২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আফ্রিকার তিন দেশে ঘূর্ণিঝড়-বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে সাত শতাধিক

-

আফ্রিকার তিন দেশ মোজাম্বিক, জিম্বাবুয়ে ও মালাবিতে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু মোজাম্বিকেই মৃতের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। তুলনামূলক কম প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে মালাবিতে। বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসে শুধু মোজাম্বিকেই ৪১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। জিম্বাবুয়েতে প্রাণহানির শিকার হয়েছেন ২৫৯ জন। আর মালাবিতে ভারী বর্ষণ ও ঝড়ে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ১৪ মার্চ ১৭০ কিলোমিটার বেগে মোজাম্বিকের ওপর আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় আইডা। এরপর জিম্বাবুয়ে ও মালাবিতে আঘাত করে ঝড়টি। এই ঘূর্ণিঝড়ে মোজাম্বিকের বেইরা শহরের ৯০ শতাংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘূর্ণিঝড়ের সাথে হওয়া বন্যায় ভবন ও বাঁধ ধসের মতো ঘটনা ঘটেছে। বেইরা এলাকা কার্যত পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সমুদ্রে সমতল থেকে অবস্থান নিচে হওয়ায় এলাকাটি এমনিতেই প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ।
রেড ক্রসের তথ্য অনুযায়ী, বেইরা ও আশপাশের এলাকার ৯০ শতাংশ ‘পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে’। প্লাবিত হয়েছে পুরো এলাকা। ঘূর্ণিঝড় আইডার পর সেখানকার বাড়ির ছাদ ও গাছের ওপরে আটকে পড়া শত শত মানুষকে উদ্ধারের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে উদ্ধার কাজ চালাতে হচ্ছে তাদের। ২০ মার্চ মোজাম্বিকের উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, বন্যার কারণে গাছের ওপর আটকে পড়া নারীরা তাদের শিশু সন্তানদের বাঁচাতে উদ্ধারকারী নৌকার দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছেন। প্রায় মাথা সমান পানি থেকেও মানুষজনকে টেনে তোলা হচ্ছে। তবে বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারতৎপরতা।
মোজাম্বিকের ভূমি ও পরিবেশমন্ত্রী সেলসো কোরেইয়া জানিয়েছেন, সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আইডার কারণে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১৭ জনে। লিখেছে, এখন পর্যন্ত জিম্বাবুয়েতে মৃতের সংখ্যা ২৫৯ জন হওয়ার কথা জানা গেছে। আর মালাবিতে প্রাণহানি তুলনামূলকভাবে কম; ৫৬ জন। বন্যার পানি না কমা পর্যন্ত বেইরা শহরে আইডার কারণে ঠিক কী মাত্রার ক্ষতি হয়েছে তা পুরোপুরিভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হবে না।

 


আরো সংবাদ



premium cement