২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাখাইনে গণহত্যার আলামত না পাওয়ার দাবি মিয়ানমারের

-

মিয়ানমারের রাখাইনে গণহত্যার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছে দেশটির সরকার নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ প্যানেল। তারা বরং দাবি করেছে, এই হত্যাযজ্ঞে একাধিক পক্ষ ভূমিকা রেখেছে এমন আলামত রয়েছে তাদের কাছে আছে। কিন্তু গণহত্যার উদ্দেশ্যে এই অভিযান চালানো হয়েছে এমন কোনো আলামত তারা পায়নি।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পরিকল্পিত সহিংসতা জোরদার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। হত্যাকাণ্ড, সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের বাস্তবতায় জীবন বাঁচাতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এই নৃশংসতা বিচারে ২০১৮ একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গড়ে তোলে মিয়ানমার সরকার। সেখানে নিয়োগ দেয়া হয় দুইজন দেশী ও দুইজন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ। যাদের মধ্যে ছিলেন ফিলিপাইনের কূটনীতিক রোজারিও মানালো এবং সাবেক জাপানি রাষ্ট্রদূত কেনজো ওশিমা।
কমিটি জানায়, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাবিরোধী সেনাবাহিনী নেতৃত্বাধীন অভিযানে নিরাপত্তাবাহিনীসহ ‘একাধিক পক্ষ’ সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত থাকার ‘যুক্তিসঙ্গত কারণ’ থাকতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে নির্দোষ গ্রামবাসীকে হত্যা ও তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করা। তবে তদন্তের পর ফল সম্পর্কিত বিবৃতি দিতে গিয়ে কমিটি এই অপরাধের দায় সশস্ত্র রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর ওপর চাপিয়েছে। তারা জানায়, নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং এটা একটি অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সহিংসতা। বিবৃতিতে বলা হয়, কমিটি এমন কোনো আলামত পায়নি, যাতে রাখাইনে মুসলিম কিংবা অন্য জাতিগোষ্ঠীকে নির্মূল করতে এমন হামলা চালানো হয়েছে তা প্রমাণিত হয়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘আলামতের অপ্রতুলতা বিতর্কের তৈরি করে। কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার জন্য অভিযান চালানো এমন যুক্তির পক্ষে প্রমাণের স্বল্পতা রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে গণহত্যা স্বীকৃতির জন্য প্রয়োজনীয় আলামতও পাওয়া যায়নি। ইতোমধ্যে এই রিপোর্ট সরকারের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে এবং শিগগিরই তা প্রকাশ করা হবে বলেও জানানো হয়।
এই রিপোর্টের ব্যাপারে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, চোখে ধুলা দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বছরের পর বছর নিপীড়ন সহ্য করতে হয়েছে। আমাদের অনেকে মারা গেছে, অনেক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আমাদের সন্তানদের পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এসব যদি গণহত্যা না হয়ে থাকে তবে এসব কী? এর আগে রাখাইনে সেনা অভিযানকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর জাতিসঙ্ঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মামলা করে গাম্বিয়া। মামলায় প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা ও সঙ্ঘাত আরো তীব্রতর না হওয়ার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানায় দেশটি।
এ ছাড়া জাতিসঙ্ঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনও একই কথা বলেছিল। ২০১৭ সালেই জাতিসঙ্ঘের অনুসন্ধানী দল তাদের অনুসন্ধানে জানিয়েছিল, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণকে জাতিগত নিধনের অস্ত্র বানিয়েছে মিয়ানমার। এরপর ২০১৮ সালে ওই অনুসন্ধানী দল পাঁচটি আলামত হাজির করে জানায়, রোহিঙ্গাদের বিতাড়নে কাঠামোবদ্ধ যৌন নিপীড়নকে ব্যবহার করেছে সে দেশের সেনাবাহিনী। পরে আরো একটি ঘটনাকে যুক্ত করে সংস্থাটির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন দৃঢ়ভাবে জানায়, গণহত্যার উদ্দেশ্যেই সেখানে যৌন নিপীড়নকে ব্যবহার করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবাদ : নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৩৩ জন গ্রেফতার বিপজ্জনক মাত্রার অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি থেকে বাঁচবেন কিভাবে বিয়ের বাজার শেষে বাড়ি ফেরা হলো না চাচা-ভাতিজির প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন ভারতীয় ৩ সংস্থার মশলায় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান সাবেক শিবির নেতা সুমনের পিতার মৃত্যুতে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের শোক গণকবরে লাশ খুঁজছেন শত শত ফিলিস্তিনি মা ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আলোচনায় নেতাদের ভাই-বোন ও সন্তান সংখ্যা চীনে শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা, ঝুঁকিতে ১৩ কোটি মানুষ ভারতের মাঝারি পাল্লার নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ৩ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার চেন্নাইকে হারাল লক্ষৌ

সকল