২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঝাড়খণ্ডে গরুর গোশত বিক্রেতা সন্দেহে পিটিয়ে যুবক হত্যা

-

ভারতের ঝাড়খণ্ড খুন্তি জেলার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপে গরুর গোশত বিক্রির খবর ছড়ানোর পর প্রতিবেশী জালটান্ডা সুয়ারি গ্রামে তিনজনের ওপর চড়াও হয় ১২-১৫ জনের একটি দল। উত্তেজিত গ্রামবাসীদের দেখে পালানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন ওই তিনজন। তারা জনতার হাতে ধরা পড়ে যান। এর পরই শুরু হয় বেধড়ক মারধর। তবরেজ আনসারির পর ফের নৃশংস গণপিটুনির সাক্ষী হলো ঝাড়খণ্ড।
গরুর গোশত বিক্রেতা সন্দেহে পিটিয়ে খুন করা হলো কালান্তুস বারলা নামে এক যুবককে। বেদম মারধরে মৃত্যুর আশঙ্কায় আছেন আরো দু’জন। এরা হলেন ফাগু কাচ্চাপন্দ ও ফিলিপ হাহোরো। তারা তিনজনই আদিবাসী খ্রিষ্টান। ডিআইজি জানিয়েছেন, পরপর ঠিক কী ঘটেছিল তা এখনো স্পষ্ট নয়, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কারোকে গ্রেফতার করা হয়নি। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
গত তিন মাসে এই নিয়ে ঝাড়খণ্ডে দু’টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটল। জুনে চোর সন্দেহে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় তবরেজ আনসারিকে। ১৭ জুন ঝাড়খণ্ডের খরসওয়ান জেলায় তবরেজ আনসারিকে খুঁটির সাথে বেঁধে, চোর সন্দেহে পেটানো হয়েছিল।
তবরেজকে গণপিটুনির সেই ভিডিও সোস্যালে ঝড় তোলে। ভিডিওয় দেখা যায়, কিছু অতি উৎসাহী নৃশংসভাবে তাকে পেটাতে পেটাতে জোর করে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করছে। ঘটনার পাঁচ দিন পর, ২২ জুন পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন মারা যান ওই যুবক।
এই মামলায় মোট ১১ জনকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে প্রকাশ মণ্ডল ওরফে পাপু মণ্ডল, কামাল মাহাতো, সুনামো প্রধান, প্রেমচাঁদ মাহালি, সুমন্ত মাহাতো, মদন নায়েক, চামু নায়েক, মহেশ মাহালি, কুশল মাহালি, সায়ন্তন নায়েক ও ভীমসেন মণ্ডল।

সম্প্রতি জেলা পুলিশ তবরেজ আনসারি মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের ধারা প্রত্যাহার করায়, চূড়ান্ত পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তার স্ত্রী। গতকাল সোমবার ঝাড়খণ্ড পুলিশের উদ্দেশে হুঁশিয়ারির সুরে তবরেজের স্ত্রী শাহিস্তা পারভিন জানান, গণপিটুনির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা না দিলে, তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন।
তবরেজের একুশ বছরের স্ত্রী শাহিস্তা রাঁচির পুলিশ সুপারের সাথে দেখাও করেন। গিয়েছিলেন ডিসির দফতরেও। তার আর্জি, অভিযুক্ত ১১ জনের বিরুদ্ধে আইপিসি ৩০৪ ধারার বদলে ৩০২ (খুন) ধারা দিতে হবে।
ঝাড়খণ্ড গণপিটুনিতে নিহত তবরেজ আনসারির পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট বলা হয়, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে তার মৃত্যু হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে আসার পরেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা প্রত্যাহার করা হয়। মাথার খুলিতে চিড়, বিভিন্ন অরগ্যান ফেলিওর এবং হার্টের প্রকোষ্ঠে রক্ত জমাট বাঁধার মিলিত ফলই হলো তবরেজের কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণ।


আরো সংবাদ



premium cement
প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের গুলির নিন্দা জামায়াতের রাজধানীতে তৃষ্ণার্তদের মাঝে শিবিরের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ রাজশাহীতে সাড়ে ৬ কোটি টাকার হেরোইনসহ যুবক গ্রেফতার এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা গাজার বালিতে আটকে পড়েছে ইসরাইলি বাহিনী : হামাস মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন : যা বলছে আওয়ামী লীগ মান্দায় বিদ্যুতের আগুনে পুড়ল ৮ বসতবাড়ি রিজওয়ানকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ব্র্যাডম্যান বললেন আফ্রিদি গোবিন্দগঞ্জে ট্রাক্টরচাপায় নারী নিহত অভিযোগ করার পর ইনসুলিন ইঞ্জেকশন কেজরিওয়ালকে!

সকল