২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দাঙ্গার পর দ্বিতীয় রাতেও শ্রীলঙ্কাজুড়ে কারফিউ

-

মুসলিমবিরোধী দাঙ্গার পর দ্বিতীয় রাতও কারফিউতে পার করেছে শ্রীলঙ্কা। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা থেকে দেশজুড়ে কারফিউ শুরু হয়। ভোরে সব জায়গা থেকে একই সময় কারফিউ তুলে নেয়া হলেও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশে তা আরো বেশি সময় ধরে বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই প্রদেশেই দাঙ্গার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি ছিল।
সোমবার এখানে দাঙ্গার সময় হামলাকারীরা মসজিদ ও মুসলিমদের মালিকানাধীন দোকান ভাঙচুর করেছে, আগুন দিয়েছে। এ সময় এক মুসলিম ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করা হয়, হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। এসব ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে পুলিশ ডানপন্থী একটি বৌদ্ধ গোষ্ঠীর নেতাসহ ৬০ জনকে গ্রেফতার করেছে। রাজধানী কলম্বোর উত্তরের প্রদেশটির কয়েকটি শহরে দাঙ্গাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি করেছে।
দাঙ্গার প্রতিক্রিয়ায় জাতিসঙ্ঘ সবাইকে শান্ত থাকার ও ‘ঘৃণা প্রত্যাখ্যান করার’ আহ্বান জানিয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি ঠেকাতে দাঙ্গাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করতে শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষগুলোকে তাগিদ দিয়েছে জাতিসঙ্ঘের কলম্বো দফতর। সিংহলি বৌদ্ধপ্রধান শ্রীলঙ্কার দুই কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ মুসলিম। গত বছরের মার্চেও শ্রীলঙ্কার মধ্যাঞ্চলে মুসলিমপ্রধান এলাকাগুলোতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দেখা দিয়েছিল। ওই সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার জরুরি অবস্থা জারি করতে বাধ্য হয়েছিল।
শ্রীলঙ্কায় জাতিগত সঙ্ঘাতের ইতিহাস আছে। তাই কর্তৃপক্ষগুলো সাম্প্রতিক সহিংসতা সতর্কতার সাথে মোকাবেলা করছে। দেশটির সংখ্যালঘু তামিল জনগোষ্ঠীর বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ২০০৯ সালে গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত সরকারের বিরুদ্ধে কয়েক দশক ধরে রক্তাক্ত বিদ্রোহ পরিচালনা করেছিল।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল