২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিরিয়ায় সরাসরি যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে ইরান ও ইসরাইল!

-

২০১১ সালে সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ইরানকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল ইসরাইল। প্রথম পর্যায়ে হিজবুল্লাহর মতো লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র শিয়া গোষ্ঠীর মাধ্যমে এবং পরে নিজেদের সেনা নামিয়ে সিরিয়ায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে পারে তেহরানÑ এমন শঙ্কায় ছিল তেলআবিব। ফলে ইসরাইল মাঝে মধ্যেই গোলান হাইট ও দামেস্কের কাছে ইরান ও সিরিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালিয়ে আসছিল। এ সপ্তাহে আবারো ইসরাইলের পক্ষ থেকে তেমন হামলা চালাতে দেখা গেছে। তবে আগের ধারা ভেঙে এবার ইসরাইল নিশ্চিত করেছে, তারা সিরিয়ায় সুনির্দিষ্ট কিছু স্থানে হামলা চালিয়ে তা ধ্বংস করে দিয়েছে। সাম্প্রতিক এসব পদক্ষেপে ধারণা করা হচ্ছে, ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে সঙ্ঘাত নতুন উচ্চতা ও মাত্রা পেতে যাচ্ছে।
গত সোমবার রাতে সিরিয়ায় ইসরাইল যেসব হামলা চালিয়েছে, তার উদ্দেশ্য তেলআবিব সেখানে ইরানের শক্তিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং তেহরানের সহায়ক শক্তিগুলোতে অধিকৃত গোলান হাইট থেকে দূরে রাখতে চায়। এ হামলায় সিরিয়ার পক্ষে কতজন নিহত হয়েছে তার আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে লন্ডনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, এ হামলায় অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে।
রাশিয়া দীর্ঘ দিন ধরেই বিশেষ করে গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাদের একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর থেকে সিরিয়ায় ইসরাইলের এ ধরনের হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। তারা জানায়, সিরিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সিরিয়ার ৩০টি ইসরাইলি ক্রুজ মিসাইল এবং গাইডেড বোমা ধ্বংস করেছে। ইরানের বিমানবাহিনীর প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদে বলেন, তার দেশ সম্মুখ সমরে ইসরাইলকে বিশ্ব মানচিত্র থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে জানান, অভিযানের অধিকাংশই পরিচালিত হয়েছে ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে। তবে সিরিয়ার কিছু লক্ষ্যবস্তুতেও হামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, যারাই আমাদের ক্ষতি করতে চায় আমরা তাদের ওপর হামলা করব। দু’পক্ষের এ উত্তেজনার মধ্যেই ইসরাইল পরীক্ষামূলক তাদের অ্যারো-৩ মিসাইল প্রতিরক্ষা সিস্টেমের পরীক্ষাও চালায়। এর আগে সিরিয়ায় হামলার ক্ষেত্রে কোনো ঘোষণা না দেয়ার যে নীতি তেলআবিব অনুসরণ করত, তা থেকে সরে এসেছে বলেই মনে হয়। সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রতাহ্যারের সিদ্ধান্ত আসার পরই তেলআবিব নতুন এ অবস্থান গ্রহণ করেছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতাসীন হওয়ার পর সিরিয়ার ব্যাপারে তেলআবিব-ওয়াশিংটন যেভাবে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছিল, তাতে ট্রাম্পের কাছ থেকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত তাদের প্রত্যাশিত ছিল না।


আরো সংবাদ



premium cement
পিরোজপুরে বাসের ধাক্কায় নদীতে ৪ মোটরসাইকেল ফরিদপুরে নিহতদের বাড়ি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী টিকটকে ভিডিও দেখে পুরস্কার, প্রভাব ফেলছে মানসিক স্বাস্থ্যে পাট শিল্পের উন্নয়নে জুট কাউন্সিল গঠন করা হবে: পাটমন্ত্রী মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেও নেতাকর্মীরা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে : সালাম নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে কাজ করছে সরকার : পরিবেশ সচিব সৌরশক্তি খাতে আবার মাথা তুলে দাঁড়াতে চায় জার্মানি ‘সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই বিচার প্রক্রিয়ার ধীর গতি’ মোদি কি হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণের চেনা রাজনীতিতে ফিরছেন? টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ ফুলগাজীতে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

সকল