২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইরানি ড্রোন ধ্বংসের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের অস্বীকার তেহরানের

-

মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ ইউএসএস বকমার হরমুজ উপকূলে ইরানের একটি ড্রোন ‘ধ্বংস করেছে’ বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বৃহস্পতিবার সকালে ওই ড্রোনটি মার্কিন নৌযানের এক হাজার গজের মধ্যে উড়ে এসে হুমকি দেয়ায় পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে সেটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয় বলে জানান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তেহরান বলছে, তাদের কোনো ড্রোনই খোয়া যায়নি।
হরমুজকে ঘিরে ওয়াশিংটন-তেহরান ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই সেখানে এ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি উঠল। হোয়াইট হাউজের এক অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ‘ড্রোনটি ইউএসএস বক্সারের এক হাজার গজের মধ্যে উড়ে এসেছিল, সরে যাওয়ার জন্য সেটিকে কয়েকবার বলা হলেও ড্রোনটি তা অবজ্ঞা করে।’
যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনাকে আন্তর্জাতিক নৌসীমায় জাহাজ চলাচলে বিঘœ ঘটাতে ইরানের ধারাবাহিক উসকানির অংশ হিসেবেই দেখছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘নিজেদের লোকজন, স্থাপনা ও স্বার্থ রক্ষার অধিকার রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। তাৎক্ষণিকভাবে ওই ড্রোনটি ধ্বংস করে দেয়া হয়।’ এর আগে ওয়াশিংটনের তরফ থেকে বলা হয়েছিল যে, ইরানের উচিত আটক করা বিদেশী জাহাজটিকে দ্রুত ছেড়ে দেয়া।
পেন্টাগন জানিয়েছে, হরমুজ উপকূলে চলাচলের সময় উড়ে আসা একটি ড্রোনের বিরুদ্ধে ‘আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা’ নিয়েছে ইউএসএস বক্সার। পেন্টাগনের মুখপাত্র কমান্ডার রেবেকা রেবারিচ বলেছেন, ‘আমাদের মূল্যায়ন বলছে, ড্রোনটি ছিল ইরানি।’
এ দিকে যুক্তরাষ্ট্র হরমুজ প্রণালীতে একটি ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করলেও তেহরান বলছে, তাদের কোনো ড্রোনই খোয়া যায়নি। মার্কিন জাহাজ ভুল করে নিজেদেরই কোনো ড্রোন ধ্বংস করেছে কি না, ওয়াশিংটনকে তাও খতিয়ে দেখতে বলেছে তারা। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ ‘এখন পর্যন্ত কোনো ড্রোন হারানোর খবর পাইনি’ বলে জানিয়েছিলেন।
শুক্রবার ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি ইরানি ড্রোন ধ্বংসের দাবিকে উড়িয়ে দেন। টুইটারে আরাকচি বলেছেন, ‘হরমুজ প্রণালী কিংবা অন্য কোথাও আমরা কোনো ড্রোন হারায়নি। ইউএসএস বক্সার ভুল করে তাদেরই কোনো মনুষ্যবিহীন ড্রোন ধ্বংস করে ফেলেছে কি না, তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।’ ইরানের সেনাবাহিনীও পরে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। ইরানের সব ড্রোনই ঘাঁটিতে ফিরেছে এবং সবগুলোই অক্ষত, বলেছে তারা।
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরান ও এর মিত্রদের ওড়ানো ড্রোনগুলো এখন যুক্তরাষ্ট্রের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত ড্রোন দিয়ে ইরাকের ইরানঘনিষ্ঠ মিলিশিয়ারা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মার্কিন ঘাঁটি ও সেনাবাহিনীর ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে বলে অনুমান পেন্টাগনেরও। গত বৃহস্পতিবার ইউএসএস বক্সারের কাছে উড়ে আসা ড্রোনটিকে ‘ইলেকট্রনিক জ্যামিংয়ের’ মাধ্যমে ভূপাতিত করা হয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এর আগে গত মাসে ইরান তাদের আকাশসীমায় ‘অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করা’ একটি মার্কিন ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্র সে সময় বলেছিল, তাদের ড্রোনটি ইরানি নয়, আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে জিব্রাল্টারে ইরানি একটি তেলবাহী ট্যাংকার আটকের ঘটনায় যুক্তরাজ্যের সাথেও তেহরানের সম্পর্কে অবনতি দৃশ্যমান হচ্ছে।
সুপার ট্যাংকার গ্রেস ১ সিরিয়ার বানিয়াস তেল শোধনাগারের জন্য জ্বালানি নিয়ে যাচ্ছে এমন সন্দেহে ব্রিটিশ মেরিনের সহায়তায় ও নৌযান এবং এর কার্গোগুলো জব্দ করা হয়। বানিয়াস শোধনাগারের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আছে। ‘সন্দেহের বশবর্তী’ হয়ে তেলবাহী ট্যাংকার আটকের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে ইরান গ্রেস ১-কে শিগগিরই ছেড়ে না দিলে পাল্টা ব্যবস্থারও হুমকি দিয়ে রেখেছে। জ্বালানি চোরাচালানের অভিযোগে তেহরান বৃহস্পতিবার ‘বিদেশী একটি ট্যাংকার’ ও এর ক্রুদের আটক করার কথাও জানিয়েছে।
ষ রয়টার্স
মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ ইউএসএস বকমার হরমুজ উপকূলে ইরানের একটি ড্রোন ‘ধ্বংস করেছে’ বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বৃহস্পতিবার সকালে ওই ড্রোনটি মার্কিন নৌযানের এক হাজার গজের মধ্যে উড়ে এসে হুমকি দেয়ায় পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে সেটি গুঁড়িয়ে দেয়া হয় বলে জানান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তেহরান বলছে, তাদের কোনো ড্রোনই খোয়া যায়নি।
