২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
সিনেটে ইমপিচমেন্টের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন শুরু

ট্রাম্পকে উৎখাতের চেষ্টা হবে অত্যন্ত বিপজ্জনক

ডোনাল্ড ট্রাম্প -

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচ করতে কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে চলমান বিচারকার্যে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেছেন ট্রাম্পের পক্ষের আইনজীবীরা। গত শনিবার প্রথম দিনের শুনানিতে ট্রাম্পের আইনজীবীরা দাবি করেছেন, ইউক্রেন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইমপিচযোগ্য কোনো অপরাধ করেননি।
তারা বলেন, নির্বাচনী বছরে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরানোর জন্য ডেমোক্র্যাটদের প্রচেষ্টা একটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ নজির স্থাপন করবে। ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জো বাইডেনের দুর্নীতি তদন্তের বিষয়ে ইউক্রেনকে কোনো চাপ দেয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন তারা। ডেমোক্র্যাটরা শুধু ২০১৬ সালের নির্বাচনের ফলাফলই উল্টে দিতে চাইছেন না, বরং আগামী নির্বাচন থেকেও ট্রাম্পকে সরিয়ে দিতে চাইছে। এর পরিণাম মোটেও ভালো হবে না বলে শুনানিতে মন্তব্য করেন তারা। ট্রাম্পের আইনজীবীরা ৩ দিন, অর্থাৎ শনিবার, গতকাল রোববার ও আজ সোমবার যুক্তি উপস্থাপন করবেন।
এর আগে শুক্রবার বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা তাদের যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছেন। পরপর ৩ দিন ৮ ঘণ্টা করে উভয়পক্ষ তাদের যুক্তি উপস্থাপনের সুযোগ পাচ্ছেন। ৮ ঘণ্টা নির্ধারিত সময় থাকলেও হোয়াইট হাউজের আইনজীবীরা মাত্র ২ ঘণ্টা তাদের যুক্তি উপস্থাপন করেন।
ট্রাম্পের আইনজীবীদলের প্রধান কৌঁসুলি ও হোয়াইট হাউজের কাউন্সেল প্যাট সিপোলন সিনেটে প্রথম দিনের শুনানিতে বলেন, ‘এখনি যদি ট্রাম্পকে দোষী হিসেবে সাব্যস্ত করা হয় এবং তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় তাহলে আগামী ৩ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের বিষয়ে ভোটারদের সিদ্ধান্ত নেয়া থেকে বঞ্চিত করা হবে।’ আত্মপক্ষ সমর্থনে ট্রাম্পের আইনজীবীরা সিনেটকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে, নির্বাচনের মাত্র ১০ মাস আগে ট্রাম্পকে উৎখাতে ডেমোক্র্যাটদের প্রচেষ্টা নির্বাচনে হস্তক্ষেপের শামিল। এতে করে দ্বিতীয় মেয়াদে তার (ট্রাম্পের) বিষয়ে ভোটাররা তাদের সিদ্ধান্ত দেয়া থেকে বঞ্চিত হবে। তাদের যুক্তি উপস্থাপনের পুরোটা জুড়েই নির্বাচনে হস্তক্ষেপের বিষয়টি প্রাধান্য পায়। প্যাট সিপোলন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে একটি নির্বাচনে সবচেয়ে বড় হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টা নিয়েই তারা (ডেমোক্র্যাটরা) এখানে এসেছে।’ ‘এবং আমরা এটি হতে দিতে পারি না।’ ‘এটি আমাদের সংবিধান লঙ্ঘন করবে।’ ‘এটি আমাদের ইতিহাস লঙ্ঘন করবে।’ ‘এটি ভবিষ্যতের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা লঙ্ঘন করবে।’ শুনানিতে ট্রাম্পের আইনজীবীরা ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে অসত্য বক্তব্য দেয়ারও অভিযোগ আনেন।
এ দিকে ডেমোক্র্যাটরা নির্বাচনের বছরে প্রেসিডেন্টের ইমপিচমেন্টের বিষয়ে সিপোলনের উদ্বেগকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এ বিষয়ে কংগ্রেসম্যান ও মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের বিচার বিভাগ সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান জেরোল্ড নাডলার বলেন, ‘তারা যুক্তি দেখিয়েছে যে, যেহেতু একটি নির্বাচন আসন্ন; সুতরাং প্রেসিডেন্টকে এই মুহূর্তে উৎখাত করা উচিত নয়; কারণ এটি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।’ ‘এই যুক্তি কি এটা বলবে যে, ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া সংবিধানের সাথে সম্পর্কিত নয়।’
এর আগে ডেমোক্র্যাটরা তাদের শুনানিতে সতর্ক বার্তা দিয়ে বলেছে, ট্রাম্প গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা না হলে আবারো তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করতে পারেন। ডেমোক্র্যাট সদস্যরা প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান সিনেটরদের বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তার সাথে আপস করেছেন। ট্রাম্পের অভিশংসন প্রক্রিয়ায় কিছু প্রভাবশালী রিপাবলিকানকে পক্ষে টানতে ডেমোক্র্যাটরা এই পদক্ষেপ নিয়েছে। শিগগিরই রিপাবলিকানদের পাল্টা যুক্তি শেষে সিনেটে চূড়ান্ত ভোটাভুটির কথা রয়েছে। ডেমোক্র্যাটরা সিনেটে নতুন সাক্ষী উপস্থাপন করতে চায়। আর এ জন্যই তাদের ওই ভোটে জয় পেতে হবে।
সিনেটের ইমপিচমেন্ট শুনানিতে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক টুইট বার্তায় ইমপিচমেন্ট শুনানির অস্বচ্ছতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, তার ইমপিচমেন্ট নিয়ে সিনেটের শুনানিতে অবিশ্বাস্য পক্ষপাত চলছে। এমনকি তার আইনজীবীদের আগে বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ দেয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এ মুহূর্তে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে ইমপিচমেন্টের বিচার চলছে। এরই মধ্যে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্পকে ইমপিচ করার প্রস্তাব পাস হয়েছে। এখন সিনেটে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস হলে তাকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে। তবে যেহেতু সিনেটে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে সে কারণে ধারণা করা হচ্ছে চূড়ান্তভাবে ট্রাম্প ক্ষমতাচ্যুত হবেন না।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
চান্দিনায় পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশু মৃত্যু কেএনএফ সম্পৃক্ততা : গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা সম্পর্কে যা জানা গেছে দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ শ্রমজীবি মানুষের মাঝে ক্যাপ, পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় স্ত্রীর ২৭ স্থানে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ১২ উপজেলায় মানববন্ধন রোববারই খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবার ক্লাসসহ ৪ নির্দেশনা ময়মনসিংহ ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের ঈদ পুনর্মিলনী বাস্তবায়নের আহ্বান ৩ গণকবরে ৩৯২ লাশ, ২০ ফিলিস্তিনিকে জীবন্ত কবর দিয়েছে ইসরাইল! মৌলভীবাজারে বিএনপি ও যুবদল নেতাসহ ১৪ জন কারাগারে

সকল