২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তৃতীয় মেয়াদে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন কেজরিওয়াল ‘আমি কংগ্রেস বিজেপি ভোটারদেরও মুখ্যমন্ত্রী’

-

টানা তৃতীয়বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আম আদমি পার্টির (এএপি) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গতকাল রোববার ঐতিহাসিক রামলীলা ময়দানে বিপুল জনসমাগমের মধ্যে তার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এ দিন কেজরিওয়ালের পাশাপাশি শপথ নিয়েছেন ছয় মন্ত্রীও। তারা হলেনÑ মনীষ সিসোদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈন, গোপাল রাজ, কৈলাশ গেহলত, ইমরান হুসাইন ও রাজেন্দ্র গৌতম। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে দিল্লির ৭০টি আসনের মধ্যে ৬২টি আসনে জয় পেয়েছে আম আদমি পার্টি। বিজেপি পেয়েছে মাত্র আটটি। ২০১৫ সালের নির্বাচনে ৬৭ আসন পেয়েছিল এএপি।
এই বিজয় জনগণকে উৎসর্গ করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, নির্বাচন শেষ, আপনি কাকে ভোট দিয়েছেন সেটা বিষয় না। দলগত পার্থক্য কখনওই আমাকে কারো জন্য কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। এখন সবাই আমার পরিবারের সদস্য। এ দিন দিল্লির লালকেল্লা সংলগ্ন রামলীলা ময়দানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ‘শিশু মাফলারম্যান’। শিশুটির কেজরিওয়াল সাজের ছবি গত মঙ্গলবার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ছাড়া শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৫০ জন স্কুলশিক, চিকিৎসক, পরীায় শীর্ষ স্থান অধিকারী, অটোচালক, পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ‘দিল্লির নির্মাতা’ হিসেবে তাদের মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
বিখ্যাত রামলীলা ময়দানেই রাজনৈতিক যাত্রার সূচনা হয়েছিল ৫১ বছরের কেজরিওয়ালের। এখানেই আন্না হাজারের নেতৃত্বে দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে তার প্রথম শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়েছিল রামলীলা ময়দানে। ২০১৫ সালের শপথও হয়েছিল একই জায়গায়। রোববার কেজরিওয়ালের তৃতীয় মেয়াদের শপথ অনুষ্ঠানে লাধিক মানুষ উপস্থিত হন। সকাল ১০টায় শুরু হয় অনুষ্ঠান। দুপুর ১২টার পর শপথ নেন মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা। শপথ গ্রহণের পর কেজরিওয়াল বলেন, কংগ্রেস ও বিজেপিকে যারা ভোট দিয়েছেন আমি তাদেরও মুখ্যমন্ত্রী। আমি সবার আশীর্বাদ প্রার্থনা করি।
এদিকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী লোকজনকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বা ‘দেশদ্রোহী’ বলা যাবে না বলে রায় দিয়েছেন বোম্বে হাইকোর্ট। ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের বিড জেলায় সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের অনুমতি সংক্রান্ত একটি শুনানিতে বোম্বে হাইকোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চ এ রায় দেন। বিডে সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুমতি চাওয়া হলেও অতিরিক্ত জেলা হাকিমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তা নাকচ করে প্রশাসন। প্রশাসন আন্দোলনের অনুমতি না দেয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হন ইফতেখার শেখ নামে বিডের ৪৫ বছর বয়সী এক বাসিন্দা। আদালতের কাছে সিএএ-বিরোধী আন্দোলন করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন তিনি। এই আবেদনের পরিপ্রেেিতই ওই রায় দেন ঔরঙ্গাবাদ ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি টি ভি নালাভাডে ও এম জি সেউলিকর।

আদালত বলেন, এজাতীয় আন্দোলনের মাধ্যমে সিএএ’র বিধান অমান্য করার প্রশ্ন আসে না বলে পেশ করা নথিপত্র প্রমাণ করেছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement