২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফিলিপাইনের মিন্দানাওয়ে স্বায়ত্তশাসন প্রশ্নে গণভোট

দক্ষিণ ফিলিপাইনের মিন্দানাও দ্বীপের কোটাবাতোতে ভোটদানের জন্য ভোটারদের লাইন : এএফপি -

ফিলিপাইনের মুসলিম অধুষ্যিত মিন্দানাও অঞ্চলে স্বায়ত্তশাসন প্রশ্নে গতকাল গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। নতুন আইনের আলোকে অনুষ্ঠিত এ গণভোটে অংশ নিয়েছেন অন্তত ৩০ লাখ মানুষ। হ্যাঁ ভোট জয়ী হলে এ অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। নিজস্ব পার্লামেন্ট ও বাজেট প্রণয়নের ক্ষমতাও পাবে আঞ্চলিক সরকার।
পাঁচ বছর আগে মিন্দানাওয়ে মরো ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্ট-এমআইএলএফের সাথে শান্তিচুক্তি করে তৎকালীন ফিলিপাইনের সরকার। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় সশস্ত্র গোষ্ঠী মনে করা হয় এমআইএলএফকে। স্বাধীনতার দাবিতে মিন্দানাওয়ে চার দশক ধরে তারা লড়াই চালিয়ে যায়। এতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত দেড় লাখ মানুষ। শান্তি চুক্তির আলোকে ২০১৮ সালে ‘বাংসামোরো অর্গানিক ল’ নামে একটি বিল পাস হয় ফিলিপাইনের পার্লামেন্টে। এ বিলের পক্ষে-বিপক্ষেই এ গণভোট।
মিন্দানাওয়ে স্বায়ত্তশাসনে সমর্থন রয়েছে খ্রিষ্টানদেরও। হ্যাঁ ভোট জয়ী হলে নিজস্ব পার্লামেন্ট পাবে মরো জনগণ। থাকবে বাজেট প্রণয়নের ক্ষমতা এবং নিজস্ব পুলিশ বাহিনীও। একজন ভোটার বলেন, আমাদের বিশ্বাস এ গণভোট জনজীবনে শান্তি বয়ে আনবে। দশকের পর দশক যে সঙ্ঘাতময় অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হয়েছি তার সমাধান এ ভোট। সেজন্যই ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়েছি। মিন্দানাওয়ের শিক্ষক গেহারিয়ারিয়াহ দারোনিবাং জানান, যেহেতু আমাদের ধর্ম শান্তির কথা বলে আশা করছি এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরবে এবং মারাবির নিজ পিতৃভিটায় ফিরতে পারব।
দক্ষিণ কোরিয়ার সমান আয়তন বিশিষ্ট মিন্দানাও ফিলিপাইনের সবচেয়ে অনুন্নত এলাকা। যদিও এখানে রয়েছে নিকেলের খনি। শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোটে অংশ নিতে স্থানীয় জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট দুতার্তে ও এমআইএলএফ। মরো ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্ট নেতা মোহাকার ইকবাল বলেন, আমাদের প্রধান কাজই হলো মানুষের চাওয়া-পাওয়ার সমন্বয় বজায় রাখা, আমরা যা অর্জন করেছি তা আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে হস্তান্তর করতে পারব।
২০১৪ সালের চুক্তি অনুযায়ী, বাংসোমারো সরকার সংগৃহীত করের ৭৫ শতাংশ নেবে, ধাতব খনিজ পদার্থ থেকে আয়ের ৭৫ শতাংশ পাবে এবং মৎস্য অঞ্চলের কিছু এলাকা নিয়ন্ত্রণ করবে।
মরো বিদ্রোহীদের চেয়ারম্যান আলহাজ ইবরাহিম মুরাদ বারবার বলে আসছেন, আইএসের সাথে সম্পর্কযুক্ত প্রায় আধা ডজন সংগঠনকে নিষ্ক্রিয় করার সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা হবে একটি অর্থবহ মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। গত জুলাইয়ে প্রেসিডেন্ট দুতার্তে যখন বাংসামারো নামে নতুন একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গড়ার আইনে সই করেন, তখন আলহাজ ইবরাহিম বলেন, আমরা মোটামুটি নিশ্চিত করে বলতে পারি, এসব বিচ্ছিন্ন সংগঠন তৈরি হয়েছে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে হতাশার ফলে।
চুক্তি অনুযায়ী বিদ্রোহীরা স্বায়ত্তশাসনের বিনিময়ে স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবি ত্যাগ করে। অবশ্য তারা আগে আরো ক্ষমতাসহ ফেডারেল ইউনিট চেয়েছিল। তাদের ৩০ থেকে ৪০ হাজার যোদ্ধাকে নিরস্ত্র করা হবে। যোদ্ধাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার ব্যয়ের জন্য একটি ট্রাস্টফান্ডে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন মুরাদ।


আরো সংবাদ



premium cement
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দূত হলেন উসাইন বোল্ট ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৩৭ বাংলাদেশে নতুন করে বাড়ছে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা হিট অ্যালার্ট নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা ভান্ডারিয়ায় পিকআপ চাপায় বৃদ্ধ নিহত হোচট খেল লিভারপুল, পিছিয়ে গেল শিরোপা দৌড়ে যোদ্ধাদের দেখতে প্রকাশ্যে এলেন হামাস নেতা সিনওয়ার! ফের পন্থ ঝড়, ঘরের মাঠে গুজরাটকে হারাল দিল্লি ইউক্রেনকে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র গ্রেফতারের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ আরো বেড়েছে ইউক্রেন যুদ্ধে দুর্নীতি, পুতিনের নির্দেশে গ্রেফতার রুশ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী! 

সকল