২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ব্রেক্সিট নিয়ে কনজারভেটিভ-লেবার আলোচনা চুক্তি ছাড়াই শেষ

-

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের প্রত্যাহার বা বেক্সিট ইস্যুতে ছয় সপ্তাহব্যাপী আলোচনা শেষেও কোনো চুক্তিতে পৌঁছতে পারেনি ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ ও বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতারা। চলতি বছর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে প্রস্তাবিত একটি চুক্তি টানা তিনবার পার্লামেন্টে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর দুই পরে মধ্যে নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।
লেবার নেতা করবিন এই ব্যর্থ আলোচনার জন্য সরকারের ‘দুর্বলতা ও অস্থিতিশীলতা’কে দায়ী করেছেন। অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন, আলোচনাটি বেশ ‘চ্যালেঞ্জিং’ ছিল।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, দুই পরে আলোচনায় যে সিদ্ধান্তই আসুক না কেন, জুন মাসে ব্রেক্সিট কার্যকর ইস্যুতে ভোট হবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সে। এর মধ্যে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে তৈরি হতাশার জেরে থেরেসার পদত্যাগের দাবি জোরদার হয়েছে। তার নিজ দলের এমপিরাই তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে থেরেসা জানিয়েছেন, আগামী মাসের ভোটের পরপরই নিজের পদত্যাগের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেবেন তিনি। তবে এর আগে আগামী মাসের ভোটে নিজের প্রস্তাবিত চুক্তির পক্ষে এমপিদের সমর্থন জোগানোর শেষ চেষ্টা চালাবেন তিনি।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে চলতি বছরের ২৯শে মার্চ থেকেই ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পার্লামেন্টে টানা তিনবার প্রত্যাখ্যান হয় মে প্রস্তাবিত চুক্তি। পরে ইইউ নেতারা ব্রেক্সিট কার্যকরের সময়সীমা চলতি বছরের ৩১ শে অক্টোবর পর্যন্ত পেছায়।
এরপরই শুরু হয় টরি ও লেবারের মধ্যকার আলোচনা। এই আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল দুই পক্ষ মিলে যৌথভাবে কোনো চুক্তি তৈরি করা, যেটি পার্লামেন্টে পাস হবে। এ ক্ষেত্রে লেবার পার্টির প্রধান শর্ত ছিল, ইইউর সাথে একটি একক কাস্টমস ইউনিয়নে যোগ দেয়া ও ব্রেক্সিট ইস্যুতে ফের একটি গণভোটের আয়োজন।


আরো সংবাদ



premium cement