মিয়ানমারকে ভারতীয় টর্পেডো সরবরাহ শুরু
- ইরাবতী
- ১৭ জুলাই ২০১৯, ০০:০০
সাবমেরিন প্রতিরোধী উন্নত হালকা টর্পেডো (টিএএল) শিয়েনার প্রথম চালান মিয়ানমারে পাঠিয়েছে ভারত। দুই বছর আগের একটি রফতানি চুক্তির আওতায় ভারত এসব প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ করা হচ্ছে। ভারতের প্রতিরক্ষা বিষয়ক ওয়েবসাইট লাইফফিস্ট এখবর দিয়েছে।
ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ভারত ডায়নামিকস লিমিটেড (বিডিএল) এসব টর্পোডো তৈরি করেছে। ক্ষেপণ ব্যবস্থাসহ টর্পেডো সংযোজনের পেছনে ছিল বহুজাতিক প্রকৌশল কোম্পানি লারসেন অ্যান্ড টারবো। টিএএল শিয়েনা ভারতে স্থানীয়ভাবে তৈরি প্রথম সাবমেরিন প্রতিরোধী হালকা টর্পেডো। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) ন্যাভাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ল্যাবরেটরিতে এটার মডেল তৈরি হয়েছে। হায়দ্রাবাদের বিশাখাপত্তনামে বিডিএলের নিজস্ব কারখানায় এসব টর্পেডো তৈরি করা হয়।
ভারত এর আগে মিয়ানমারে অ্যাকোয়াস্টিক ড্রোন, ন্যাভাল সোনারসহ অন্য সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। সীমান্তে বিদ্রোহ দমনেও দুই দেশ নিজেদের মধ্যে সহযোগিতায় সম্মত হয়েছে। এবার নতুন করে শিয়েনা টর্পেডো সরবরাহ দুই দেশের মধ্যে জোরদার সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়। তবে টর্পেডোর সংখ্যা ও মিয়ানমার নৌবাহিনীর কোনো বহরে এসব যুক্ত হবে সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। এসব টর্পেডো রফতানির জন্য ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সাথে তিন কোটি ৭৯ লাখ ডলারের চুক্তি করে ভারত।
এই প্রযুক্তির টর্পেডোগুলো ভারতের নৌবাহিনীর ২৫ ইউনিটে রয়েছে। এগুলোর ওজন ২২০ কেজি এবং দৈর্ঘ্য ২৭৫০ মিলিমিটার ও ব্যাস ৩২৪ মিলিমিটার। এগুলোতে উচ্চমাত্রার ৫০ কেজি পরিমাণ বিস্ফোরক ভর্তি থাকে এবং এগুলোর কার্যকরী দূরত্ব সাত কিলোমিটার ও সর্বোচ্চ গভীরতা ৫৪০ মিটার পর্যন্ত।
এর আগে এপ্রিলে মিয়ানমারের কমান্ডার-ইন-চিফ জেনারেল মিন অং হ্লেইং সাবমেরিন নির্মাণ পরিদর্শনে রাশিয়া সফর করেন। ওই সময় তিনি রাশিয়ার সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ফাইটার জেটও দেখেন। ২০১৮ সালে রাশিয়া ও মিয়ানমারের মধ্যে ২০ কোটি ৫০ লাখ ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
জেনারেল মিনের সফরের কয়েক সপ্তাহ পর মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, জেনারেল মিন দেশটির জলসীমার নিরাপত্তা রক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তির সাবমেরিন কেনার ব্যাপারে আলোচনা করতে রাশিয়া গিয়েছিলেন। তবে মে মাসে সিঙ্গাপুরে চঙ্গি নৌঘাঁটিতে ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক সমুদ্রতীরবর্তী নিরাপত্তা সম্মেলনে সাবমেরিনবিরোধী মহড়ার সময় মিয়ানমারকে অজানা টর্পেডোসহ এফ-১৪ ও এফ-১২ ফ্রিগেট প্রদর্শন করতে দেখা গেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা