২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তালাকনামা ও জনগণের উপলব্ধি

ডা: বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও মাহি বি চৌধুরী - ফাইল ছবি

শেষ পর্যন্ত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পথচলা শুরু হয়েছে। ফলে বিরোধীদলীয় রাজনীতিতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। এক অত্যাবশ্যকীয় বাস্তবতায় বৃহত্তর ঐক্যের তাগিদ অনুভূত হলেও ব্যক্তিগত মান-অভিমান, অনুরাগ-বিরাগ, পছন্দ-অপছন্দ, জেদ-ইগো নিয়ে তা অনেকটা অনিশ্চয়তার মধ্যেই পড়েছিল। বিশেষ করে কারো না পাওয়ার ব্যথা, আবার কারো পেয়ে হারানোর ব্যথা পুরো ঐক্যপ্রক্রিয়াকে লেজেগোবরে অবস্থায় ফেলে দিয়েছিল; কিন্তু সব বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করেই ঐক্যফ্রন্টের যাত্রা শুরু হয়েছে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিরোধী শক্তির ‘সবচেয়ে বড় অর্জন’ বলেই মনে করা হচ্ছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল, তার মধ্যমণি ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা: বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও তার ছেলে মাহী বি. চৌধুরী। কিন্তু তারা এতে সফল হননি, বরং বিশেষ পক্ষকে তামাদিতে ফেলতে গিয়ে নিজেরাই তামাদি হয়েছেন। ‘উপর দিকে থুথু’ ফেললে আর ‘চোখ বন্ধ করে লম্ফ’ দিলে যা হয় তাদের কপালে তাই জুটেছে। এমনকি বিষয়টি নিয়ে খোদ বিকল্পধারাতেই বহিষ্কার-পাল্টা বহিষ্কারের মতো ঘটনা ঘটেছে। অবশ্য ঐক্যফ্রন্টের পথচলা কতখানি বন্ধুর বা মসৃণ হবে তা সময়ই বলে দেবে। তবে এই ঐক্যপ্রক্রিয়া যে প্রাথমিকভাবে সফল এবং জনমনে একটা আশাবাদের সৃষ্টি করেছে, তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।

মূলত জামায়াতকে কেন্দ্র করেই ঐক্যফ্রন্ট গঠনে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। বিকল্পধারা জামায়াতের সাথে যেকোনো ধরনের ঐক্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। কিন্তু অতীতে বি. চৌধুরীর জামায়াত ঘনিষ্ঠতা নিয়েও অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। এই বর্ষীয়ান রাজনীতিক তা উপেক্ষা করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে মুখও খুলেছেন। জামায়াতকে জোটভুক্ত করার প্রতিবাদে অতীতে দল ত্যাগ করা উচিত ছিল বলে তিনি অনুতাপও করেছেন। এ জন্য তিনি বিলম্বে হলেও, জাতির কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। কিন্তু তার দাবিকে তিনি প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে ‘মারেফত’ ফাঁস করে দিয়েছেন কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রম। তার ভাষায়, জামায়াতকে জোট ও মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সরাসরি ভূমিকা পালন করেছিলেন খোদ বি. চৌধুরী। তাদের ভোট নিয়ে তিনি রাষ্ট্রপতিও নির্বাচিত হয়েছিলেন। ফলে বি. চৌধুরীর উল্লিখিত দাবি খুব একটা হালে পানি পায়নি।

২০ দলীয় জোট ঐক্যফ্রন্টের বাইরে একটি আলাদা জোট। তাই সে জোটে কে থাকবে আর কে থাকবে না তা নিয়ে পিতা-পুত্রের শিরঃপীড়া কেউই ভালো চোখে দেখেননি। মূলত এই ইস্যুতে বি. চৌধুরী হিংসুটে নারীর মতোই আচরণ করেছেন। একজনের ঘর ভাঙতে গিয়ে নিজের ঘরই এখন ছত্রখান। তিনি সে ভাঙা ঘর জোড়া লাগানোর স্বপ্নে এখনো বিভোর। ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিতে পিতা-পুত্রের ১৫০ আসন দাবিকে ‘আকাশ-কুসুম’ বলেই মনে করা হচ্ছে। কেউ কেউ এই দাবিকে ‘বিএনপি ভাঙার ষড়যন্ত্র’ মনে করেছেন। কিন্তু তিনি সে দাবি আদায়ের মাধ্যমেই ঐক্যফ্রন্টে থাকার দিবাস্বপ্ন দেখেছেন। বিষয়টি ময়মনসিংহ গীতিকার মনসুর বয়াতির দেওয়ানা মদিনা পালার মদিনা সুন্দরীর তালাকনামার সাথেই সঙ্গতিপূর্ণ মনে করছেন সুধীজন। তালাকনামা হাতে পাওয়ার পর মদিনা সুন্দরীর অভিব্যক্তি গীতিকবি মনসুর বয়াতি বেশ চমকপ্রদভাবেই উপস্থাপন করেছেন-
‘তালাকনামা পাইল যখন মদিনা সুন্দরী/ হাসিয়া উড়াইয়া দিলো বিশ্বাস না করি,/ খসম মোর না ছাড়িব পরান থাকিতে/ চালাকি করিল মোর পরখ করিতে।’

মদিনা সুন্দরীর তালাকনামা ছিল তার কল্পনার বাইরে। বি. চৌধুরী ও তার তনয়ের ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বি. চৌধুরী অনেক কথা বললেও পিতা-পুত্র যে একেবারে কুপোকাত, তা নিয়ে কারো ভিন্নমত নেই। মূলত ক্ষমতাকেন্দ্রিক ও উচ্চাভিলাষী রাজনীতির কারণেই আমাদের দেশের রাজনীতির কক্ষচ্যুতি ঘটেছে। রাজনীতির সূচনা মানুষের কল্যাণে হলেও তা এখন এক শ্রেণীর মানুষের উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। নির্বাচন এলেই এক শ্রেণীর রাজনীতিকের মুখে জনগণের কল্যাণের কোরাস শোনা গেলেও জনগণকে বারবার আশাহতই হতে হয়েছে। ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে একশ্রেণীর সুবিধাভোগী মানুষের।

গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সাম্য, সামাজিক ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। সে লক্ষ্য অর্জনে আমরা স্বাধীন হয়েছি, কিন্তু লক্ষ্য অনেকটাই অধরা থেকে গেছে। এমনকি এখন বিশেষ রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা লাভ এবং ক্ষমতাকে নানা ছল-ছুতায় প্রলম্বিত করাকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বানানো হয়েছে। সরকারের বিরোধিতা ও গঠনমূলক সমালোচনাকেও রাষ্ট্রদ্রোহিতার সাথে একাকার করা হচ্ছে। ফলে দেশের প্রচলিত রাজনীতি সম্পর্কে জনগণের মোহভঙ্গ হতে শুরু করেছে বেশ আগেই।

আগামী ডিসেম্বর মাসের শেষেই একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভাঙাগড়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। উভয় পক্ষের নির্বাচনী প্রস্তুতি চলছে একেবারে সমান্তরালে। ফলে আগামী নির্বাচন ৫ জানুয়ারির আদলে হবে না, তা মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাই সরকার যেকোনো মূল্যে ক্ষমতা রক্ষার জন্য আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে বলেই মনে হচ্ছে। এতে গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও নীতিনৈতিকতার কোনো তোয়াক্কাই করা হচ্ছে না বলে বিরোধী মহলের অভিযোগ। সরকার নির্বাচনের আগেই বিরোধী দলকে শুধু ময়দান ছাড়া নয়, বরং ঘরছাড়া করার জন্য ভৌতিক মামলাকে কাজে লাগাচ্ছে বলেও অভিযোগ বেশ জোরালো। বয়োবৃদ্ধ ও মৃত ব্যক্তির নামেও মামলা দেয়া হচ্ছে বলে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি সরকার সারা দেশে নির্বিঘেœ নির্বাচনী প্রচারাভিযান চালালেও পুলিশের অনুমতির বেড়াজালে বিরোধী দলকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সঙ্কুচিত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ আছে।

সরকার মুখে ‘অংশগ্রহণমূলক’ নির্বাচনের পক্ষে বললেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ার পর তাদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়েছে বলেই মনে হচ্ছে। বিরোধী দলগুলো যাতে নির্বাচনে অংশ না নেয় সরকার সে লক্ষ্যেই কাজ করছে বলে ধারণা করা যায়। ফলে দেশে নতুন আঙ্গিকে রাজনৈতিক সঙ্কট এবং সঙ্ঘাত ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহল একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সংলাপে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বিরোধী দল ইতিবাচক হওয়া সত্ত্বেও সরকারপক্ষ তা বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছে। সরকার আবারো একটি পাতানো নির্বাচন চায় বলে বিরোধী মহলে গুঞ্জন রয়েছে। এমনকি, স্বীকৃত বিরোধী দলগুলোকে নির্বাচনের বাইরে রাখার জন্যই নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি প্রত্যাখ্যান এবং বিতর্কিত ইভিএম ব্যবহারে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সরকারি প্রটোকল নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে এবং মন্ত্রী-এমপিদের বিষয়ে কমিশন বেশ লুকোচুরিই খেলছে, যা নির্বাচনী ময়দানকে অসমতল করে তুলছে।

সরকারকে বোধহয়, পরাজয়ের আতঙ্ক পেয়ে বসেছে। ফলে তারা বাঁকা পথেই অগ্রসর হওয়াকে প্রাধান্য দিচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা নিশ্চিত নয়, এমন কোনো নির্বাচনে যেতে চায় না সরকার। তাই তারা আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দলীয় লোক দিয়ে মামলাও ঠুকে দিয়েছেন। বিএনপিকে যেকোনো মূল্যে নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে বিরত রাখার জন্যই বিএনপির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে রিট পিটিশন করার প্রস্তুতিও নিয়ে রখা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে। অবস্থা ‘বেগতিক’ হলে এ অপশনগুলো কাজে লাগানো হবে বলে মনে করছেন রাজনীতি সচেতন মানুষ। ফলে আসন্ন সংসদ নির্বাচন আদৌ হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ-সংশয় বাড়ছে।

রাজনীতি, রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অভিযাত্রা গণমানুষের কল্যাণে শুরু হলেও তা এখন আর আপন কক্ষপথে চলছে না। তাই আমাদের দেশের প্রচলিত রাজনীতি গণমানুষের কল্যাণের পরিবর্তে ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থ, গোষ্ঠীস্বার্থ ও সঙ্কীর্ণ দলীয় স্বার্থ উদ্ধারের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। আগের দিনের রাজনীতিতে মেধাবীদের দেখা গেলেও অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। প্রচলিত রাজনীতির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে স্বল্পমেধাসহ প্রায় মেধাহীনরা। তাদের প্রাবল্যে মেধাবীরা রাজনীতিতে কোণঠাসা ও সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছেন। ফলে প্রচলিত ধারার রাজনীতি দেশ ও জাতির কল্যাণ করতে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ।

আমাদের দেশের রাজনীতি জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা পূরণে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে। ফলে জনগণের মধ্যে হতাশাসহ তিক্ত অভিজ্ঞতার জন্ম নিয়েছে।

প্রচলিত রাজনীতিকে জনগণ মদিনা সুন্দরীর মতো ‘তালাক’ দিতে শুরু করেছে বলেই মনে হচ্ছে। রাজনীতির মাথায় যেভাবে পচন ধরেছে তার সাথে দেশের মানুষ ঘর-সংসার করা আর সঙ্গত মনে করছেন না। এর প্রমাণ মিলেছে গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে। সে নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। বাকি আসনগুলোতেও ভোটারদের উপস্থিতি মাত্র পাঁচ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল বলে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহল মনে করে। সে নির্বাচনে শুধু ঢাকা সিটিতেই ২৯টি ভোটকেন্দ্রে কোনো ভোটার ভোট না দেয়ায় প্রমাণ হয়েছে, দেশের রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে জনগণের আগ্রহ একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে। সাম্প্রতিক সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। বহু ভোটার ভোটকেন্দ্রে যায়নি। কিন্তু রাজনৈতিক টাউট-বাটপার ভোটডাকাতির মাধ্যমে বাক্সভর্তি করেছে। নেতিবাচক রাজনীতির কারণেই জনগণ যে রাজনীতিবিমুখ হতে শুরু করেছে, তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।

রাজনৈতিক ব্যর্থতাই এখন রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতায় রূপ নিয়েছে। জননিরাপত্তার বিষয়টি রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে খুবই স্পর্শকাতর। পুলিশ সদর দফতরের তথ্যানুসারে- ২০০৯ সালে দুই হাজার ৯৫৮টি, ২০১০ সালে চার হাজার ১৭টি, ২০১১ সালে তিন হাজার ৯৮৮টি, ২০১২ সালে তিন হাজার ৯৮৮টি, ২০১৩ সালে চার হাজার ৫৮৮টি, ২০১৪ সালে চার হাজার ৫২৩টি, ২০১৫ সালে চার হাজার ৩৫টি, ২০১৬ সালে তিন হাজার ৫৯১টি, ২০১৭ সালে তিন হাজার ৫৪৯টি এবং ২০১৮ সালের জুলাই পর্যন্ত দুই হাজার ৬৫৭টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। ফলে রাষ্ট্র যে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, তা খুবই স্পষ্ট। ইতিবাচক ধারার অনুপস্থিতির কারণেই রাষ্ট্র জনগণের সাংবিধানিক ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারছে না।

মানুষের মধ্যে এই উপলদ্ধি জন্মেছে যে, প্রচলিত রাজনীতি তাদের কোনো কল্যাণে আসছে না। নেতিবাচক বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক প্রয়াসের মাধ্যমে যদি জনগণের আস্থা ফেরানো না যায়, আর রাজনীতিকেরা যদি জনগণকে আস্থায় নিয়ে রাজনীতি না করেন; তা হলে এ জাতির ভাগ্যে যে ভালো কিছু অপেক্ষা করছে না তা নিশ্চিত বলা যায়।
smmjoy@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement

সকল