২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

হামে এক বছরে দেড় লাখ মানুষের মৃত্যু

-

ইউরোপ ও আফ্রিকায় হামের প্রাদুর্ভাব নিয়ে শঙ্কা ও উদ্বেগের মধ্যেই গত বছর এ রোগে বিশ্বব্যাপী প্রায় দেড় লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন। মৃতদের বেশির ভাগই শিশু, যাদের বয়স ৫ এর নিচে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ পরিস্থিতিকে ‘বিস্ময়কর, ভয়ানক ও করুণ’ বলে অভিহিত করেছেন। টিকার মাধ্যমে সহজেই এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব ছিল বলেও মন্তব্য তাদের।
২০০০ সালের তুলনায় প্রাণঘাতী হামের প্রাদুর্ভাব ও মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কমে এলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় বিশ্বজুড়েই উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৮ সালে ব্রিটেন, আলবেনিয়া, চেক রিপাবলিক ও গ্রিস ‘হাম নির্মূল’ হয়েছে এমন দেশের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। চলতি বছর পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২৫ বছরের মধ্যে এবার যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি হাম আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, মাদাগাস্কার ও ইউক্রেইনের বিস্তৃত এলাকায় প্রাণঘাতী এ রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়েছে। হামের কারণে জরুরি অবস্থা জারি করেছে প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপদেশ সামোয়া; স্বাস্থ্যকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য টিকা না নেয়া শিশুদের পরিবারগুলো ঘরের বাইরে লাল পতাকা ঝুলিয়ে রেখেছে।
হাম আক্রান্তরা শুরুতে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় ভোগেন। তারপর প্রবল জ্বরের সাথে গায়ে লাল লাল দানা দেখা দেয়। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে তা উপশমের চিকিৎসা রয়েছে। তবে হামে আক্রান্তদের চোখ ও মস্তিষ্কে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। চিকিৎসকরা বলেছেন, এই রোগ নিরাময়যোগ্য। যেসব প্রতিষেধক শিশুদের জন্য রয়েছে সেগুলো যথেষ্ট নিরাপদ ও কার্যকর।


আরো সংবাদ



premium cement