জেরুসালেম নিয়ে ইসরাইলের দাবি সঠিক নয় : এরদোগান
- ডেইলি সাবাহ ও আনাদোলু এজেন্সি
- ১৬ জুন ২০১৯, ০০:০০
প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, জেরুসালেমকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা একটি মীমাংসিত বিষয় বলে ইসরাইল যে দাবি করেছে, তুরস্ক তা প্রত্যাখ্যান করে। তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে আয়োজিত কনফারেন্স অন ইন্টার্যাকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার্স ইন এশিয়ার (সিআইসিএ) পঞ্চমতম সম্মেলনে এরদোগান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, জেরুসালেমের ব্যাপারে ইতোমধ্যে নতুন করে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।
সম্মেলনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, মানবিক ও পরিবেশগত বিষয়ে নতুন চ্যালেঞ্জ ও হুমকি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। এরদোগান বলেন, ফিলিস্তিনের ব্যাপারে একটি সক্রিয় মনোভাব তুরস্কের রয়েছে। তিনি জাতিসঙ্ঘের প্রস্তাবগুলো এবং জেরুসালেমের ঐতিহাসিক ও আইনগত অবস্থানকে সম্মান জানানোর জন্য সব দেশের প্রতি আহ্বান জানান।
বহু বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে সঙ্ঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে জেরুসালেম। অথচ ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরাইলের দখল করে রাখা পূর্ব জেরুসালেমকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী বানানোর আশা করে ফিলিস্তিনিরা। এরদোগান সিরিয়ায় সঙ্ঘাতের ব্যাপারে বলেন, সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটানো ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে তুরস্ক। তুরস্কে প্রায় ৪০ লাখ সিরিয়ানের আশ্রয় নেয়ার কথাও পুনরায় উল্লেখ করেন তিনি।
এরদোগান বলেন, পিকেকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে তুরস্ক। এটি পিপলস প্রটেকশন বা ইউনিট ওয়াইপিজি ও আইএসের সিরিয়ার শাখা, যা সিরিয়ার ভবিষ্যতের জন্য হুমকি তৈরি করেছে। তিনি বলেন, একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে উৎখাত করার চেষ্টায় অন্যদের অস্ত্র সরবরাহ, যুক্তরাষ্ট্র যেমনটি করছে আইএসবিরোধী যুদ্ধে ওয়াইপিজিকে সমর্থন ও সহযোগিতা করে, পরিণতিতে আরো বেশি রক্তপাত ঘটাবে।
কাশ্মিরের বিরোধপূর্ণ অঞ্চলের দিকে ইঙ্গিত করে এরদোগান বলেন, কাশ্মিরি জনগণের প্রত্যাশার সাথে প্রাসঙ্গিক জাতিসঙ্ঘের প্রস্তাবগুলোর ভিত্তিতে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার সংলাপের মধ্য দিয়ে এই সমস্যা সমাধানে সহায়তা করছে তুরস্ক।
নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগণের দুর্দশার ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, তুরস্ক রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং তুরস্ক আশা করে যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই মানবিক সঙ্কটের সমাধান হবে। অবশেষে এরদোগান পুনর্ব্যক্ত করেন যে আফগানিস্তানে সহিংসতা বন্ধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে তুরস্ক।
কনফারেন্সের পর এরদোগান উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শ্যাভাত মিরজিয়য়েভ, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আলে-সানির সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
এর আগে শনিবার এরদোগান তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রাহমনের সাথে দুশানবেতে সাক্ষাৎ করেন। প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে প্রায় অর্ধ ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকটি চলে। বৈঠক শেষে এরদোগান ও সিআইসিএ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা ফটোসেশনে অংশ নেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা