২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নির্ভয়া ধর্ষকের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ রাষ্ট্রপতির

-

ভারতের মেডিক্যাল শিক্ষার্থী নির্ভয়া ধর্ষণকাণ্ডে ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত চার আসামির মধ্যে মুকেশ সিংয়ের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। গতকাল শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আবেদনটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটি নাকচ করা হয়।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লিতে চলন্ত বাসে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক মেডিক্যাল শিক্ষার্থী। মিডিয়ায় ‘নির্ভয়া’ স্বীকৃতি পাওয়া ওই নারী ১৩ দিন পর সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় ভারতজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠলে বিক্ষোভকারীদের চাপে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে আইন পরিবর্তনেও বাধ্য হয় ভারত সরকার। এ ঘটনায় সাত বছর পর চার আসামির মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। আর বাসটির চালক রাম সিং কারাগারে আত্মহত্যা করে। অপর এক আসামি অপরাধের সময় অপ্রাপ্তবয়স্ক থাকায় তিন বছর সংশোধন কেন্দ্রে থাকার পর মুক্তি পায়। ফাঁসির দড়ি এড়াতে এটাই ছিল মুকেশ সিংয়ের শেষ সুযোগ। এর আগে মুকেশ ও আরেক আসামি বিনয় শর্মার করা সাজা মওকুফের আবেদন বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্ট।
গত সপ্তাহে দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছিলেন, নির্ভয়া ধর্ষণকাণ্ডে দোষী বিনয় শর্মা, মুকেশ সিং, অক্ষয় কুমার সিং এবং পবন গুপ্তকে আগামী ২২ জানুয়ারি সকাল ৭টায় তিহার কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্ধারিত সময়ের মাত্র পাঁচ দিন আগে বৃহস্পতিবার নতুন তারিখের আবেদন করেছে তিহার কারাগার কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, সবার প্রাণভিক্ষার আবেদন মীমাংসা হওয়ার পরেই সাজা কার্যকর করা যাবে।
শুক্রবার মুকেশের প্রাণভিক্ষা নাকচ হয়ে গেলেও এখনো তিন আসামির আবেদনের সুযোগ আছে। ভারতীয় আইন অনুযায়ী, এই আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে অন্তত ১৪ দিনের নোটিশ দেয়ার বিধান রয়েছে।
এ দিকে, আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আরো বিলম্ব হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নির্ভয়ার মা। মেয়ের ওপর হওয়া অমানুষিক নির্যাতনের বিচার দাবি করে তিনি বলেন, ‘তাদের (আসামি) যদি অধিকার থাকে, সাত বছর আগে হত্যার শিকার হওয়া মেয়ের জন্য আমাদেরও ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে’।

 


আরো সংবাদ



premium cement