২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ভারত পিছলে পড়ার ঝুঁকি নিয়েছে

ভারত পিছলে পড়ার ঝুঁকি নিয়েছে - ছবি : সংগৃহীত

অনেক ঢাকঢোল পেটানো ‘২+২’ সংলাপ গত ৬ সেপ্টেম্বর ভূমিষ্ঠ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের এ সংলাপের ধরন অবশ্য ভারতের প্রেক্ষাপটে ব্যতিক্রমী মনে হতে পারে। এতে অংশ নিয়েছেন দু’দেশের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এই কৌশল যুক্তরাষ্ট্র ব্যবহার করে থাকে। এমন সংলাপের উদ্দেশ্য হলো, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সামরিক, কৌশলগত ও কূটনৈতিক পলিসিগুলো এক কাতারে এনে, অর্থাৎ একমত হয়ে, পারস্পরিক সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করা। প্রায় সময় এ আকাক্সক্ষা পোষণ করা হয় যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের মাঝে ‘বিশেষ’ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হবে, যদিও এভাবে মার্কিন নির্দেশিত ‘বিধিবদ্ধ বিশ্বব্যবস্থা’ কায়েমের ওপর জোর দেয়া হয়ে থাকে। ‘২+২ ফর্মুলা’কে অনুমোদনের ব্যাপারে ভারত অতীতে সাবধান থাকত। ভারত মনে করত, এটি বিভিন্ন দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও কৌশলগত আলাপ-আলোচনার প্রচলিত পন্থা নয়। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বরাবর এ পন্থাই অবলম্বন করে এসেছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র আর ভারতের মাঝে ‘বিশেষ ধরনের সম্পর্ক’ বিদ্যমান থাকায় ভারতের রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও কৌশলগত কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের এ বিষয়ে যে অনীহা ছিল, তার অবসান ঘটাতে আমেরিকা সফল হয়েছে। ‘২+২’ সংলাপের বৈঠক হওয়ার আগে কিছুটা অগতানুগতিকভাবে ভারতের উদ্বেগের অনেক কারণ প্রশমিত করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ‘২+২ সংলাপ’ নিয়ে আশা করা হয়েছে বিরাট কিছু।

ফলাফলের ভালোমন্দ
অগ্রগতি কিছুটা হলেও মনে হতে পারে, ভারত ও আমেরিকা এই দু’দেশের মধ্যে আমেরিকাই আসল ফায়দা তুলেছে। এই সংলাপের পর আরো মনে হচ্ছে, চীনকে ‘সাইজ’ করার কাজে নিজের কৌশলগত কাঠামোয় ভারতকে খাপ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সফল হয়েছে। ভারতের সামনে আসল প্রশ্ন হলো, একবিংশ শতাব্দীতে দেশটি কী এমন ভূমিকা রাখতে চায়, যদিও মার্কিন প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রযুক্তির সুবাদে ভারত কিছু সুবিধা অবশ্যই পাবে।

‘২+২’ সংলাপের মাধ্যমে বড় যে ফল হয়েছে, তা হলো- কমিউনিকেশন, কম্প্যাটিবিলিটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাগ্রিমেন্ট (COMCASA) নামের চুক্তি। আশা করা হচ্ছে, এর মধ্য দিয়ে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত ধরনের প্রতিরক্ষাসহায়তা লাভ করবে এবং আমেরিকার বিদ্যমান Origin Platforms ভারত সর্বোচ্চমাত্রায় কাজে লাগাতে পারবে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, ভারতের সাথে শতভাগ অব্যর্থ নিরাপত্তা সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে চারটি মূল চুক্তি করতে হবে। এগুলোর একটি হলো, COMCASA এবং ভারতের সাথে এ চুক্তিগুলো করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বছরের পর বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে এসেছে। এ পর্যন্ত তিনটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করাতে পেরেছে ভারতকে দিয়ে। ২০০২ সালে স্বাক্ষর করা হয়েছিল জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট। ২০১৬-তে এসে স্বাক্ষরিত হলো লজিস্টিক এক্সচেঞ্জ মেমোরেন্ডাম অব অ্যাগ্রিমেন্ট। এদিকে COMCASA চূড়ান্ত করার কাজ হয়ে গেছে। চুক্তিটি ‘সুমধুর’ করে তোলা হয়েছে একটি মার্কিন প্রস্তাবের মাধ্যমে। যুক্তরাষ্ট্রের সি-১৭, সি-১৩০ এবং পি-৮১ বিমানের সাথে বিশেষ যোগাযোগের যন্ত্রপাতি ভারতকে দেয়ার জন্য এ প্রস্তাব করা হয়েছে।

যে ঢালে পা পিছলাতে পারে
অন্য দু’টি চুক্তির চেয়ে COMCASA বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এর মাধ্যমে ভারত ও আমেরিকার সামরিক একাত্মতা বেশি সৃষ্টি হবে। এর ফলাফল হতে পারে সুদূরপ্রসারী। ভারতকে আগেই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আমেরিকার একটি প্রধান অংশীদার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। তার সাথে এবার যোগ হলো COMCASA চুক্তি। এর ফলে এই দেশ দু’টি নিজ নিজ সামরিক তৎপরতার গোয়েন্দাতথ্য সাথে সাথে পরস্পরকে জানাতে বাধ্য। এ অবস্থায়, নিজের ইচ্ছা না থাকলেও ভারত বিভিন্ন সঙ্ঘাতের ক্ষেত্রে আমেরিকার দোসর হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিয়েছে। এটা পিচ্ছিল ঢালু বেয়ে গড়িয়ে নিচে পড়ে যাওয়ার সাথে তুলনীয়।

এদিকে, ভারত যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও উন্নত যেসব প্রতিরক্ষা সিস্টেম ও প্লাটফর্ম পাবে বলে আশাবাদী, তা হচ্ছে- অনেক উঁচুতে দীর্ঘসময় সক্রিয় থাকার মতো সশস্ত্র ড্রোন, যার নাম সি গার্ডিয়ান (সমুদ্রের অভিভাবক), আর্মড প্রিডেটর-বি এবং সুনিপুণ সামরিক প্রযুক্তি। ধরে নেয়া যায়, এগুলো আমেরিকার সামরিক, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কার্যক্রমের গ্রিডে ভারতকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলবে।

মার্কিন লক্ষ্যপূরণে ভারতকে একাত্ম করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, যুক্তরাষ্ট্র আবারো উল্লেখ করেছে, বিশ্ব প্রেক্ষাপটে কৌশলগত অংশীদার এবং একটি প্রধান ও স্বাধীন শরিক হিসেবে ভারত গুরুত্বপূর্ণ। ‘পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর’ কথাটা প্রচ্ছন্নভাবে হলেও বলার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওই উক্তির স্বাদকে আরো সুমিষ্ট করা হয়েছে। এর দ্বারা বোঝা যায়, সন্ত্রাসবাদবিরোধী সহযোগিতার জন্য ভারত-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আরো বিস্তৃতি ঘটবে। নতুন একটি বিষয় তুলে ধরার প্রস্তাব এসেছে। তা হলো- প্রতিরক্ষার বেলায় যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের উদ্ভাবনসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান দুটি আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যৌথভাবে উৎপাদন ও উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নেয়ার জন্যই এটা করা হয়েছে।

এখনো এটা স্পষ্ট নয় যে, এত কিছু করার পরও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ভারত স্থগিত বা বিলম্বিত করতে পারবে কি না। যেসব দেশ রাশিয়া ও ইরানের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখে, তারা এ নিষেধাজ্ঞার নিশানা। ভারত বলছে, তার ব্যাপারে আমেরিকার ইতিবাচক পদক্ষেপের অর্থ হলো- নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে না। এর অর্থ দাঁড়ায়, রাশিয়ার কাছ থেকে ভারতের এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার কাজে বাধা আসবে না। তবে নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে আমেরিকার প্রতিপক্ষকে মোকাবেলাবিষয়ক আইনের আওতায় পড়ে এসব কেনাকাটা। ইরানের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এমন নয় যে, সে ছাড় দেবে।

ইতোমধ্যে এটা নিশ্চিত, ওপরে উল্লিখিত চতুর্থ চুক্তিটিতে সই দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে আরো চাপ দেবে। কথা হলো, ‘২+২’ ফরমুলার আলোচনায় ভারতের লাভ কতটুকু? আমেরিকা ‘নিয়ন্ত্রিত শর্তাবলি’র আওতায় ভারতকে একের পর এক অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা সুবিধা দিতে চায়। এর দ্বারা আমেরিকা ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রধান সরবরাহকারী হওয়ার দাবি আবার জোরদার করতে চাচ্ছে। সে চায়, এ ক্ষেত্রে রাশিয়াকে তার এ অবস্থান থেকে হটিয়ে দিতে। এই দৃষ্টিভঙ্গি ভারতের জন্য কদাচিৎ অবিমিশ্র আশীর্বাদ বয়ে আনবে। প্রতিরক্ষা খাতে ভারতকে দেয়া নিজের ওয়াদা পূরণে রাশিয়া দেরি করে না। ভারতের এক নম্বর অস্ত্র সরবরাহকারীর অবস্থান হারানোর বিষয়টিকে রাশিয়া সহজে মেনে নেবে না। এ ক্ষেত্রে রাশিয়া পাল্টা কোনো পদক্ষেপ নিলে তা ভারতের জন্য ভালো হবে না। যেমন- রাশিয়া পাকিস্তানকে প্রতিরক্ষা সহায়তা দিতে চাইতে পারে। আজকের দুনিয়া আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রকে দেখে ‘পতনোন্মুখ পরাশক্তি’ হিসেবে। এটা ১৯৯১ সাল নয়। তখন সবেমাত্র সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়েছে। তখনো চীন একটি অর্থনৈতিক পরাশক্তি হয়ে ওঠেনি। মাত্র কিছু দিন আগে ইরাকের যুক্তরাষ্ট্র এমন সমরশক্তির পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেছিল যার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কেউ ছিল না। কিন্তু এর পর থেকে বিভিন্ন দেশে হস্তক্ষেপ ও অভিভযানের ধারাবাহিকতার পরিণামে যুক্তরাষ্ট্র অনেকটাই ফুরিয়ে গেছে। তাই অন্তত এশিয়া মহাদেশে মনে করা হচ্ছে, আমেরিকা পিছু হটে যাচ্ছে।

অপর দিকে বিশ্ব আজ সম্মুখীন হয়েছে স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতির। এখন চীন হয়ে উঠেছে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্বশক্তি। সম্ভবত, সবচেয়ে বড় সামরিক শক্তিগুলোর একটি হলো, বর্তমান চীন। এশিয়ার বিরাট অংশই ইতোমধ্যে চীনের দিকে ঝুঁকে গেছে। রাশিয়ার পুনরুত্থানও একটা বড় ব্যাপার বৈকি। একই সময়ে, ইউরোপ দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে সবকিছু ইঙ্গিত দিচ্ছে।

সাম্প্রতিককালে এশিয়াতে যুক্তরাষ্ট্রের ইমেজে আরো কালি লেগেছে। এ জন্য তার কিছু ‘কৌশলগত পশ্চাৎপসরণ’কে ধন্যবাদ। যেমন- যুক্তরাষ্ট্রের 'Pivot to Asia' নীতির, সেই সাথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকাই সর্বপ্রথম’ নীতির ব্যর্থতা। আমেরিকার কথামতো চলার জন্য বলপ্রয়োগের হুমকির ধার অনেকটাই কমে গেছে। কারণ পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আগ্রাসী ভূমিকাকে আমেরিকা ঠেকাতে পারেনি। চীন চায় ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরে একটি প্রধান নৌশক্তিরূপে আবির্ভূত হতে। তার এই উচ্চাভিলাষ রোধ করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। এমন একটি সময়ে নিজের গায়ে মার্কিন দোসর হওয়ার ছাপ মেরে দেয়া ভারতের জন্য উত্তম কোনো সিদ্ধান্ত বলে গণ্য হতে পারে না।

