২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খুলে দেয়া হলো ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদ

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের আল নূর মসজিদ। গত ১৫ মার্চ জুমার নামাজের সময় এই মসজিদে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী এক অস্ট্রেলীয় সন্ত্রাসীর বর্বর হামলায় ৪৩ জন মুসল্লি নিহত হন। সেখানকার আরেকটি মসজিদে একই সন্ত্রাসীর গুলিতে আরো সাতজন নিহত হন। গতকাল শনিবার আল নূর মসজিদটি আবার নামাজের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে : এএফপি -

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের হামলা হওয়া দুটি মসজিদের একটি, আল নূর মসজিদ স্থানীয় মুসলিম নেতা ও মুসল্লিদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। শনিবার সকালে সরকারি প্রতিনিধিরা তাদের কর্ডন করে মসজিদে প্রবেশ করান। মূল দরজায় যাওয়ার আগে কর্মকর্তারা তাদের ব্রিফিং করেন। যখন মসজিদের দরজা মুসল্লিদের জন্য খুলে দেয়া হয় তখন ১৫ জন উপস্থিত ছিলেন। বেলা ১টার দিকে ইমরান শেখ মসজিদে প্রবেশ করেন। এক সপ্তাহ আগে অকল্যান্ড থেকে এসেছেন তিনি। তার এক আত্মীয় ৬২ বছরের আশরাফ আলী নিহত ৫০ জনের মধ্যে ছিলেন। আশরাফ গত ২০ বছর ধরে ক্রাইস্টচার্চে বসবাস করে আসছেন।
ইমরান দরজা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করেন এবং দেখতে পান দেয়ালে নতুন সাদা রঙ। দেয়ালে মুসল্লিদের নীরবতা পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। একেবারে শান্ত পরিবেশ। ভয়াবহ হামলার চিহ্ন বহনকারী কার্পেট সরিয়ে নেয়া হয়েছে। একেবারে নতুন কার্পেট বসানো হয়েছে। ইমরান নামাজ আদায় করেন। বলেন, এখানে যা ঘটেছে তা আমি এখন অনুভব করতে পারছি।
নামাজ শেষে ইমরান আরো বলেন, এটা ছিল দারুণ। আমি এখন ভারমুক্ত। মসজিদের বাইরে যখন কর্ডন প্রত্যাহার করা হয় তখন হামলায় বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তি ছিলেন হাতে ফুল ও বার্তা নিয়ে। হুজেফ ভোহরা নামের ওই ব্যক্তি মুসল্লিদের লাশের নিচে চাপা পড়ায় বেঁচে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমিও মারা যেতে পারতাম। আমার সামনের ব্যক্তির গায়ে লাগা গুলি আমি অনুভব করতে পারছিলাম। আমার মাথা, বুক ও পায়ে গুলি লাগতে পারত।
শনিবার নিহত বন্ধুদের গাড়ি নিতে মসজিদে এসেছিলেন ভোহরা। তারা ঘনিষ্ঠ পাঁচজন ছিলেন। আমি বন্ধু মহল হারিয়ে ফেলেছি। আমার বন্ধুদের ৮০% আর নেই। শনিবার মসজিদের বিপরীত পাশে অবস্থিত পার্কে লোকজন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো অব্যাহত রেখেছেন। স্থানীয় জুনিয়র ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠতে দেখা গেছে, যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসার ইঙ্গিত দেয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement