১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইরানকে ঠেকাতে ইউরোপীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে ব্রিটেন

-

উপসাগরীয় অঞ্চলে ব্রিটেনের একটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার আটকের ঘটনায় নাটকীয় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ইরানের সাথে সৃষ্ট এই উত্তেজনার মধ্যে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য উপসাগরীয় অঞ্চলে ইউরোপীয় সুরক্ষা বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে ব্রিটেন।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট ওই তেলবাহী ট্যাঙ্কার আটকের ঘটনাকে ইরানের ‘রাষ্ট্রীয় দস্যুপনা’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছেন। একই সাথে ব্রিটেন ইরানের সাথে সঙ্ঘাত চায় না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। জেরেমি হান্ট বলেন, ‘আমরা যত দ্রুত সম্ভব এই মিশন প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করব।’ উপসাগরীয় অঞ্চলে ব্রিটেনের পাঠানো দ্বিতীয় আরেকটি যুদ্ধজাহাজ আগামী ২৯ জুলাই পৌঁছবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে ইরানের গত কয়েক মাসের চলমান তীব্র উত্তেজনার মধ্যে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী শুক্রবার কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালি থেকে ব্রিটেনের তেলবাহী ট্যাঙ্কার ‘স্টেনা ইম্পিরো’ আটক করে। সিরিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের দায়ে জিব্রাল্টার প্রণালির কাছে থেকে ইরানের একটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার ব্রিটেন আটক করে। এ ঘটনার দুই সপ্তাহ পর তেহরান ব্রিটিশ ট্যাঙ্কার আটক করে।
সোমবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, তার দেশ ব্রিটেনের সাথে কোনো ধরনের সঙ্ঘাতে জড়াতে চায় না। ব্রিটেনের হবু প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উদ্দেশে তিনি এই বার্তা দেন। নিকারাগুয়া সফররত ইরানি এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বরিস জনসন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে প্রবেশ করতে যাচ্ছে; এ জন্যই এটা তার উপলব্ধি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, ইরান সঙ্ঘাত চায় না। পারস্পরিক শ্রুদ্ধাবোধের জায়গা থেকে স্বাভাবিক সম্পর্ক রক্ষা করতে চায় ইরান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য ব্রিটেন দ্বন্দ্বে নেমেছে বলে মন্তব্য করেন জারিফ।
উপসাগরে সব মার্কিন জাহাজের ওপর ‘নজর রাখছে ইরান’
এ দিকে রয়টার্স জানায়, ইরানের নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল হোসেন খানজাদি বলেছেন, পারস্য উপসাগরে থাকা সব মার্কিন নৌযান ও তাদের প্রতিদিনকার গতিবিধি নজরে রাখা হচ্ছে। হরমুজ প্রণালী ও উপসাগরে তেলবাহী ট্যাংকারের চলাচল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের সাথে তেহরানের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই ইরানের ইয়ং জার্নালিস্টস ক্লাবের ওয়েবসাইটকে তিনি একথা বলেছেন। খানজাদি বলেন, ‘আমরা শত্রুদের সব জাহাজ নজরে রাখছি, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রেরগুলো, তাদের রওনা করার স্থান থেকে এই অঞ্চলে প্রবেশ করার প্রতিটি মুহূর্ত পর্যন্ত। যৌথ বাহিনী ও মার্কিনিদের নৌযানগুলোর প্রতিদিনকার প্রতিমুহূর্তের সব চিত্র এবং সংরক্ষিত তথ্য আমাদের আছে। ইরানি ড্রোনের সাহায্যেই এ ছবিগুলো নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। খানজাদি বলেছেন, ইরান আগামী বছরের মার্চের আগেই মিত্রদের নিয়ে একটি নৌমহড়া করবে। প্রথমবারের মতো হতে যাওয়া এ মহড়ায় তেহরানের সাথে আর কোন কোন দেশ থাকবে তা জানাননি তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement