২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাজনীতিতে সাকিব - মাশরাফি

রাজনীতির মাঠে কেমন করবেন সাকিব-মাশরাফি -

মানুষ সামাজিক ও রাজনৈতিক জীব। কথাটি গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটলের। রাষ্ট্র বিজ্ঞানের জনক এই বাণীর মাধ্যমে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন প্রতিটা মানুষই যে সমাজের পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রাণীও। বেশ কিছুদিন আগে আমাদের পরিকল্পনামন্ত্রী সাকিব-মাশরাফির রাজনীতিতে আগমনের বার্তা দিলেন। কিন্তু এ বার্তা নিয়ে দেশব্যাপী চলেছে আলোচনা, হয়েছে সমালোচনাও।

এ মিশ্র প্রতিক্রিয়ার বেশ কিছু কারণের একটি কারণ হতে পারে- সাকিব ও ম্যাশের ক্রিকেটে থেকেই রাজনীতির ঘোষণা। ক্রিকেটারেরা যে রাজনীতি করেন না, এমন নয়। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানের ‘তেহরিক-ই ইনসাফ’ নামে একটি রাজনৈতিক দলও আছে। রাজনীতির মাঠ আর খেলার মাঠ, দু’টিই বড় জটিল হিসাবের মাঠ। পারফরম্যান্স কাকে কখন কোথায় নিয়ে যায়, তা বলা দুরূহ! তবে এ দুই মাঠে আছে ব্যাপক ফারাক।

আপাত দৃষ্টিতে দেখলে, রাজনীতির মাঠকেই বড় জটিল মনে হবে। ১১ জন সদস্য নিয়ে ক্রিকেটে একটা জয় ছিনিয়ে আনা যদিও আবার এতটা সহজ কাজ নয়। রাজনীতি সহজেই নিন্দিতকে নন্দিত করে, নন্দিতকে করতে পারে নিন্দিত। তাই এ নন্দিত-নিন্দিত খেলোয় কোনো ভালো মানুষ আসুক, স্বভাবসুলভভাবেই চান না অনেকে। যে প্রতিক্রিয়াটা দেখা গেল সাকিব-মাশরাফির রাজনীতিতে আসা নিয়ে।

যার কারণে অনেকে করছেন দ্বিমত। রাজনীতিতে আসাটা এ দুই তারকা ক্রিকেটারের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার। এ হিসেবে এখানে মত প্রয়োগ সম্পূর্ণই বোকামি মনে করছি। তবে সাকিব-ম্যাশ যখন বল হাতে মাঠে নামেন, তখন তারা কেবল ব্যক্তি থাকেন না, হয়ে পড়েন ১৬ কোটি মানুষের প্রতিনিধি। আর এই দুই খেলোয়ার এখনো জাতীয় দলে খেলছেন। ঠিক এ কারণে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ বা ক্রিকেটপ্রেমীরা প্রশ্ন তুলতে চাইছেন তাদের রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে।

বাংলাদেশ যে ক্রিকেটে অনেকটাই দুর্বল, তা আফগান সিরিজে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট সিরিজে আবার প্রমাণ হলো। আমাদের জাতীয় দলে উদীয়মান তেমন তারকা ক্রিকেটার নেই। মাত্র কয়েকজন ভালো ক্রিকেটারের ওপর ভর করে চলছে দল। তার অন্যতম দুইজন হলেন- সাকিব-মাশরাফি। এখন এ দুই ক্রিকেটার রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত হলে, সঙ্কটে পড়বে দেশের ক্রিকেট। অন্য একটি কথা হলো, আমাদের রাজনীতি অনেকটাই দুর্নীতিবাজ, অসৎ ব্যক্তিদের দখলে। তাই এখানে দরকার ভালো মানুষের আগমন। এই বিবেচনায় সাকিব-ম্যাশের রাজনীতিতে আগমন সবুজ সঙ্কেতই বলা যায়। তবে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়েও ভাবতে হবে।
লেখক : শিক্ষার্থী, ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, কুমিল্লা

আরো পড়ুন : 
শিক্ষক, ছাত্র ও ট্যাক্স নিয়ে রাজনীতি
অরুণ সরকার

হামলা-মামলার বেলাগাম রাজনীতির গণ্ডির ভেতরে থেকে ঘরে ঘরে আদায় করা হচ্ছে ট্যাক্স। দেশে বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে অনেক প্রবীণ নবীন লেখক ও সাংবাদিক রয়েছেন; কিন্তু অবোধগম্য কারণে তারা নীরব বললেই চলে। লেখা বা বুঝার ভাষা আজ অনেকেই হারিয়ে ফেলেছেন হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার হওয়ার ভয়ে। তাই বলে কি জনস্বার্থে কলম থেমে থাকতে পারে?

প্রথমেই বলতে হয় কোটা সংস্কার ছাত্র আন্দোলন নিয়ে। কারণ সত্য ও ন্যায়ের পথে এই আন্দোলন করতে গিয়ে এখন অনেক ছাত্র পঙ্গু হতে চলেছে; আবার কেউ কেউ মৃত্যুর সাথে লড়ছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় যারা ন্যায়ের কণ্ঠকে রোধ করতে গিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলে পড়েছিল তারা আজ ‘অধরা’। অথচ মুছে যায়নি সামাজিক ও যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত কিছু কিছু ভিডিও-ছবি। ন্যক্কারজনক এ ঘটনার চিত্র সাক্ষী হয়ে আছে সমগ্র বিশ্বে। এতে ছাত্রলীগ নামধারী কলঙ্কিত ছাত্ররা জড়িত; তা আজ বুঝতে কারো বাকি রইল না। কি চমৎকার আওয়ামী সরকারের শাসনামল! নিজেরাই কথা দেয়, আবার নিজেরাই এর খেলাপ করে। লোকলজ্জা ও ভয় কিছুই তাদের নেই কি? দেশে-বিদেশে কোটা সংস্কার দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের বিষয়টি এখন বহুলালোচিত। সরকার ওই হামলাকারী দুর্বৃত্তদের আশ্রয়দাতা হয়ে বিরাট বাধা হয়ে আছে। ‘সহযোগিতায় সরকার, জোগান দিচ্ছে পুলিশ আর হামলা চালাচ্ছে দুর্বৃত্তরা!’ গণতন্ত্রের ভাষা ছিনিয়ে নেয়ার অপচেষ্টায় আজ সরকার সরাসরি জড়িত হচ্ছে কেন? মানুষের প্রতিবাদের ভাষাকে রোধ করতে ক্যাডাররা প্রকাশ্যে হাতে আইন তুলে নিচ্ছে। এ কোন রাজনীতি!

এদিকে দেখা যায়, গ্রাম-গঞ্জ, শহরে প্রতিটি ঘর থেকে আদায় করা হচ্ছে সরকারের নামে ট্যাক্স। যা পুরনো রাজার আমলকেও হার মানাচ্ছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ধীরে ধীরে ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার। বঙ্গবন্ধু সব সময় দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করে গেছেন। তার কন্যা দেশের মঙ্গলে কাজ করে গেলেও এখনো লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেননি। আওয়ামী লীগ সরকারকে সামনের নির্বাচনে খেসারত দিতে হবে হয়তো। ভোটের মালিক এ দেশের জনগণ। বিরোধী দলেরও এ সুযোগ কাজে লাগানো স্বাভাবিক।

হামলা-মামলা নেশা ও পেশায় পরিণত হয়েছে কখনো আইসিটি আইনে আবার কখনো বিরোধ ঠেকাতে। দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, প্রতিহিংসা ঘিরে রেখেছে রাজনীতির অঙ্গনকে। জনগণ কোন সময় কোন দিকে মোড় নেবে, তা বলা খুবই কঠিন। সরকারকে পরিচয় দিতে হবে প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তার-জয় করতে হবে জনগণের মন, নিশ্চিত করতে হবে প্রতিবাদের গণতান্ত্রিক ভাষাকে।
এই সমাজে যারা উচ্চ শিখরে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা সবাই কমবেশি শিক্ষালাভ করেছেন। সেই শিক্ষার মানকেও গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষকেরা (বিদ্যালয়) এমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশনে যোগ দিয়েছিলেন। অনেকে দাবি আদায় করতে গিয়ে নানা রোগে আজ মৃত্যুশয্যায়। তাদের অপরাধ কী? বিষয়টি আজ সামাজিক ও যোগাযোগমাধ্যমে যেভাবে চাউড় করা হচ্ছে, এতে সরকারই বিতর্কিত হচ্ছে। আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই জাতির স্বার্থে অন্যায়কে বিতাড়িত করে সব সমস্যার ন্যায্য সমাধান করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এর বদলে শিক্ষক, ছাত্র ও ট্যাক্স নিয়ে রাজনীতি কেন?
লেখক : সাংবাদিক


আরো সংবাদ



premium cement
মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেও নেতাকর্মীরা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে : সালাম নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার : পরিবেশ সচিব সৌরশক্তি খাতে আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে চায় জার্মানি ‘সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই বিচার প্রক্রিয়ার ধীর গতি’ মোদি কি হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণের চেনা রাজনীতিতে ফিরছেন? টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ ফুলগাজীতে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু দোয়ারাবাজারে শিশু হত্যা মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ২ কাউখালীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু চুয়েট শিক্ষার্থীদের সড়কে অবস্থান অব্যাহত, ঘাতক বাসচালক গ্রেফতার তামাক পণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের দাবিতে এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ২৫ সংসদ সদস্যের চিঠি

সকল