২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ব্রেক্সিট উদযাপনের ঘোষণা ব্রিটেনের

-

আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে বিচ্ছেদ উপলক্ষে ব্রিটেন সরকার আগামী ৩১ জানুয়ারি রাতে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এ দিকে দেশটির অর্থমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ স্বীকার করেছেন যে, ব্রিটেন ইইউ ছেড়ে যাওয়ায় কিছু বাণিজ্যিক খাত ক্ষতিগ্র¯Í হবে।
সাজিদ জাভেদ গতকাল শনিবার এক সাক্ষাৎকারে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, ভবিষ্যতে ব্রিটেনের ব্যবস্থাপনাগুলো ইইউর সাথে শ্রেণিভুক্ত হয়ে কাজ করবে না এবং এসব পরিবর্তন কিছু বাণিজ্যিক ক্ষতি বয়ে আনতে পারে। বর্তমানে ইইউ হলো ব্রিটেনের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। তিনি বলেন, ‘কোনো শ্রেণিবিন্যাস থাকবে না, আমরা কোনো নিয়ম গ্রহণকারী হব না, আমরা একক বাজারে থাকব না এবং আমরা শুল্ক ইউনিয়নে থাকব নাÑ আর বছরের শেষে নাগাদ আমরা বিচ্ছেদটি কার্যকর করব।’
ব্রিটেন আনুষ্ঠানিকভাবে ৩১ জানুয়ারি রাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেবে। যদিও ব্রিটেন ১১ মাসের রূপান্তরকালীন সময়ের জন্য ইইউর নিয়মাবলি মেনে চলবে। ব্রিটেনই হবে প্রথম দেশ যারা ইইউ বøক ছাড়ে যাবে। ব্রিটিশ সরকার এ উপলক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে আনন্দ অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বিশেষ ওই রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেয়ার পরিকল্পনা করেছেন। সম্প্রতি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্র¯Í অঞ্চলে সুযোগ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সরকারের পরিকল্পনার ওপর গুরুত্বারোপ করে ব্রিটেনের উত্তরে একটি বিরল মন্ত্রিসভার বৈঠক করছেন বরিস জনসন।
এ দিকে লন্ডনের ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে একটি ঘড়ি স্থাপনের মাধ্যমে সরকার ব্রেক্সিটের দিনক্ষণ গণনা করার পরিকল্পনাও করেছে, যা ব্রেক্সিটের দিন রাত ১১টা অবধি গণনা করা হবে।
গত ডিসেম্বরে ৩১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে আনা একটি বিল বড় ভোটের ব্যবধানে পাস করান এমপিরা। প্রত্যাহার বিলটির পক্ষে পার্লামেন্টে ভোট দেন ৩৫৮ জন। বিপক্ষে ভোট পড়ে ২৩৪টি। এই বিলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে একটি আনুষ্ঠানিক বাণিজ্যচুক্তি না হওয়া পর্যন্ত যে অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, সেটি কোনোভাবেই ২০২০ সালের বেশি বাড়ানো যাবে না বলে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। এ দিকে, গত শুক্রবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ব্রেক্সিটের সমন্বয়কারী গাই ভারহফস্টাডট জানিয়েছেন, ব্রেক্সিটের পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেসব নাগরিক ব্রিটেনে থাকার জন্য আবেদন করেনি তাদের সরকার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিতাড়িত করবে না।
তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের জুনের সময়সীমার মধ্যে যারা ব্রিটেনের ‘স্থায়ীকরণ’ প্রকল্পের জন্য আবেদন করেননি তাদের জন্য একটি গ্রেস পিরিয়ড (অতিরিক্ত সময়) দেয়া হবে বলে তাকে সরকারের পÿ থেকে আশ্ব¯Í করা হয়েছে।’ গ্রেস পিরিয়ডের পরেও যদি আবেদন না করে তাহলে এই লোকদের কী হবে? বিবিসি রেডিওর এমন প্রশ্নের জবাবে ভারহফস্টাডট বলেন, ‘এতেও কোনো স্বয়ংক্রিয় নির্বাসনের মতো কিছু হবে না। এর পরও আবেদনের জন্য তাদেরকে সময় দেয়া হবে।’ গত নভেম্বরে নিউজ এজেন্সিটি জানিয়েছিল যে, ব্রিটেন ইইউ নাগরিকদের সময়মতো আবেদন করতে ব্যর্থ হলে দেশছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে এবং কেবল ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতেই বিষয়টি বিবেচনা করার কথা জানিয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে, গত বছরের শেষ অবধি ব্রিটেনে বসবাসরত আনুমানিক ৩৫ লাখ ইইউ নাগরিকের মধ্যে ২৭ লাখেরও বেশি নাগরিকত্বের আবেদন করেছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল