১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইরাকে ফেরি ডুবে মৃতের সংখ্যা ৯০ ছাড়িয়েছে

-

ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মসুলে দজলা নদীতে ফেরি ডুবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৯ জন শিশু ও ৬১ জন নারী।
কুর্দি পঞ্জিকা অনুসারে নওরোজ (নববর্ষ) উদযাপনের মধ্যে বৃহস্পতিবার মসুল থেকে যাত্রী নিয়ে মোটামুটি চার কিলোমিটার উজানে পর্যটন দ্বীপ উম রাবায়েনে রওনা হয়েছিল ওই ফেরি। যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেড়াতে বেরিয়েছিলেন।
দুর্ঘটনার পর নদী থেকে ৫৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করার কথা জানিয়ে সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা বলেছেন, ফেরির আরোহীদের মধ্যে অধিকাংশই সাঁতার জানতেন না। মসুলের সিভিল ডিফেন্স অথরিটির প্রধান হুসাম খলিল বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ওই ফেরিতে ধারণ ক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি যাত্রী তোলা হয়েছিল। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফেরিটির যাত্রী ধারণক্ষমতা ৫০ জন হলেও ঘটনার সময় তাতে অন্তত ২০০ মানুষ ছিল। ওই ফেরির পাঁচ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বেঁচে যাওয়া একজন যাত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, অনেক বেশি লোক তোলায় যাত্রা শুরুর পরপরই ফেরিতে পানি উঠতে শুরু করে। একপর্যায়ে সেটি কাত হয়ে ডুবে যায়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মসুলের সরকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, তিনি নদীর কাছাকাছি দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ তিনি ফেরিটি ডান দিকে কাত হয়ে যেতে দেখেন এবং এর পরপরই সেটি ডুবতে শুরু করে।
‘ফেরির যাত্রীরা তখন চিৎকার করছিলেন। নারী ও শিশুরা সাহায্যের জন্য হাত নাড়ছিলেন। কিন্তু তাদের উদ্ধার করার জন্য কেউ ছিল না। আমি সাঁতার জানি না। আমিও কিছু করতে পারিনি। সে জন্য নিজেকে দোষী মনে হচ্ছে। চোখের সামনে লোকগুলো ডুবছিল।’ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আসা মোবাইলে ধারণ করা ভিডিওতেও দেখা যায়, উল্টো হয়ে ফেরিটি ডুবছে এবং খরস্রোতা দজলা নদীতে মানুষ ভেসে যাচ্ছে।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি এ দুর্ঘটনার কারণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এক টুইটে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের দখল এবং তাদের হটাতে সেনা অভিযানে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মসুল। এখনো সেখানে পরিকল্পিত পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়নি বলে রয়টার্সের তথ্য।


আরো সংবাদ



premium cement