২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বন্যায় ডুবছে দক্ষিণ এশিয়া প্রাণহানি শতাধিক

-

ভারী বর্ষণ ও বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারত। মওসুমি বৃষ্টিতে তিন দেশের বেশির ভাগ নি¤œাঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় অন্তত ৪০ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া বন্যার কারণে মারা গেছেন আরো শতাধিক মানুষ।
ভারতে সবচেয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে দেশটির দারিদ্র্যপীড়িত প্রদেশ আসাম এবং বিহার। উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় আসামে পানি বাড়তে থাকায় গত ১০ দিনে কয়েক লাখ মানুষ বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। স্থানীয় সরকারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দেশটির টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর খবরে দেখা যায়, বিহারের অধিকাংশ এলাকার সড়ক ও রেলপথ ডুবে গেছে। লোকজন বুক সমান পানিতে নেমে বাড়িঘর ছেড়ে মাথায় মালপত্র নিয়ে অন্যত্র যাচ্ছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় প্রত্যেক বছর বন্যায় ব্যাপক পরিমাণে বাস্তুচ্যুতি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বর্ষার শুরুর দিকে এই ক্ষয়ক্ষতি কম হলেও সময়ের সাথে সাথে তা বাড়তে থাকে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালে ভয়াবহ বন্যায় কমপক্ষে ৮০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এছাড়া মারা যায় আরো কয়েক হাজার গবাদিপশু। ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাজার হাজার বাড়িঘর। হিমালয় থেকে নেমে আসা ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও কয়েকদিন ধরে বৃদ্ধি পেয়েছে। আসাম ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে ব্রহ্মপুত্রের পানি ঢুকে পড়ায় অধিকাংশ এলাকা তলিয়ে গেছে। বন্যার পানিতে ডুবে আসামে এক ডজনের বেশি মানুষের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। বন্যায় বিরল এক শৃঙ্গিগণ্ডারের আবাসস্থল আসামে কাজিরাঙ্গা ন্যাশনাল পার্কের অধিকাংশ ডুবে গেছে। সোমবার ওই এলাকায় চারজন ডুবে মারা গেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোওয়াল বলেছেন, ‘আসামের ৩১ থেকে ৩২টি জেলায় বন্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি। আমরা বন্যাপরিস্থিতি মোকাবেলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করছি।’
অন্যদিকে, প্রতিবেশী নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে এখন পর্যন্ত ৬৪ জনের মৃত্যু ও ৩১ জন নিখোঁজ রয়েছে। মৃতদের অনেকেই ভূমিধসের কারণে ঘরবাড়ির নিচে চাপা পড়েছিলেন বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, দেশটির এক-তৃতীয়াংশ জেলা ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ২০০৮ সালে নেপালে কসি নদীর তীর ভেঙে নি¤œাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়ায় অনেক ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়। এতে প্রাণ যায় কমপক্ষে ৫০০ জনের।
এদিকে, বাংলাদেশের বেশ কিছু জেলায় বন্যার পানিতে প্রায় ২ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন বলে সরকারি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
প্রতি বছর দক্ষিণ এশিয়ায় বন্যার কারণে বহু লোককে ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়, অনেক লোকও মারা যায়। চলতি বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে নিহত ও উদ্বাস্তু লোকজনের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
সৌরশক্তি খাতে আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে চায় জার্মানি ‘সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই বিচার প্রক্রিয়ার ধীর গতি’ মোদি কি হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণের চেনা রাজনীতিতে ফিরছেন? টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ ফুলগাজীতে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু দোয়ারাবাজারে শিশু হত্যা মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ২ কাউখালীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু চুয়েট শিক্ষার্থীদের সড়কে অবস্থান অব্যাহত, ঘাতক বাসচালক গ্রেফতার তামাক পণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের দাবিতে এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ২৫ সংসদ সদস্যের চিঠি প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে মহিষের আক্রমণে বাবা-ছেলেসহ আহত ৪ গফরগাঁওয়ে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

সকল