২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আজাদ কাশ্মির নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি জয়শঙ্করের : পাকিস্তানের প্রতিবাদ

সুব্রাহ্মনিয়াম জয়শঙ্কর -

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রাহ্মনিয়াম জয়শঙ্কর বলেছেন, কাশ্মিরের যে অংশটি পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে আছে তা ভারতের অংশ এবং একদিন নয়া দিল্লি ওই অংশটির নিয়ন্ত্রণ নেবে। মঙ্গলবার ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
কাশ্মিরের সবচেয়ে জনবহুল এলাকা কাশ্মির উপত্যকা ভারতের শাসনাধীন, অপর দিকে কাশ্মিরের পশ্চিমাংশ পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে। নিজেদের নিয়ন্ত্রিত ওই এলাকাকে পাকিস্তান ‘আজাদ কাশ্মির’ বললেও নয়া দিল্লিø ওই অংশটিকে ‘পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মির’ (পোক) বলে বর্ণনা করে।
সংবাদ সম্মেলনে জয়শঙ্কর বলেন, ‘পোকের বিষয়ে আমাদের অবস্থান সব সময় অত্যন্ত পরিষ্কার আছে এবং থাকবে। পোক ভারতের অংশ এবং আমরা আশা করছি একদিন এর ওপর আমরা আইনগত অধিকার, বাস্তব আইনগত অধিকার লাভ করব।’ গত মাসে নয়া দিল্লি তাদের অধীনে থাকা মুসলিমপ্রধান কাশ্মিরকে পুরোপুরি ভারতের ভূখণ্ডভুক্ত করার জন্য অঞ্চলটির বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে, তাদের এ পদক্ষেপে কাশ্মির ও পাকিস্তানজুড়ে ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
পাকিস্তানের প্রতিবাদ
এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জয়শঙ্করের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা বলেছে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্যে ‘উত্তেজনা আরো বেড়ে যেতে পারে’ এবং এতে ওই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা ‘গুরুতরভাবে বিপন্ন’ হতে পারে। এতে আরো বলা হয়, ‘পাকিস্তান শান্তির পক্ষে, কিন্তু যেকোনো আগ্রাসনের যথাযথ জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত।’
রাজনীতিকদের গ্রেফতারে উগ্রবাদীরা শূন্যস্থান পূরণ করবে : রাহুল
এ দিকে সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, কাশ্মিরের ভারতীয় জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকদের গ্রেফতারের ফলে তাদের শূন্যস্থান পূরণ করবে উগ্রবাদীরা। মঙ্গলবার টুইটারে দেয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। মূলত জননিরাপত্তা আইনে কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহকে গ্রেফতারের ঘটনায় এমন প্রতিক্রিয়া জানান রাহুল।
টুইটে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে, ফারুক আবদুল্লাহর মতো জাতীয়তাবাদী নেতাদের আটক করে রাজনৈতিক শূন্যস্থান তৈরি করতে চাইছে সরকার, যা পূরণ করবে উগ্রবাদীরা। তারপর বাকি ভারতে মেরুকরণের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে কাশ্মির।’
উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালে জননিরাপত্তা আইন পাস করান ফারুক আবদুল্লাহর বাবা ও কাশ্মিরের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ। এই আইনে যে কাউকে বিনা বিচারে দুই বছর পর্যন্ত আটক রাখা যায়। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে অঞ্চলটিকে দুই টুকরো করে ফেলে ভারত। ওই দিন থেকেই নিজ বাড়িতে ‘গৃহবন্দী’ অবস্থায় ছিলেন কাশ্মিরের এই ভারতপন্থী রাজনীতিক। সর্বশেষ ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি’র অভিযোগে নিজের বাবার তৈরি জননিরাপত্তা আইনে তাকে আটক করে ভারতের নিরাপত্তাবাহিনী।

 


আরো সংবাদ



premium cement