২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ফেসবুক-গুগলের তথ্য সংগ্রহপ্রক্রিয়া মানবাধিকারের জন্য হুমকি : অ্যামনেস্টি

-

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও গুগলের মতো বিশ্বখ্যাত টেক প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংগ্রহ করার ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াটি মানবাধিকারের জন্য হুমকি বলে দাবি করেছে ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটি বলেছে, বিনামূল্যে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধা দিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করার পর তাদের লক্ষ্য করে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে আয় মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী।
অ্যামনেস্টির এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফেসবুক ও গুগল গ্রাহকদের যে সেবা দেয় সেটির বাস্তবিক তাৎপর্য থাকলেও এ জন্য ‘প্রক্রিয়াগত’ মূল্য দিতে হয় ব্যবহারকারীদের। প্রতিষ্ঠান দু’টির নজরদারিভিত্তিক ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া মানুষকে একটি ফশিয়ান পরিস্থিতিতে ফেলে। এতে করে তারা সম্ভাব্য মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের হাতে তাদের তথ্য তুলে দিয়ে অনলাইনে মানবাধিকার পায়।
লন্ডনভিত্তিক সংস্থাটির মতে, বিশ্বব্যাপী নজরদারির কারণে গুগল ও ফেসবুক এত বিশালসংখ্যক তথ্য সংগ্রহ করেছে, যা গ্রাহকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে। তাদের ব্যবসায়িক মডেল ব্যক্তিগত গোপনীয়তার নীতির জন্য হুমকি।
সংস্থাটির রিপোর্টে বলা হয়, সিলিকন ভ্যালির এই দুই প্রতিষ্ঠান অনলাইন জগতের প্রায় পুরোটা জুড়েই আধিপত্য বিস্তার করে আছে। মানুষের আধুনিক জীবনের তাদের অনেক বেশি প্রভাব। অ্যামনেস্টির মহাসচিব কুমি নাইডু বলেন, গুগল ও ফেসবুক আমাদের জীবনের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে আছে। ডিজিটাল বিশ্বে তাদের অপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্ষমতা দিয়ে কোটি কাটি মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যের ওপর আয় করছে তারা। তিনি আরো বলেন, তাদের এই নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতায় আমাদের গোপনীয়তার অধিকার ক্ষুণœ হচ্ছে। এই যুগের অন্যতম মানবাধিকার লঙ্ঘন এটি।
এই বিষয়ে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয় প্রতিবেদনে। সেখানে বলা হয়, প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হওয়া মানুষদের সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের; কিন্তু বিগত দুই দশক ধরে তাদের বিরুদ্ধে কোনো নীতি আরোপ করা হয়নি।
এই রিপোর্টের দাবি অস্বীকার করেছে ফেসবুক। তারা বলেছে, এই রিপোর্টে ভুল রয়েছে। তাদের ব্যবসায়িক মডেল নজরদারিভিত্তিকÑ এমন দাবির ব্যাপারে দৃঢ় অস্বীকৃতি জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফেসবুকের গোপনীয়তা ও নীতিবিষয়ক পরিচালক স্টিভ স্টারফিল্ড বলেন, আমাদের এই ব্যবসায়িক মডেল একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা দেয়, যার মাধ্যমে সবাই মৌলিক মানবাধিকার চর্চা করতে পারে। সেখানে তারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা উপভোগ করছে। ফেসবুকের মডেল শুধু তথ্য সংগ্রহের ওপর ভিত্তি করেই করা নয় বলেও দাবি করেন তিনি। ফেসবুক জানায়, ‘আমরা তথ্য বিক্রি করি না। আমরা বিজ্ঞাপন প্রচার করি।’ ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গও সরকারকে তথ্য সংরক্ষণ নিয়ে নীতি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে বাকস্বাধীনতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর ছাড়তে বলেছেন তিনি। অ্যামনেস্টির রিপোর্ট বিষয়ে গুগলের পক্ষ থেকে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি! বাইডেনের মেয়াদে রুশ-মার্কিন সম্পর্কের উন্নতির কোনো আশা নেই : রুশ রাষ্ট্রদূত

সকল