আসামে এনআরসি থেকে বাদ পড়াদের জন্য আরো ১০ আটককেন্দ্র
- সাউথ এশিয়ান মনিটর
- ১২ জুলাই ২০১৯, ০০:০০
চূড়ান্ত জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) থেকে যারা বাদ পড়বে তাদের রাখতে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে আরো ১০টি আটককেন্দ্র নির্মাণের জন্য কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে আসামের রাজ্য সরকার। দ্রুত এসব কেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে আসামের ১৯৫১ সালের নাগরিক তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। আগামী ৩১ জুলাই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের কথা রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন ১০টি কেন্দ্রের প্রত্যেকটিতে ৩ হাজার জনকে রাখা যাবে। এর মানে হলো এনআরসি তালিকা থেকে কয়েক লাখ লোক বাদ পড়লেও সরকার এখন পর্যন্ত অন্তত ৬০ হাজার জনকে আটক রাখার পরিকল্পনা করেছে। ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই এনআরসির যে তালিকা প্রকাশিত হয় তাতে আসামের ৩ কোটি ২৯ লাখ আবেদনকারীর মধ্যে ৪০ লাখ ৭০ হাজারের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি। ২৬ জুন প্রকাশিত খসড়া তালিকা থেকে আরো এক লাখ ২ হাজার জনের নাম বাদ পড়ে। তবে বাদ পড়াদের পুনরায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। আসামের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব (স্বরাষ্ট্র ও রাজনৈতিক) কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণ বুধবার এই পত্রিকাকে বলেন, এনআরসি বহির্ভূত লোকজনকে রাখার জন্য নতুন ১০টি আটককেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব আমরা পাঠিয়েছি। এগুলো রাজ্যের বিভিন্নস্থানে স্থাপন করা হবে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী বড়পেটা, দিমা হাসাও, গোয়ালপাড়া, কামরুপ, করিমগঞ্জ, লাখিমপুর, নাগাঁও, নালবাড়ি, শিবসাগর ও সনিতপুর জেলায় একটি করে আটককেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। গেয়ালপাড়া জেলায় একটি পুরোদস্তুর আটককেন্দ্র প্রস্তুত হচ্ছে বলে জানিয়ে কৃষ্ণ বলেন, রাজ্যের ছয়টি কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক বিদেশীদের এখানে এনে রাখা হবে। কারাগারে অপরাধীদের সাথে যেন বিদেশীদের রাখা না হয় সে ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন। গোয়ালপাড়া জেলার ঢাকুরভিটায় এই আটককেন্দ্র স্থাপনের জন্য তিন বছর আগে রাজ্য সরকার ২০ বিঘা জমি বরাদ্দ দেয়। ৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে আসাম পুলিশ হাউজিং করপোরেশন লিমিটেড এই কেন্দ্র নির্মাণ করছে। অক্টোবরে কেন্দ্রটি উদ্বোধন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা