১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রভুত্ব ও দাসত্ব নয় চাই প্রকৃত বন্ধুত্ব

-

পৃথিবীতে কোনো মানুষ বা কোনো জাতি দাস হয়ে জন্ম নেয় না। স্বাধীন একটি সত্তা নিয়ে তার জন্ম হলেও কূটচালের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে তাকে দাসত্ব বা প্রভুত্বকে মেনে চলতে হয়। এটা একজন মানুষ এবং জাতির কাছে অসহনীয় হয়ে দাঁড়ায়। মাথা উঁচু করে শিরদাঁড়া সোজা করে কথা বলতে গেলে কে যেন তাতে বাধা দেয়। আমাদের মতো আরো অনেক দেশের অবস্থা আজ সেরকম।

আমরা প্রভু নয় বন্ধুত্বে বিশ্বাসী : উই বিলিভ ইন ফ্রেন্ডস নট মাস্টার্স। আমাদের ফরেন পলিসি যেভাবে চলছে সেটা নিয়ে বহু বিতর্ক চলছে, দেশের দেশপ্রেমিক বিশেষজ্ঞ মহলের মধ্যে। ২৬ সেপ্টেম্বর এবং ১ ডিসেম্বর ২০১৮ প্রভাবশালী একটি জাতীয় দৈনিক এ নিয়ে বড় ধরনের সম্পাদকীয় মতামত ছাপিয়েছে। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত যখন যা চাইবে, বলার সাথে সাথে তা বাস্তবায়ন হয়ে যাবে। আর বাংলাদেশ তার ন্যায্য পাওনাটুকু বারবার অধিকার বলা সত্ত্বেও সেটা বাস্তবায়ন হয় না। উদাহরণস্বরূপ তিস্তার পানি নিয়ে কয়েক বছর ধরে এ ব্যাপ্যারে বহু সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, সভা-সমিতি বাম ও ডান দল সবাই সোচ্চার ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু শাসক দল মনে হয় কানে তুলো দিয়ে রেখেছেন। কিছুই শুনতে নারাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়েকবার বলেছিলেন, ভারতকে আমার সরকার যা দিয়েছে তার ঋণ ভারত কখনো শোধ করতে পারবে না। বাংলাদেশ টিভি, বেসরকারি টেলিভিশন এবং পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত যারা চোখ বুলান তারা প্রধানমন্ত্রীর এই কথামালা অবশ্যই শুনে থাকবেন।

স্বাধীনতা পরবর্তী সরকারের নির্বাহী প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন, আমি বিদেশ থেকে ভিক্ষা করে আনি আর লুটেরার দল তা পাচার করে দেয়। বঙ্গবন্ধু তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে বলেছিলেন, ভারতের সৈন্য কবে বাংলাদেশ থেকে নিজ দেশে নিয়ে যাবেন। ইন্দিরা গান্ধী তখন বলেছিলেন আপনি যখন চাইবেন তখন। এর অর্থ দাঁড়ায় বঙ্গবন্ধু টের পেয়েছিলেন ভারতীয় বাহিনীরা বাংলাদেশ থেকে হানাদার বাহিনীর ফেলে যাওয়া অস্ত্র ও ভোগ্যপণ্য যা যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে সাহায্য সামগ্রী হিসেবে বহিঃরাষ্ট্র থেকে এসেছিল তার পুরোটাই ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করেছিল। সেই সময়ে জাতীয় দৈনিক গণকণ্ঠ এবং সাপ্তাহিক পত্রিকা হক কথা এবং সাপ্তাহিক ইত্তেহাদ পত্রিকায় এসব নিউজ হেডলাইন হিসেবে ছাপিয়েছিল। আমি এসব নিউজ পড়েছিলাম। সাধারণ মানুষ এসব নিউজ দেখে বিক্ষুব্ধ হয়েছিল; অনেকে তখন বলাবলি করেছিল- পিন্ডির জায়গায় দিল্লি, এ জন্য তো বাঙালি জাতি যুদ্ধ করিনি।

এরকম অবস্থা আমরা হতে দিতে পারি না। প্রশ্ন উঠতেই পারে, ভারত কি ষোলআনা সুবিধা আদায় করার জন্য আমাদের সাহায্য করেছিল। সুষম বাণিজ্য হতে পারে, যা সব দেশে হয়, কিন্তু একতরফা বাণিজ্য চাপিয়ে দিয়ে তার সাথে স্থল ট্রানজিট, ট্রান্সশিপমেন্টের মতো ব্যবস্থা চালুসহ বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে নৌ-করিডোর তৈরি করে দিয়ে নিজের ষোলআনা সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে ভারত। ইস্ট ইন্ডিয়া বণিকের বেশে আবির্ভূত হয়েছে ভারত। গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন করা হয়েছিল। ইস্ট অ্যান্ড ওয়েস্টের মধ্যে যে অর্থনৈতিক বৈষম্য বিরাজ করেছিল, ১৯৪৭-১৯৭০ এই ২৩ বছরে তা প্রতিরোধ যুদ্ধে রূপ নেয়, যাকে আমরা বলি মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতাযুদ্ধ। সর্বস্তরের গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ এবং সুষম অর্থনৈতিক বিকাশ সাধন ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা এওয়াজ বদল করলে সেই চেতনার মূল্য এখন জিরো। আমাদের মূল চেতনা কি উল্লিখিত আলোকে দৃঢ়তার সাথে আছে, যদি থাকে ভালো আর যদি না থাকে তা হলে বুঝতে হবে চেতনায় বড় ধরনের ফাটল ধরেছে। এই ফাটল রড-সিমেন্ট দিয়ে সারানো যাবে না।

একটি দেশপ্রেমিক সরকার দিয়েই এ ধরনের ফাটল মেরামত করা সম্ভব। পাকিস্তানের সাথে আমাদের পার্থক্যটা যে ছিল, সেটা যদি থেকেই যায়, তা হলে তো প্রকৃত স্বাধীনতার আস্বাদন আমরা পাবো না। পেতে পারি না এবং এটা অসম্ভব। আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষিত ছেলেমেয়েরা চাকরি পায় না, অথচ ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে ভারতীয় ডিগ্রিধারী ছেলেমেয়েদের। এসব নিউজ প্রতিদিন পত্রিকায় লিড নিউজ হয়ে প্রকাশিত হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা চলে যাচ্ছে প্রতি মাসে নিয়োগভাতা হিসেবে। একজন মন্ত্রী বলেছেন, আমাদের ছেলেমেয়েদের চেয়ে ওরা মেধাবী বেশি। তাই মেধা আমদানি করছি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য। বাংলাদেশ ভারতকে কী দেয়নি, বলতে গেলে সবটাই উজাড় করে দিয়েছে। উদাহরণস¦রূপ, উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যে প্রাদেশিক বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন দমনে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ সহায়তা দিয়েছিল বাংলাদেশ।

ভারতীয় মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, বাংলা সাবেক পশ্চিম বাংলা হলদিয়া বন্দর থেকে বাংলাদেশের সুন্দরবন দিয়ে পদ্মা ও ব্রহ্মপুত্র হয়ে ভারতের আসাম ও উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে নির্মাণাধীন নৌ-করিডোরে পণ্য পরিবহন করা হবে। প্রায় ৯০০ কিলোমিটার নৌ-করিডোর নির্মাণে ভারত সরকার পাঁচ হাজার কোটি রুপি ব্যয় করবে বলে জানা যায়। অবাক হয়ে যাওয়ার মতো আরো কিছু বিষয় যেমন- সীমান্তে প্রায় সময় বাংলাদেশী খুন এবং আহত হচ্ছে।

অন্য দিকে, বাংলাদেশের প্রত্যাশিত পানি চুক্তি অসম বাণিজ্য, মাদক পাচার সীমান্ত দিয়ে, যার সহায়তা দিচ্ছে বিএসএফ। গুরুত্বপূর্ণ এসব ইস্যুর কোনো গ্রহণযোগ্য সমাধান না হলেও ট্রানজিট-ট্রানশিপমেন্টের নামে নামমাত্র মাশুলে ভারতকে ৯০০ কিলোমিটার নৌ-করিডোর নির্মাণে অনুমতি দিয়েছে বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার। বিগত ১০ বছর শুধু ছিটমহল বিনিময়ের পুরনো চুক্তি বাস্তবায়নে ভারত সাড়া দিয়েছিল। ছিটমহল বিনিময়ের ক্ষেত্রেও ভারতই লাভবান হয়েছে। উল্লেখ্য, আনুষ্ঠানিক চুক্তির অনেক আগেই ভারত বাংলাদেশের বন্দর ও সড়কপথ ব্যবহার করে স্থল ট্রানজিট সুবিধা ভোগ করতে শুরু করেছিল। হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের কথা বলা হলেও ট্রানজিট চালু হওয়ার পর দেখা গেল বাংলাদেশের হাজার হাজার কোটি টাকায় নির্মিত অবকাঠামো ব্যবহার করে কার্যত বিনামূল্যে ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট তথা করিডোর সুবিধা ভোগ করছে ভারত। এ ভুলটা আমাদের।

আমাদের সংবিধানে লেখা আছে- প্রজাতন্ত্রের মালিক দেশের জনগণ। আর এই দেশের জনগণকে অন্ধকারে রেখে এবং এ বিষয়ে সংসদে আলোচনা ও বিতর্ক ছাড়াই ভারতকে একক ক্ষমতা বলে একতরফাভাবে নৌ-করিডোর দেয়া হলে জাতির জন্য তা অগ্রহণযোগ্য হবে বলেই ধারণা করা যায়। বাংলাদেশ-ভারত ২৬ সেপ্টেম্বর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে আলোচনায় অগ্রাধিকার পাবে-রফতানি বাড়িয়ে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা। বাণিজ্য সম্প্রসারণ, পাটপণ্যের ওপর অ্যান্টি ডাম্পিং, ছয়টি বর্ডার হাট ও ভারতের স্বল্প সুদে ঋণের অবকাঠামো উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়। এ সফরে ভারতের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভু ভারতের বিনোয়োগকারীদের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি বরাদ্দ, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর উন্নয়নে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার, বেনাপোল স্থলবন্দর উন্নয়নসহ একাধিক দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেন। এ ছাড়া ঢাকা-নয়াদিল্লির বিদ্যমান বিমান চলাচল আরো শক্তিশালী করতেই ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর এই সফর বলে পত্রিকা সূত্রে জানা গেছে। উল্লিখিত চুক্তিগুলো যদি বাস্তবায়ন হয়, সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়ে ভারত বেশি লাভবান হবে, এটা নির্দ্বিধায় বলা যায়। বাংলাদেশের হাটবাজারের দিকে লক্ষ করলে যে কেউই অনুধাবন করতে পারবেন, ভারতীয় পণ্য কিভাবে বাংলাদেশে জেঁকে বসেছে। শাকসবজিও এখন ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে।

প্রশ্ন করলে কৃষকদের একটি উত্তর- আবাদি জমি কমে যাচ্ছে। আর পণ্য উৎপাদন করলে লাভের মুখ দেখি না। কারণ উৎপাদন ব্যয় দ্বিগুণ। তাই এখন ঢাকায় এসে রিকশা চালাচ্ছি। কেউ বলছে ফুটপাথে দোকানপাট দিয়ে কোনো মতে বেঁচে থাকা যায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে। জটিল এক সমীকরণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের জীবন অতিবাহিত হচ্ছে। বাংলাদেশের পণ্যের চেয়ে ভারতীয় পণ্যমূল্য অনেক সস্তা। তাই দেশে ভারতীয় কনজিউমারের সংখ্যা জ্যামেতিক সিস্টেমে বাড়ছে। ভারতের ভূখণ্ড বড়- তাই উৎপাদন ব্যয় কম। তা ছাড়া সে দেশের মানুষের দেশপ্রেম অতুলনীয়। বেশি দাম হলেও ভারতের জনগণ নিজের দেশের পণ্য কিনবে। বিদেশী পণ্য বর্জন করাই সে দেশের মানুষের রীতিনীতি। ইদানীং চিকিৎসা খাতে ভারতের আয় প্রচুর। কারণ হলো অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের চিকিৎসা ব্যয় অনেক কম।

২০১৭ সালে আমি চেন্নাইর ভেলোর গিয়ে খ্রিষ্টান মিশনারি হাসপাতাল অ্যান্ড মেডিক্যাল কলেজে পুরো শরীর, ডেন্টাল, চোখের রোগসহ মোট খরচ পড়েছে মাত্র সাড়ে সাত হাজার রুপি। চিকিৎসাসেবার মানও ভালো। মানুষ ভারতে যাচ্ছে বাংলাদেশে চিকিৎসা খাতে অতিরিক্ত ব্যয় সামলাতে না পারার কারণে। সেবার মান বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে উন্নত। এই খাতে প্রতি বছর ভারত সরকার হাজার হাজার কোটি রুপি আয় করে নিচ্ছে। বাংলাদেশের ভোক্তাদের হাত করা বা বাগিয়ে নেয়ার জন্য ভিসা প্রসেসিং অনেক সহজ করে দিয়েছে। প্রতিটি জেলা শহরে এখন ভারতীয় ভিসা অফিস খোলার মহাপরিকল্পনা নিয়েছে ভারত সরকার। মাল্টিপল তথা পাঁচ বছর মেয়াদি ভিসা দিচ্ছে ভারত। উদ্দেশ্য বাণিজ্য খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আরো বাড়ানো। যে জাতির দেশপ্রেম নেই, সে জাতি কখনোই মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। বাংলাদেশের ভোগান্তি বা দুর্দশার মূল কারণ এটাই।

আমরা নানা সঙ্কটে আছি। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনে জিডিপির ৬ দশমিক ৭ শতাংশ হারাবে বাংলাদেশ। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ এক প্রতিবেদন বিশ্বব্যাংক এ কথা বলেছে। বাংলাদেশ ভাটির দেশ, জলবায়ুর বিপদ এলে উজানের দেশ ভারত আমাদের ফারাক্কা বাঁধ ছেড়ে দিয়ে ডুবিয়ে মারবে। পৃথিবীতে কিছু দেশ এবং মানুষ বা জাতি থাকে তাদের পেট কখনো ভরে না বা পায়ে পারা দিয়ে ঝগড়া করার একটা ইচ্ছা থাকে। ভারত ঠিক ওই রকম একটি দেশ।

ভারতের সাথে পাকিস্তানের যে তিনটি যুদ্ধ হয়েছিল, সব ক’টি যুদ্ধ বাধার নেপথ্যে ছিল ভারত। উদ্দেশ্য স্বীয় স্বার্থ উদ্ধার করে নেয়া। ১৯৭১ সালের শেষ মুহূর্তের যুদ্ধটা ছিল বাংলাদেশকে দিয়ে নিজেদের ভৌগোলিক ও বাণিজ্যিক স্বার্থ উদ্ধার করে নেয়া। সেটা হয়েছেও।
লেখক : গবেষক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক
Email: harunrashidar@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
তোকে যদি এরপর হলে দেখি তাহলে খবর আছে, হুমকি ছাত্রলীগ নেতার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি : প্রধানমন্ত্রী দাওয়াতী ময়দানে সকল নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেল শ্রমিকদের মাঝে ইসলামের আদর্শের আহ্বান পৌঁছাতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে বিমানবন্দরের টার্মিনালে ঢুকে গেলো বাস, ইঞ্জিনিয়ার নিহত গোয়ালন্দে প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তানকে মারধর, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন সিরিয়ায় আইএস-এর হামলায় সরকার সমর্থক ২০ সেনা সদস্য নিহত ফরিদপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু জনসমর্থনহীন সরকার জনগণের আওয়াজ নির্মমভাবে দমন করে : রিজভী

সকল