হরমুজকে ঘিরে ওয়াশিংটন-তেহরান ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই সেখানে এ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি উঠল। হোয়াইট হাউজের এক অনুষ্ঠানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ‘ড্রোনটি ইউএসএস বক্সারের এক হাজার গজের মধ্যে উড়ে এসেছিল, সরে যাওয়ার জন্য সেটিকে কয়েকবার বলা হলেও ড্রোনটি তা অবজ্ঞা করে।’
যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনাকে আন্তর্জাতিক নৌসীমায় জাহাজ চলাচলে বিঘœ ঘটাতে ইরানের ধারাবাহিক উসকানির অংশ হিসেবেই দেখছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘নিজেদের লোকজন, স্থাপনা ও স্বার্থ রক্ষার অধিকার রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। তাৎক্ষণিকভাবে ওই ড্রোনটি ধ্বংস করে দেয়া হয়।’ এর আগে ওয়াশিংটনের তরফ থেকে বলা হয়েছিল যে, ইরানের উচিত আটক করা বিদেশী জাহাজটিকে দ্রুত ছেড়ে দেয়া।
পেন্টাগন জানিয়েছে, হরমুজ উপকূলে চলাচলের সময় উড়ে আসা একটি ড্রোনের বিরুদ্ধে ‘আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা’ নিয়েছে ইউএসএস বক্সার। পেন্টাগনের মুখপাত্র কমান্ডার রেবেকা রেবারিচ বলেছেন, ‘আমাদের মূল্যায়ন বলছে, ড্রোনটি ছিল ইরানি।’
এ দিকে যুক্তরাষ্ট্র হরমুজ প্রণালীতে একটি ইরানি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করলেও তেহরান বলছে, তাদের কোনো ড্রোনই খোয়া যায়নি। মার্কিন জাহাজ ভুল করে নিজেদেরই কোনো ড্রোন ধ্বংস করেছে কি না, ওয়াশিংটনকে তাও খতিয়ে দেখতে বলেছে তারা। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ ‘এখন পর্যন্ত কোনো ড্রোন হারানোর খবর পাইনি’ বলে জানিয়েছিলেন।
শুক্রবার ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি ইরানি ড্রোন ধ্বংসের দাবিকে উড়িয়ে দেন। টুইটারে আরাকচি বলেছেন, ‘হরমুজ প্রণালী কিংবা অন্য কোথাও আমরা কোনো ড্রোন হারায়নি। ইউএসএস বক্সার ভুল করে তাদেরই কোনো মনুষ্যবিহীন ড্রোন ধ্বংস করে ফেলেছে কি না, তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।’ ইরানের সেনাবাহিনীও পরে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। ইরানের সব ড্রোনই ঘাঁটিতে ফিরেছে এবং সবগুলোই অক্ষত, বলেছে তারা।
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরান ও এর মিত্রদের ওড়ানো ড্রোনগুলো এখন যুক্তরাষ্ট্রের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত ড্রোন দিয়ে ইরাকের ইরানঘনিষ্ঠ মিলিশিয়ারা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মার্কিন ঘাঁটি ও সেনাবাহিনীর ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে বলে অনুমান পেন্টাগনেরও। গত বৃহস্পতিবার ইউএসএস বক্সারের কাছে উড়ে আসা ড্রোনটিকে ‘ইলেকট্রনিক জ্যামিংয়ের’ মাধ্যমে ভূপাতিত করা হয় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এর আগে গত মাসে ইরান তাদের আকাশসীমায় ‘অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করা’ একটি মার্কিন ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্র সে সময় বলেছিল, তাদের ড্রোনটি ইরানি নয়, আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে জিব্রাল্টারে ইরানি একটি তেলবাহী ট্যাংকার আটকের ঘটনায় যুক্তরাজ্যের সাথেও তেহরানের সম্পর্কে অবনতি দৃশ্যমান হচ্ছে।
সুপার ট্যাংকার গ্রেস ১ সিরিয়ার বানিয়াস তেল শোধনাগারের জন্য জ্বালানি নিয়ে যাচ্ছে এমন সন্দেহে ব্রিটিশ মেরিনের সহায়তায় ও নৌযান এবং এর কার্গোগুলো জব্দ করা হয়। বানিয়াস শোধনাগারের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আছে। ‘সন্দেহের বশবর্তী’ হয়ে তেলবাহী ট্যাংকার আটকের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে ইরান গ্রেস ১-কে শিগগিরই ছেড়ে না দিলে পাল্টা ব্যবস্থারও হুমকি দিয়ে রেখেছে। জ্বালানি চোরাচালানের অভিযোগে তেহরান বৃহস্পতিবার ‘বিদেশী একটি ট্যাংকার’ ও এর ক্রুদের আটক করার কথাও জানিয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
গাজা ইস্যুতে ইউরোপের নীতির সমালোচনায় অ্যামনেস্টি আজ রানা প্লাজা ধসের ১১ বছর গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবাদ : নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৩৩ জন গ্রেফতার বিপজ্জনক মাত্রার অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি থেকে বাঁচবেন কিভাবে বিয়ের বাজার শেষে বাড়ি ফেরা হলো না চাচা-ভাতিজির প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন ভারতীয় ৩ সংস্থার মশলায় ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান সাবেক শিবির নেতা সুমনের পিতার মৃত্যুতে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের শোক গণকবরে লাশ খুঁজছেন শত শত ফিলিস্তিনি মা ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আলোচনায় নেতাদের ভাই-বোন ও সন্তান সংখ্যা চীনে শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা, ঝুঁকিতে ১৩ কোটি মানুষ

সকল