২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

হোদায়দা থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে জাহাজে বৈঠক

-

ইয়েমেনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগর হোদায়দা থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে পাঁচ মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো বৈঠকে জাতিসঙ্ঘের এক জাহাজে মিলিত হন সরকারের প্রতিনিধি ও বিদ্রোহী বাহিনী হাউছিরা।
ডিসেম্বরে সুইডেনে সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হোদায়দায় মোতায়েন সেনা প্রত্যাহার। ওই চুক্তিতে সরকার ও হাউছি উভয়পক্ষকে সেনাদের সমুদ্র বন্দর ও শহর থেকে দূরে সরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেনÑ জাতিসঙ্ঘের এমন একজন কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘প্রত্যাহার সমন্বয় কমিটির যৌথ বৈঠকটি দুপুরের আগেই শুরু হয়ে সোমবার পর্যন্ত চলেছিল। ইতঃপূর্বের সর্বশেষ বৈঠক গত ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়।
জাতিসঙ্ঘের কমিটির প্রধান সমুদ্রের ওপর ভাসমান জাতিসঙ্ঘের একটি জাহাজের উপরে বৈঠকের ব্যাপারটি নিশ্চিত করে বলেন, এটি হোদায়দায় পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বাধা দূরীকরণে মূল পদক্ষেপ হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিনহুয়াকে একটি সূত্র জানায়, উভয়পক্ষ একে অপরের সীমান্ত অতিক্রম করতে অনিচ্ছুক হওয়ায় আঞ্চলিক বৈঠকের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছিল। তাই সরকারি বাহিনী ও হাউছি বিদ্রোহীদের মধ্যে জাহাজে বৈঠকের আহ্বান করা হয়।
জাতিসঙ্ঘের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘রোববার রাতে হোদায়দার যৌথ বৈঠক জাহাজে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে সোমবার পর্যন্ত চলে। মেজর জেনারেল সগির আজিজের নেতৃত্বে সরকারি প্রতিনিধিদল রোববার সকালে জাহাজে পৌঁছানোর কথা জানিয়েছেন ইয়েমেনের সরকারি কর্মকর্তা।
সুইডেন চুক্তির আলোকে গঠিত জাতিসঙ্ঘের নেতৃত্বাধীন কমিটির ড্যানিশ জেনারেল মাইকেল ললেশগার্ড, ইয়েমেনের সরকার এবং হাউছি বিদ্রোহীদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার দুই সপ্তাহ পরে ১৮ ডিসেম্বর সেনাদেরকে ফিরিয়ে নেয়ার কথা ছিল, তবে সেই নির্দিষ্ট সময়সীমা অনুযায়ী সেনা প্রত্যাহার করা হয়নি।
মে মাসে জাতিসঙ্ঘ ঘোষণা করেছিল যে বিদ্রোহীরা হোদায়দা ও নিকটবর্তী অন্য দু’টি বন্দর থেকে সেনাদের প্রত্যাহার করেছিল, এটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর নেয়া প্রথম বাস্তব পদক্ষেপ। তবুও সরকার দাবি করছে যে বিদ্রোহীরা সামরিক অভিযান চালাচ্ছে এবং বলছে যে এরা কেবল তাদের সহযোগীদের হাতেই ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে। এই ধরনের টানাপড়েন চললেও জুনে ললেশগাড নিশ্চিত করেন যে এক মাস আগে তাদের প্রত্যাহারের পর তিনটি বন্দরে কোনো হাউছিদের সামরিক উপস্থিতি ছিল না।
জাতিসঙ্ঘ আশা করছে যে, হোদায়দা থেকে সেনা প্রত্যাহার হলে ইয়েমেনের লাখ লাখ মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও চিকিৎসাসহায়তা পৌঁছানোর সুযোগ হবে। লোহিত সাগরের বন্দরটি ইয়েমেনের আমদানি পণ্য ও ত্রাণসহায়তা প্রবেশের পথ। আর ইয়েমেনের সঙ্কটকে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সঙ্কট হিসেবে বর্ণনা করেছে জাতিসঙ্ঘ।


আরো সংবাদ



premium cement