খাশোগি হত্যার তদন্তে জাতিসঙ্ঘের অনুরোধ ট্রাম্পের প্রত্যাখ্যান
- গার্ডিয়ান ও আলজাজিরা
- ২৬ জুন ২০১৯, ০০:০০
মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের মাধ্যমে সৌদি আরবের ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যা মামলা তদন্তে অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ। তবে এতে সাড়া দেননি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোববার মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এনবিসির মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে প্রচারিত সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন এতে করে সৌদি আরবের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি বাধাগ্রস্থ হতে পারে।
গত বছরের ২ অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুল কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার বিষয়ে গত সপ্তাহে রিপোর্ট প্রকাশ করে জাতিসঙ্ঘ। বিচারবহির্ভূত হত্যা বিষয়ক জাতিসঙ্ঘ বিশেষ দূত অ্যাগনেস ক্যালামার্ডের রিপোর্টে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত এফবিআইয়ের তদন্ত শুরু করা। যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনাকে যৌক্তিক বলে উল্লেখ করা হয় ওই রিপোর্টে। এফবিআইকে তদন্তের অনুমতি দেবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে এনবিসিকে ট্রাম্প বলেন, এই ঘটনা ভালোভাবেই তদন্ত হয়েছে। কারা করেছে জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, সবাই করেছে। আমি বলতে চেয়েছি আমি বহু ধরনের প্রতিবেদন দেখেছি।
দ্বিতীয় বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গত ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে হত্যার শিকার হন অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক খাশোগি। তিনি সৌদি সরকারের কঠোর সমালোচক ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত এই সাংবাদিক সৌদি আরবে ফেরার বিষয়ে রিয়াদের চাপ অগ্রাহ্য করে আসছিলেন। প্রথমে রিয়াদের পক্ষ থেকে খাশোগিকে হত্যার কথা অস্বীকার করা হলেও তুরস্কের সংবাদমাধ্যমগুলো সৌদি আরবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রমাণ হাজির করতে থাকে। এ ঘটনায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও ওঠে। এক পর্যায়ে খাশোগি কনস্যুলেট ভবনে হত্যার শিকার হয়েছেন বলে স্বীকার করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। তবে এ হত্যার সাথে যুবরাজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। জাতিসঙ্ঘের বিশেষ দূতের রিপোর্টেও খাশোগি হত্যার জন্য সৌদি আরবকে দায়ী করা হয়েছে। বলা হয়েছে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এই ঘটনায় জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা