১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইরাকে রাজনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন দাবি

-

রোববার প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদির পদত্যাগ সত্ত্বেও বাগদাদের তাহরির স্কোয়ারে বিক্ষোভকারীরা রাজনৈতিক ব্যবস্থার সম্পূর্ণ পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। ‘মুহাসসাসা নয়, রাজনৈতিক সাম্প্রদায়িকতা নয়’ বলে বিক্ষোভ করেছেন তারা।
বিক্ষোভে উত্তাল রাজধানীর কেন্দ্রবিন্দুতে সাদা ব্যানারগুলোতে রঙিন করে আঁকা স্লোগান থেকে শুরু করে বিখ্যাত তুর্কি রেস্তোরাঁটির উপরে থেকে লাউড স্পিকারে সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী কবিতা পাঠ করা এবং বাগদাদে বিক্ষোভকারীরা কোটাভিত্তিক ব্যবস্থার নিন্দা জানিয়ে এর বিলুপ্তি দাবি করেছে।
২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আগ্রাসনের পরে ইরাকের জাতিগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আনুপাতিকভাবে সরকারে প্রতিনিধিত্ব করার প্রয়াসে এই নিয়ম চালু করা হয়েছিল। তবে অনেক ইরাকি বিশ্বাস করে যে, মুহাসসাসা রাজনৈতিক ব্যবস্থাটি গভীরভাবে ত্রুটিযুক্ত এবং সেখান থেকে যা কিছু ভুল হয়েছে সবই স্পষ্ট রয়েছে।
‘ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের গবেষণা সহযোগী ফানার আল-হাদাদ আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘মুহাসসাসা শব্দটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও এর সমস্ত ত্রুটি বুঝানোর জন্য একটি শব্দ। এটি এমন একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে নির্দেশ করে যেটি দুর্নীতি, জোটবদ্ধকরণ ও পৃষ্ঠপোষকতার নেটওয়ার্কগুলোকে নির্দেশ করে যেগুলো ইরাকের জনজীবনকে প্রভাবিত করে’। প্রতিবাদকারীরা কেবল ইরাকজুড়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা পরিচালনা করার জন্য মুহাসসাসাকে দোষারোপ করেন না। তারা বলেন মুহাসসাসা নির্দিষ্ট ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগুলোকে বছরের পর বছর ধরে নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করতে এবং নিজেদের প্রভাবকে সম্প্রসারিত করার সুযোগ দিয়েছে। অথচ তেলসমৃদ্ধ দেশটির জনসংখ্যার বেশির ভাগই অর্থনৈতিক সঙ্কট পোহাচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে বাগদাদের বিক্ষোভে অংশ নেয়া ২৮ বছর বয়সী মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক রুশা ওমর বলেন, ‘মুহাসসাসা আমাদের সব সমস্যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। আমরা আর এমন ব্যবস্থাটিকে সহ্য করতে পারি না যা রাজনৈতিক অভিজাতদের আমাদের দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার সুযোগ দিয়েছে।’
মুহাসসাসা কিভাবে শুরু
যদিও ২০০৩ সালে ইরাক দখল করার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেবল মুহাসসাসা চালু করেছিল। তবে ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে ইরাকি বিরোধী দলগুলো এই সিস্টেমটির ভিত্তি স্থাপন করেছিল। তাদের প্রত্যাশা ছিল যে তারা একদিন দীর্ঘ দিনের নেতা সাদ্দাম হোসেনকে পরাজিত করবে। ইরাকের বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা সুন্নি, শিয়া, কুর্দি ও অন্যান্য নৃ-গোষ্ঠীগুলোর জন্য আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ও অংশীদারিত্বের একটি কল্পনা তখনই করেছিল। আটলান্টিক কাউন্সিলের ইরাক ইনিশিয়েটিভের পরিচালক আব্বাস কাদিম বলেছেন, ‘বর্তমান কোটা সিস্টেমটি বিরোধী দলগুলোই তৈরি করেছিল। তারা নিজেদের সংগঠিত করে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল। ব্রিটেনে অনুষ্ঠিত একাধিক সম্মেলনের সময় মূলত মুহাসসাসার রূপরেখা তৈরি করা হয়েছিল।
সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়াদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন। তার পতনের পর মার্কিন বেসামরিক সংস্থা দেশে জাতিগত-সাম্প্রদায়িক ভারসাম্য তৈরি করার কাজে ব্যস্ত ছিল।


আরো সংবাদ



premium cement
কেএনএফ সদস্যদের আদালতে উপস্থাপন, ৫২ জনের রিমান্ড মঞ্জুর ৬ জেলায় বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ, মর্টার শেলের শব্দে প্রকম্পিত সীমান্ত এলাকা হামলার ব্যাপারে ইসরাইল নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে : নেতানিয়াহু ইরানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে পাশ্চাত্যের দেশগুলো সিদ্ধিরগঞ্জে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, নগদ টাকাসহ ৮০ লাখ টাকার মালামাল লুট প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী পরীমণির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আবেদন স্থায়ী যুদ্ধবিরতি না হওয়ায় গাজায় মানবিক প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ ব্যর্থ : রাশিয়া পিকআপচালককে হত্যা করে রেললাইনে লাশ ফেল গেল দুর্বৃত্তরা এক মাস না যেতেই ভেঙে গেলো রাজকীয় বিয়ে!

সকল