২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সমাজে আইনের ভূমিকা

-

সুশাসনের জন্য আইনের শাসন অপরিহার্য। সমাজের সর্বস্তরে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং আইনের সমপ্রয়োগের মাধ্যমেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব। উন্নত ও সভ্য জাতি হিসেবে পরিচিত রাষ্ট্রে আইন ও ন্যায়বিচার তাদের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। অথচ অতীতে ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতির ভিত্তিতে সমাজ পরিচালিত হতে দেখা যেত। তখন ক্ষমতার মূল উৎস ছিল শক্তি বা বলপ্রয়োগ। এক সময় ধর্ম সমাজ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে শুরু করে। অন্যান্য অনেক অঞ্চলের মতো আমাদের এই ভূখণ্ডেও অতীতে ধর্মের ভিত্তিতে সমাজ ও রাজ্য পরিচালিত হয়েছে।

প্রাচীন বাংলায় হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের শাসকেরা ধর্মীয় অনুশাসন দ্বারা সমাজ ও রাজ্য পরিচালনা করতেন। রাজা ছিলেন আইনের অন্যতম উৎস এবং তিনি প্রধান বিচারপতির ভূমিকাও পালন করতেন। কুরআন-সুন্নাহ তথা শরিয়াহ আইন দ্বারা মুসলিম শাসকেরা দীর্ঘকাল বাংলার সমাজ পরিচালনা করেছেন এবং নিজেদের ‘আল্লাহর প্রতিনিধি’ (খলিফা) হিসেবে বিবেচনা করে দেশ শাসন করতেন। সবার প্রতি সমান আচরণ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ইসলামের মূলনীতি। ইতিহাসে বেশির ভাগ মুসলিম শাসককে তাই এ ব্যাপারে যথেষ্ট যতœবান হতে দেখা গেছে। ব্রিটিশ শাসন কায়েমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত (১৭৫৭-১৯৪৭) ইংরেজ আইন (কমন ল’) দ্বারাই তদানীন্তন বাংলা শাসিত হয়েছে। ১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দিওয়ানি (রাজস্ব আদায়ের) ক্ষমতা লাভের পর থেকে শুরু হয় বাংলায় সেকুলার আইনের ব্যবহার। আইনকে কঠোরভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে দেশ ও সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করাই ছিল এর প্রধান উদ্দেশ্য।

ঔপনিবেশিক শাসন দীর্ঘস্থায়ী করার লক্ষ্যে, মুসলিম আইন ও বিচারব্যবস্থা পরিবর্তন করা শাসকদের কাছে জরুরি হয়ে পড়ে। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সাথে ধাপে ধাপে সমাজের সব ক্ষেত্রে ইংরেজদের আইন ও বিচারপদ্ধতি চালু করা হয়। ফলে বাংলার হিন্দু-মুসলিম সমাজ প্রচলিত আচার-আচরণ এবং মূল্যবোধ থেকে ক্রমেই দূরে সরে যায়।

ইংরেজ শাসকেরা প্রথম থেকেই শাসনকার্যের সুবিধার্থে, ইচ্ছাকৃতভাবেই সমাজকে আইনের ওপর নির্ভরশীল করতে উৎসাহিত করতেন। আইনকে কঠোরভাবে প্রয়োগ করে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়কে নিয়ন্ত্রণে রাখাই ছিল তাদের লক্ষ্য। এ জন্য ইংরেজ শাসকেরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ছিলেন বেশ যতœবান। বিদেশী শাসক হওয়ায় তাদের পক্ষে আইন প্রয়োগে কঠোরতা অবলম্বন এবং অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী না হওয়া ছিল সম্ভব। বাংলার হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায় শাসিত হতে থাকে বিদেশী এবং সম্পূর্ণ অপরিচিত আইন ও বিচারপদ্ধতি দ্বারা। আজও আমাদের রাষ্ট্র বহুলাংশে ঔপনিবেশিক আমলের আইন ও বিচারপদ্ধতি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। দ্রুত এ অবস্থার কোনো পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না।

সভ্য ও উন্নত সমাজের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, নিজস্ব নিয়মনীতি তথা মূল্যবোধ সমাজ পরিচালনায় ভূমিকা রাখে। অথচ আমাদের সমাজ থেকে তা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। সামাজিক মূল্যবোধের পরিবর্তে মানুষ দিন দিন আইননির্ভর হয়ে পড়ছে এবং সমাজ থেকে দ্রুত নৈতিকতা বিলুপ্ত হচ্ছে। ফলে সমাজে বিশৃঙ্খলা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন আইন প্রয়োগ করেও সমাজকে পুরোপুরি শৃঙ্খলায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। রাজনীতিবিদ, সমাজবিজ্ঞানী ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা হতাশ হয়ে পড়ছেন। তারা রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। এ কথা সর্বজনস্বীকৃত যে, আইন ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ব্যর্থ না হলেও দুর্বল হয়ে পড়ে এবং আইন ও বিচারব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা হ্রাস পায়।

এক সময় তা রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলে আঘাত হানে। আইনের শাসন এবং সামাজিক নৈতিক মূল্যবোধকে প্রতিষ্ঠা করতে পারলে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। মনে রাখতে হবে, নৈতিক মূল্যবোধ যেকোনো সমাজের মেরুদণ্ড আর আইন রাষ্ট্রের চালিকাশক্তি। আইন ও সমাজ ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং একে অন্যের পরিপূরক। রাষ্ট্রীয় আইন সমাজের মঙ্গলের জন্যই তৈরি করা হয়। আধুনিক রাষ্ট্র আইন ছাড়া চলতেই পারে না। উন্নত আইন যেমন উন্নত রাষ্ট্র গঠনে সহায়ক, তেমনি সমাজের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ নতুন সমাজ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ। ত্রুটিপূর্ণ আইন যেমন রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর, তেমনি নীতিনৈতিকতাবিহীন সমাজে বৃদ্ধি পায় অপরাধপ্রবণতা।

আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দুটো অঙ্গ। সমাজে ন্যায়বিচারের অভাব ঘটলে বিভিন্ন সম্প্রদায় ও গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব-হানাহানির জন্ম হয়; অথচ রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো- সব ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। নাগরিকের কর্তব্য আইনকে শ্রদ্ধা এবং তা মান্য করা। আইনকে অমান্য করার অর্থ, অন্যের অধিকার ক্ষুণœ করা। প্রতিদিন অনেকেই নিজের অজান্তে আইন অমান্য করে প্রতিনিয়ত সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিঘœ ঘটিয়ে যাচ্ছে। জনগণের স্বার্থে দ্রুত এর পরিবর্তন প্রয়োজন।

আইনই সহজে সমাজকে পরিবর্তন করতে পারে। তবে দুর্বল বা খারাপ আইন দিয়ে কখনো সুন্দর সমাজ নির্মাণ করা যায় না। কখনো কখনো অধিক মঙ্গলের জন্য আমরা সমাজের গুণগত পরিবর্তন চাই। সমাজ পরিবর্তনের অর্থ হচ্ছে, সমাজের কাঠামো এবং কার্যক্রমের পরিবর্তন। সমাজের মৌলিক বিষয়, যেমন নৈতিক মানদণ্ড এবং মূল্যবোধকে পরিবর্তন করতে গেলে সমাজ ভেঙে পড়তে পারে। আইনের ভূমিকা বনাম সামাজিক পরিবর্তন আমাদের আইনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকার মধ্যে পার্থক্য বুঝতে সাহায্য করে। আইন পরোক্ষভাবে সমাজ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে; যেমন- অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক নারী শিক্ষা আইন।

আইন সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করে সমাজ পরিবর্তনে প্রত্যক্ষ ভূমিকাও রাখে। যেমন- বাল্যবিয়ে নিষিদ্ধ করার আইন। সমাজ পরিবর্তন ও আধুনিকায়নে আইন গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। আইন সমাজের জটিলতার ধরন বোঝা এবং ঐক্যসংক্রান্ত সমস্যার মাপকাঠি। এ ছাড়া, এর মাধ্যমে অতীতের সামাজিক নিয়মনীতি, যা যুগে যুগে সমাজকে পরিবর্তন করেছে, তা-ও উপলব্ধি করা যায়। ধর্ম প্রতিষ্ঠায় আইন কাক্সিক্ষত ফলাফল লাভের মাধ্যম এবং তা বিশ্বাসকে মজবুত করে। ইতিহাসে সমাজ কাঠামোর পরিবর্তনে আইনকে তাই কেন্দ্রীয় ভূমিকায় দেখা যায়।

আইন নিঃসন্দেহে সমাজের শ্রেণীবৈষম্য দূর করতে এবং দুর্বল ও অসহায় শ্রেণীর নিরাপত্তায় মুখ্য ভূমিকা পালন করে। সমাজ পুনর্নির্মাণের অর্থ, সমাজের বিশ্বাস, মূল্যবোধ, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ের পরিবর্তন। তবে সমাজের সব ক্ষেত্রে আইন সমভাবে প্রভাব ফেলতে পারে না। আইন তখনই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, যখন তা সমাজের সমর্থন লাভে সক্ষম। যে আইন সমাজের সমর্থন লাভে অক্ষম তা ভালো আইন নয়, বরং তা ‘কালো’ আইন। সমাজ সে ধরনের আইনকে প্রত্যাখ্যান করবেই; যেমন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। দেশে সাংবাদিক সমাজ এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। মিডিয়া সভ্য সমাজের প্রাণ এবং এর স্বাধীনতা হরণের অর্থ হচ্ছে সমাজের স্বাভাবিক গতিকে স্তব্ধ করে দেয়া। এ ধরনের আইন সমাজের অমঙ্গলই বেশি ডেকে আনে। এ ধরনের আইন সমাজ পরিবর্তনে সহায়ক হয় না, বরং ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

স্বাধীনতার পর রচিত বাংলাদেশের সংবিধানে নতুন সমাজ নির্মাণে দিকনির্দেশনা এবং নতুন জাতি গঠনের বাস্তব নকশা প্রদান করা হয়েছে। সংবিধানে আইনের দৃষ্টিতে সব নাগরিককে সমান হিসেবে বিবেচনাসহ সবার জন্য সমান অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সুযোগ-সুবিধার উল্লেখ থাকলেও সব ক্ষেত্রে এর বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বরং অনেক ক্ষেত্রে সংবিধানে বর্ণিত অধিকার থেকে মানুষ বঞ্চিত। আইনব্যবস্থা যেকোনো রাষ্ট্রের সমাজ-জীবনের সামগ্রিক চিত্রনির্দেশক। আইন এমন একটি সমাজবিজ্ঞান, যা গ্রহণ ও বর্জনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা পায়। এ ক্ষেত্রে ভাষার সাথে আইনের মিল খুঁজে পাওয়া যায়। গ্রহণ-বর্জনের মধ্য দিয়েই ভাষার উন্নতি ঘটে থাকে। আইন সমাজের মঙ্গলের জন্য; শক্তি দ্বারা বলবৎ করার বিষয় নয়। প্রয়োজন ব্যতিরেকে অপ্রয়োজনে আইন সাধারণত তৈরিও হয় না এবং তার ব্যবহারও হয় না। সমাজকে সঠিকভাবে ও সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে পরিচালিত করা এবং মন্দ থেকে রক্ষা করা আইনের স্বাভাবিক উদ্দেশ্য।

সমাজের সদস্যরা সামাজিক রীতিনীতির উদ্ভাবক। তা না মানার শাস্তি সামাজিক অস্বীকৃতি। অন্য দিকে, রাষ্ট্র নাগরিককে আইন মানতে বাধ্য করে। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অগ্রগতি অর্জন এবং ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা প্রদান আইনের লক্ষ্য। রাষ্ট্রই আইন তৈরি করে এবং আইন অমান্যকারীকে রাষ্ট্রীয় শক্তির মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করে। যে আইন প্রয়োগ করা যায় না, তা কোনো আইন নয়।

আইনি ব্যবস্থা হচ্ছে কিছু বিধিবিধান এবং রীতিনীতি, যা মানুষের আচরণকে যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে সাহায্য করে। আইন দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজ নির্মাণে এবং মানুষে মানুষে সম্পর্ক তৈরি করার ক্ষেত্রে নানাভাবে ভূমিকা রাখে। রাষ্ট্র ফৌজদারি আইনে বিচার করে অপরাধীকে শাস্তি দিতে পারে। সাংবিধানিক আইন রাষ্ট্রের জন্য আইন তৈরি, মানবাধিকার রক্ষা এবং জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থা করে থাকে। অন্য দিকে, প্রশাসনিক আইন সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করে। আন্তর্জাতিক আইন আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক নির্মাণ ছাড়াও ব্যবসাবাণিজ্য থেকে শুরু করে পরিবেশ রক্ষা এবং সামরিক তৎপরতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। সামাজিক অথবা আধুনিক প্রযুক্তিগত কারণে উদ্ভূত সমস্যার সমাধানেও আইন সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

আমরা লক্ষ করছি, রাষ্ট্র সমাজের সব সমস্যা সমাধানে অতিমাত্রায় আইনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে এবং নৈতিকতা ও মূল্যবোধকে গুরুত্ব দিচ্ছে কম। এটা মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। এ ধরনের মানসিকতা থেকে রাষ্ট্র ও সমাজকে অবিলম্বে বেরিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে, খারাপ আইনের কারণে সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় এবং তা সমাজকে অস্থির করে তোলে। জনগণ এমন অবস্থা কখনোই কামনা করে না। স্মরণ রাখতে হবে, আইন কোনো গোষ্ঠী, শ্রেণী ও পেশাকে নিয়ন্ত্রণ বা জুলুম করার উদ্দেশ্যে রচিত হলে তার ফলাফল কখনো ভালো হয় না। স্বেচ্ছাচারী শাসনব্যবস্থার স্থলে সুশাসন এবং ন্যায়ভিত্তিক ও শোষণমুক্ত সমাজ গঠনে আইন যে যথাযথ ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকতে হবে।

কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং সমাজে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইনকে ব্যবহার করতে হবে। রাষ্ট্রকে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও শ্রেণী নির্বিশেষে সবার প্রতি আইনের সমব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। অনুরাগ-বিরাগের বশবর্তী হয়ে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীস্বার্থে আইনের প্রয়োগ থেকে রাষ্ট্রকে বিরত থাকতে হবে অবশ্যই। যেকোনো মূল্যে আইনের যথেচ্ছ প্রয়োগ বন্ধ করতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেই সব শ্রেণী-পেশার মানুষের অধিকার সুনিশ্চিত করা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সৎ ও পেশাদার আইনজীবী সম্প্রদায় এবং সৎ ও ন্যায়পরায়ণ বিচারকরা অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারেন। আমাদের জাতীয় নেতৃত্ব সঙ্কীর্ণ ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে জাতির জন্য সুশাসন নিশ্চিত করতে পারেন। উন্নত জাতিরাষ্ট্র গঠনে এর বোধহয় কোনো বিকল্প নেই।
লেখক : আইনের অধ্যাপক


আরো সংবাদ



premium cement