নির্বাচন বর্জন ঠেকিয়ে প্রাচীরকে মজবুত করে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা তৈরি করেছে। এমন একটি জনঐক্যকে ভয় পেয়ে আতঙ্কিত কণ্ঠের আর্তনাদ হিসেবে ভোটকেন্দ্র ‘রক্ষা’ করার মতো বিষয়গুলোর অবতারণা চলছে। নিয়মানুযায়ী এ কাজ দুটো করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আগেই বলেছি এ কাজের জন্য দায়িত্বশীলরা দেশের সেবক না হয়ে একটি দলের সেবাদাসের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। আশা করি, এবার সংসদ নির্বাচনে তাদের ভুল ভাঙবে এবং তারা নিরপেক্ষ থাকবেন। মূলত বর্তমান নির্বাচনী পরিবেশে কোনো দলের ভোট কেন্দ্র ‘পাহারা দেয়া’ বা ‘রক্ষা’ করা- উভয়টিই একটি রাষ্ট্রের গণতন্ত্রের সৌন্দর্যহীনতা ও জননিরাপত্তাহীনতার দুর্বল চরিত্র প্রকাশ করে। নির্বাচন কমিশন কি আসলেই জনগণের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ? সাধারণ মানুষ তাহলে কিসে আস্থা ফিরে পাবে? এর দায়ভার ও সমাধান এ মুহূর্তে অন্তত নিতে হবে ও দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই।

ড. কামাল হোসেনের আশঙ্কা অমূলক নয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, সাম্প্রতিক সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বেলা ১১টায় একটি ভোটকেন্দ্রে আমার নিজের ভোট দিতে গিয়ে শুনি, সব ব্যালট পেপার শেষ হয়ে গেছে! আমি ভেতরে ঢুকে এর প্রতিবাদ করায় হঠাৎ একজন- ‘স্যার এসেছেন’ বলে কোত্থেকে একটি ব্যালটের গুচ্ছপাতার প্রায় শেষ হওয়া অংশ আনলো। সেখানে তিনটি ব্যালট পেপার ছিল। আমাকে ভোট দেয়ার সুযোগ দিলেও আমার পরে যারা কেন্দ্রে এসেছিলেন, তারা ভোট দিতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকলেন। এক সময় হট্টগোল বেধে গেল। নিরাপত্তাহীনতা দেখে দ্রুত সরে যাওয়ার চেষ্টা করলাম।

সে দিন সকালেই এ ব্যাপারে কিছু গুঞ্জন শুনেছিলাম। কিন্তু বিষয়টা সত্যি হতে দেখে হতবাক হতে হলো। বিষয়টা ভোটকেন্দ্রের বাইরে এসে আরো বেশি ঘনীভূত হতে দেখেছি। সহকর্মীরা অনেকে ভোট দিতে না পেরে গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন। বিবিসির টিভি ক্যামেরাসহ কিছু লোককে সেখানে দেখেছি। পরে এর কোনো সুরাহা হয়েছে বলে শুনিনি। এই ছিল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দেয়ার অভিজ্ঞতা। তাই এমনটা এবারের সংসদ নির্বাচনে যেন কোথাও না ঘটে, সে জন্য আমি নির্বাচন কমিশন কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি। এটি আমার একার অভিযোগ নয়। দেশের অনেক জায়গায় এমনটা ঘটেছে বলে পরে জেনেছি।

মূল কথা হলো, আমার ভোট আমি নিজে দিতে চাই। ভোট চলাকালে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে আমি আমার ভোটাধিকার নিজ হাতে ব্যালটে সিল মেরে প্রয়োগ করতে চাই। নাগরিকরূপে এটা আমার সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার। কোনো অসভ্য, বর্বর, লোভী, অসৎ ব্যক্তি বা ব্যক্তির নিযুক্ত কেউ আমার আগে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে চুরি-জালিয়াতি করে অন্য কাউকে ভোট দিক, সেটার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিতে হচ্ছে। আর ড. কামাল হোসেন জনমনের আশঙ্কা ও আতঙ্ক থেকে এটি উপলব্ধি করে সবাইকে সাবধান ও সতর্ক থাকতে বলেছেন।

ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে ভোটকেন্দ্র ‘রক্ষা’ করার কথা বলা হলো। তবে এবার নির্বাচন কমিশন তাদের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন বলে শপথ নিয়েছেন। এই শপথ সুষ্ঠুভাবে পালন করতে দেখলেই জনগণ খুশি হবে। এ জন্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সেবাদানকারী জনবলকে একটি বিশেষ দলের ‘কর্মী’ না হয়ে দেশের সব জনগণের সেবায় স্বাধীনভাবে কাজ করতে নির্ভয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা চাই, দেশের তিন কোটি মানুষকে দারিদ্র্যসীমার আওতা থেকে মুক্তি দিয়ে দুর্নীতিমুক্ত, মাদকমুক্ত ও বেকারমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে একাদশ সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রত্যাশিত রাজনৈতিক পরিবর্তন আসুক। এর মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক অঙ্গনে টেকসই উন্নয়নের একটি মজবুত ভিত্তি গড়ে উঠুক- এটাই সবার কাম্য হওয়া উচিত।
লেখক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের ডিন, সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর ও সাবেক চেয়ারম্যান
E-mail : fakrul@ru.ac.bd


আরো সংবাদ



premium cement
ওসমানীনগরে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ২ সহ-অধিনায়ক হতে পারেন রিজওয়ান মেক্সিকোয় মেয়র প্রার্থী ছুরিকাঘাতে নিহত রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহেও ক্লাস বন্ধ ঘোষণা দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন : প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিবাদের শোষণ থেকে জনগণকে মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : মিয়া গোলাম পরওয়ার সিংড়ায় প্রতিমন্ত্রীর শ্যালককে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের নির্দেশ আ’লীগের চুয়াডাঙ্গায় হিট‌স্ট্রো‌কে যুবকের মৃত্যুর ৭ ঘণ্টা পর নারীর মৃত্যু ঢাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল, যশোরে দেশের সর্বোচ্চ ৪২.৬ শ্যালকদের কোপে দুলাভাই খুন : গ্রেফতার ৩

সকল