২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইরানবিরোধী সামরিক জোট গঠনে চাপে যুক্তরাষ্ট্র

-

ইরানের সাথে উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যের তেল সরবরাহ পথগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর উদ্যোগে তার মিত্রদের সমর্থন আদায়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য দেশটি মধ্যপ্রাচ্যে একটি ইরানবিরোধী সামরিক জোট গঠনের চেষ্টা করছে। তবে এই জোট গঠনে মিত্রদের চাপে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইরান ও ইয়েমেন উপকূলে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রপথ ও প্রণালি সুরক্ষায় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি ইয়েমেন উপকূলে ট্যাঙ্কারে হামলার জন্য ইরানকে দোষারোপ করা হচ্ছে। ইরান এ অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে। এই হামলার পর থেকেই সামরিক জোট গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়।
ওয়াশিংটনের মিত্ররা অবশ্য নতুন করে জোট গঠনে অনিচ্ছুক। আবার যুক্তরাষ্ট্র জোটের প্রস্তাবে কিছুটা নমনীয় হয়েছে বলেই মনে হয়। পেন্টাগনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা গত বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য সামরিক জোট গঠন করা নয়। বরং বাণিজ্যিক অঞ্চলে আক্রমণ প্রতিরোধে যৌথ নজরদারি বাড়ানো। হরমুজ প্রণালি দিয়ে নিজেদের তেল রফতানি করতে না পারলে পারস্য সাগরে নিজেদের উপকূলসংলগ্ন বিশ্ব বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ এই প্রণালিটি অনেক দিন ধরে বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র এই প্রণালিটি নিয়ে কোনো ধরনের সমস্যা দেখতে চায় না। ওই অঞ্চলে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি রয়েছে। এ ছাড়া তাদের নৌবাহিনীর নেতৃত্বে বেশ কিছু দেশের সাথে যৌথ টাস্কফোর্স রয়েছে। সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযানসহ নানা কারণ দেখিয়ে এই অঞ্চলে দিন দিন সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
এক মার্কিন কূটনীতিক বলেন, যাদের মধ্যে ভবিষ্যতে হামলার মুখোমুখি হওয়ার ভয় আছে তাদের নিয়ে আমেরিকানরা একটি ‘অ্যালায়েন্স অব দ্যা উইলিং’ গঠন করতে চায়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগে কেউই ইরানের মুখোমুখি হতে চায় না। পেন্টাগনের সিনিয়র নীতি নির্ধারণী কর্মকর্তা ক্যাথরিন হুইলবার্গার রয়টার্সকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন উদ্যোগ সামরিক সঙ্ঘাতের বিষয়ে নয়।
জোট গঠনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ওই সামরিক জোটের জন্য কমান্ড জাহাজ সরবরাহ করবে এবং নজরদারি প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিবে। মিত্র বাহিনীর জাহাজগুলো মার্কিন কমান্ড জাহাজের কাছাকাছি টহল দিবে। এ ছাড়া বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে পাহারা দেয়ার কাজ করবে মার্কিন নৌবহর।
ইরান বলেছে, তারা তাদের অঞ্চলে বিদেশী দেশগুলোর জাহাজ চলাচল নিরাপদ রাখতে পারবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফ্রান্সের নৌবাহিনীর সেনারা রয়েছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব অনুযায়ী জাহাজগুলোকে টহল দেয়ার পরিকল্পনা করছে না। তারা এই প্রস্তাবকে ইরানবিরোধী হিসেবে দেখছে বলে ফরাসি কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। ব্রিটিশ নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, প্রতিটি বাণিজ্যিক জাহাজকে অনুসরণ করা সম্ভব নয়। এটি অনেক দেশকে ভাগ করে নিতে হবে। বেইজিংয়ের একজন সিনিয়র পশ্চিমা কর্মকর্তা বলেন, চীন কোনো সামরিক জোটে যোগ দিতে পারবে না। দক্ষিণ কোরিয়ার এক কর্মকর্তা বলেছেন, ওয়াশিংটন আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের এখনো কোনো অনুরোধ করেনি। এ ব্যাপারে জাপান কোনো ইতিবাচক উদ্যোগ নিলে জনসাধারণের মধ্যে বিভক্তি তৈরি হতে পারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানের সামরিক বাহিনী বিদেশে কোনো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। একজন উপসাগরীয় কর্মকর্তা বলেন, আমেরিকা তাদের তেল সরবরাহের সুরক্ষার জন্য এ অঞ্চলে কিছু স্থাপনের বিষয়ে আগ্রহী। কিন্তু ইতোমধ্যে অনেক বিষয় শান্ত হয়ে এসেছে। ভারত ২০ জুন থেকে তাদের পতাকাবাহী জাহাজ সুরক্ষার জন্য উপসাগরীয় অঞ্চল দু’টিতে জাহাজ নিয়োজিত করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement
পঞ্চপল্লীর ঘটনায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে যা দরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে করার নির্দেশ সরকার ভিন্ন মত ও পথের মানুষদের ওপর নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে : মির্জা ফখরুল ধুনটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু বাকৃবির এক্স রোটারেক্টরর্স ফোরামের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত পাবনায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, হিট স্ট্রোকে মৃত্যু ১ দাগনভুঞায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তির ঘটনায় আ’লীগ নেতাকে শোকজ দখলে থাকা ৪ গ্রাম আজারবাইজানকে ফিরিয়ে দেবে আর্মেনিয়া স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে স্ত্রীর আত্মহত্যা! কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে নারীর মৃত্যু যেসব এলাকায় রোববার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে পলাশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মনা, সম্পাদক রনি

সকল