২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচনে বড় নিয়ামক ইসলাম

-

ইন্দোনেশিয়ার এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হয়ে উঠেছিল ইসলাম ধর্ম। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোটারদের বড় অংশ তরুণেরাই এখন ঐতিহ্যবাহী ইসলামের সমর্থক। ফলে সেক্যুলারপন্থীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম অধ্যুষিত দেশ ইন্দোনেশিয়া ১৯৯৮ সালে গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরুর পর এখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে। ইন্দোনেশিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলে এখন শরিয়াহ আইনের বাস্তবায়ন হচ্ছে। নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হতে প্রায় সব দলের প্রার্থীই ইসলামের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ততা প্রমাণের চেষ্টা চালান নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময়। আবার কোনো প্রার্থীর ইসলামী শিক্ষার ঘাটতির বিষয়টিকেও অনেক সময় বিপক্ষ দল নিজেদের অনুকূলে নিয়ে আসতে চায়। এমন ঘটনা ঘটেছে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের ক্ষেত্রেও।
দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর বিপক্ষে আছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রবো সুবিয়ান্তো। তিনি উইদোদোকে যথেষ্ট ‘ইসলাম ভাবাপন্ন নন’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি যথাযথ উচ্চারণে আরবি পড়তে পারেন না বলেও প্রচার চালানো হয়েছে সুবিয়ান্তোর নির্বাচনী শিবির থেকে। তবে উইদোদোর সমর্থকেরা তিনি যে ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছেন, সে বিষয়কে সামনে নিয়ে এসে তা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেছেন।
সেখানকার রাজনীতিতে এখন আর ইসলামের ভূমিকাকে ছোট করে দেখা উচিত হবে না বলে মনে করেন জার্মান গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ইসলামের পরিচালক সুজানে শ্রোটার। তিনি বলেন, কেউ কোনো ইস্যুতে ইসলামবিরোধী অবস্থান নিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় সুবিধা করতে পারছে না। এমনকি কুরআন নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের কারণে জাকার্তার সাবেক গভর্নরকেই ২১ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
সুজানে শ্রোটারের মতে, ১৯৯৮ সালে গণতন্ত্রের সংস্কারের মধ্য দিয়ে ইসলামপন্থীরা জনমনে একটি জায়গা করে নেয় এবং পরে সংগঠিত হওয়ারও সুযোগ পায়। এরপরে ইন্দোনেশিয়ার শিক্ষাব্যবস্থায় সৌদি আরবের প্রভাবও তৈরি হয়।
ইন্দোনেশিয়া বিশেষজ্ঞ ব্যার্থল্ড ডামহয়জার বলেন, অনেক তরুণ ইন্দোনেশিয়ান এখন শরিয়াহ আইন বাস্তবায়নকে সমর্থন দিচ্ছেন। এক জরিপ অনুযায়ী, ২০১৭ সালের নির্বাচনে দেশটির ভোটারদের ৮০ ভাগই ছিল ১৭ থেকে ৩৪ বছর বয়সী।

 


আরো সংবাদ



premium cement