২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`
মুলারের রিপোর্টে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প

ইম্পিচমেন্ট দাবি ডেমোক্র্যাটদের

-

২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলারের তদন্ত রিপোর্টের কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত শুক্রবার তিনি উত্তেজিতভাবে দেয়া সুদীর্ঘ বক্তৃতায় মুলারের রিপোর্টের কঠোর নিন্দা করেন এবং এটিকে বাজে কথা বলে অভিহিত করেন। তবে ডেমোক্র্যাটরা তার ইম্পিচমেন্ট দাবি করেছেন।
সকালে করা টুইটগুলোতে ট্রাম্প এটিকে ‘দিশেহারা মুলারের রিপোর্ট, যা নিন্দুকদের লেখা বানোয়াট ও পুরোপুরি অসত্য বক্তব্যে ভরা বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, রিপোর্টটির কিছু অংশ পুরোটাই আবোলতাবোল কথা এবং যাতে শুধু অন্য ব্যক্তিটিকে ভালো দেখানো হয়েছে (অথবা আমাকে খারাপ দেখানো হয়েছে)।’
দুই বছরের তদন্তের পর রবার্ট মুলারের বিশেষ রিপোর্টটি প্রকাশের মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে প্রেসিডেন্ট দম্ভভরে বলেছিলেন, ‘খেলা শেষ’। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে রিপোর্টটি বলেছে, রাশিয়ার হস্তক্ষেপের চেষ্টার সাথে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা বিভাগের কোনো আঁতাত হয়নি। এভাবে প্রেসিডেন্টকে এ সন্দেহ থেকে মুক্ত করা হয়েছে যে তিনি ক্রেমলিনের সাথে চক্রান্তে লিপ্ত ছিলেন।
কিন্তু ফ্লোরিডা গল্ফ রিসোর্টে সপ্তাহান্তের ছুটি কাটাতে থাকা ট্রাম্প রিপোর্টের এই উদঘাটন হজম করে ফেলছেন যে, তিনি রাশিয়ার নোংরা কৌশলগুলো থেকে উপকৃত হতে পেরে খুশি এবং তিনি মুলারের তদন্তে তিনি বারবার বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বিরোধীদলীয় কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটরা এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্টকে ছাড় দিতে চাইছেন না।
২০২০ সালে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে ইচ্ছুক সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন টুইট করেছেন যে ডেমোক্র্যাটপ্রধান প্রতিনিধি পরিষদের উচিত ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করা।
হাউজ জুডিসিয়ারি কমিটির চেয়ারম্যান জেরি নাডলার মুলারের কাছ থেকে সম্পূর্ণ রিপোর্ট প্রকাশে চাপ দিতে এবং আইনি বা নিরাপত্তার কারণের কথা বলে তদন্তের অংশবিশেষ প্রকাশ না করে গোপন রাখার চেষ্টার বিরুদ্ধে একটি সমন জারি করেন।
যদিও মুলার বলেছেন, তিনি ট্রাম্পকে আক্রমণ না করে বিচার বিভাগের নীতি অনুসরণ করছেন। তদন্ত প্রক্রিয়ায় দফায় দফায় ট্রাম্প বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছেন এমন ১০টির মতো সুনির্দিষ্ট উদাহরণ তিনি পেশ করেছেন। মুলার বলেছেন, তিনি তাকে ‘দায় মুক্তি’ দিতে পারেন না।
তবে ৪৪৮ পৃষ্ঠার তদন্ত রিপোর্ট প্রেসিডেন্টের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। তদন্তে বাধা দিয়ে ট্রাম্প অপরাধ করেছেন। এফবিআই প্রধান জেমস কোমি ও প্রাক্তন প্রধান আইন কর্মকর্তা জেফ সেশন্সের পদত্যাগের ঘটনাও এসেছে। ২০২০ সালের নির্বাচনের আগে আমেরিকার রাজনৈতিক দৃশ্যের উপর মুলারের রিপোর্টের কোনো প্রভাব থাকার ব্যাপারটি অনিশ্চিত।


আরো সংবাদ



premium cement