কৌশলগত একাত্মতা
ভারত দীর্ঘকাল সংগ্রাম করে এসেছে ‘কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন’ ও স্বাধীনতা বজায় রেখেই ‘কৌশলগত একাত্মতা’ প্রকাশ করার জন্য। এ ক্ষেত্রে আমেরিকার পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ এসেছিল বারবার। তবে ভারত এ ব্যাপারে দেয়া শর্তগুলো মানতে রাজি হয়নি। চীন উদ্বেগের বিষয় ঠিকই, তবে ভারতের জন্য চীন এ মুহূর্তেই হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে না। অপর দিকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ‘২+২’ সংলাপের পুরোটাই চীনের হুমকির ওপর ভিত্তি করে এবং মার্কিন ‘ছত্রছায়ায়’ শক্তি প্রয়োগ বা প্রদর্শন করে চীনা আগ্রাসন মোকাবেলার লক্ষ্যে পরিচালিত। বরং ভারতের জন্য আশু হুমকির নাম পাকিস্তান। এটা শুধু সন্ত্রাসবাদ লালনের কারণে নয়। পাকিস্তান পারমাণবিক হুমকি হয়ে উঠেছে, যা আমাদের জন্য প্রকৃত পক্ষেই উদ্বেগের হেতু। পাকিস্তান পরমাণু মারণাস্ত্র বাড়িয়ে চলেছে; এ জন্য নতুন নতুন সিস্টেম উদ্ভাবন করছে, নতুন করে প্লুটোনিয়াম উৎপাদন করা হচ্ছে, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চলছে সেই সাথে। স্বল্পপাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর হুমকিও দিয়েছে পাকিস্তান, যা আসলেই বিপজ্জনক। অথচ বর্তমানে আমেরিকা এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে মনে হয় না।
আমেরিকার মিষ্টি কথা আর তোষামোদে ভুলে বর্তমান বাস্তবতার ব্যাপারে চোখ বুঁজে থাকলে চলবে না। অন্যান্য দেশ থেকে অস্ত্র চাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের একটা সীমা থাকতে হবে। কোনো অবস্থায়ই আমাদের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের প্রশ্নে কোনো আপস নয়। এত বছর যে কৌশল আমরা অনুসরণ করে এসেছি, তার দিকপরিবর্তন করা ঠিক হবে না।

(দি হিন্দু ডট কম-এর সৌজন্যে)
লেখক : ভারতের সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও পশ্চিমবঙ্গের সাবেক গভর্নর
ভাষান্তর- মীযানুল করীম

 


আরো সংবাদ



premium cement
বাবরকে ফের অধিনায়ক করতে পিসিবির তোড়জোড় ‘বঞ্চিত ও অসহায় শিশুদের সু-নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই’ ময়মনসিংহে বাসচাপায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত রমজানের প্রথমার্ধে ওমরাহ পালন করলেন ৮০ লাখ মুসল্লি পোরশায় বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশী যুবক লাশ ফেরত গণতন্ত্রের আন্দোলন ন্যায়সঙ্গত, এতে আমরা বিজয়ী হবো : মির্জা ফখরুল নিঝুমদ্বীপে পুকুরে পাওয়া গেল ১০ কেজি ইলিশ ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় চলবে ১৫ ফেরি ও ২০ লঞ্চ দি স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের রক্তদাতাদের সংবর্ধনা প্রদান কক্সবাজারে ওরিয়ন হোম অ্যাপ্লায়েন্সেসের ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত সৈয়দপুরে ফেসবুক লাইভে থেকে যুবকের আত্মহত্যা!

সকল