২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ডেমোক্র্যাটদের পঞ্চম বিতর্কে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
-

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের পঞ্চম দফা বিতর্কে প্রাধান্য বিস্তার করেছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইপচিমেন্টের বিষয়। জর্জিয়ার আটলান্টায় টেলার পেরি স্টুডিওতে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকাল) ডেমোক্র্যাট দলের ১০ জন প্রার্থী বিতর্কে অংশ নেন। তারা মার্কিন ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। কিন্তু বিতর্কে কয়েক ঘণ্টাজুড়ে আলোচনা হয় ইমপিচমেন্ট নিয়ে। বিশেষত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমগুলোতে সংবাদ শিরোনাম হচ্ছে এই ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া।
তাদের বিতর্কের আরো বিষয় ছিল সৌদি আরব ও ভোটারদের অধিকার। ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী এবং সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবার ফ্রন্টরানার। ট্রাম্পকে ইমপিচ করা উচিত বলে যারা প্রথম দাবি তুলেছিলেন তার মধ্যে অন্যতম এলিজাবেথ।
তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আইনবহির্ভূতভাবে অগ্রসর হচ্ছেন। ইউক্রেন ইস্যুতে সর্বশেষ যেসব তথ্য প্রকাশ পেয়েছে তাতে প্রেসিডেন্টকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া উচিত বলে তিনি রিপাবলিকান সিনেটরদের আয়ত্তে আনার চেষ্টা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় তিনি তার দুর্নীতিবিরোী পরিকল্পনাও তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রদূত গর্ডন সন্ডল্যান্ডের মতো বড় বড় ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা। ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবে শক্ত সমর্থন আছে ডেমোক্র্যাট আরো দু’জন প্রার্থীর। তারা হলেন সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স এবং সাউথ বেন্ডের মেয়র পিটি বুটিগিগ। এর মধ্যে ট্রাম্পকে ‘প্যাথোলজিক্যাল’ মিথ্যাবাদী হিসেবে মাঝে মধ্যেই অভিহিত করেন বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি আরো বলেছেন, আধুনিক ইতিহাসে সবচেয়ে দুর্নীতিবাজ প্রেসিডেন্ট হলেন ট্রাম্প। অন্য দিকে পিটি বুটিগিগ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তবে তিনি ঐক্যের কথা বলেন। এর পরই আলোচনায় আসেন জো বাইডেন, যাকে নিয়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব। জো বাইডেন তার বক্তব্যে বলেন, তাকেই ট্রাম্প সবচেয়ে উত্তম প্রার্থী হিসেবে মনে করেন। ট্রাম্প মনে করেন তাকে হারাতে পারেন জো বাইডেন। তাই জো বাইডেনের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন ট্রাম্প।
এর বাইরে ডেমোক্র্যাট দলীয় এসব প্রার্থী ট্যাক্স, পররাষ্ট্রনীতি, স্বাস্থ্যসেবাসহ নানা ইস্যুতে কথা বলেন। বিতর্ক অনুষ্ঠানে কংগ্রেসওমেন তুলসি গাব্বাড় অভিযোগ করেন, পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক এস্টাবলিশমেন্ট, মিলিটারি-ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স এবং লোভী করপোরেট স্বার্থের কারণে দুর্নীতিতে পড়েছিল ডেমোক্র্যাট পার্টি। তার এ বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন সিনেটর কমলা হ্যারিস। জুলাইয়ের বিতর্কে কমলা হ্যারিসের ‘ক্রিমিনাল জাস্টিস রেকর্ড’কে আক্রমণ করে বক্তব্য রেখেছিলেন তুলসি গাব্বাড়। তার যেন একটু ফেরত দিলেন তুলসি গাব্বাড় এ দিন।


আরো সংবাদ



premium cement
এবারের আইপিএলে কমলা ও বেগুনি টুপির লড়াইয়ে কারা সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে গেছে : রিজভী রাশিয়ার ৯৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের ৮৪টি ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য

সকল