১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সব মুসলমান চলে না যাওয়া পর্যন্ত ইসরাইলের শান্তি নেই : নেতানিয়াহু পুত্র

-

ইসরাইলের শান্তির জন্য দেশটিতে বসবাসকারী অবশিষ্ট মুসলমানদের ইহুদি দেশটি ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বড় ছেলে ইয়ার ফেসবুকে এ কথা বলেছে। ‘সব ইহুদি বা সব মুসলিম ইসরাইল ভূখণ্ড ত্যাগ না করা পর্যন্ত এখানে শান্তি আসবে না। তবে আমি দ্বিতীয় অপশনটি বেছে নেবো।’ বৃহস্পতিবার একটি ফেসবুক পোস্টে এসব কথা লিখেছে ইয়ার।
তার বক্তব্যের সমালোচনায় নেতানিয়াহু এর দ্বিগুণ বর্ণবাদী আক্রমণ চালিয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘বসতি স্থাপনকারীদের অপসারণ এবং ইহুদিমুক্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে যারা বছরের পর বছর আহ্বান জানিয়ে আসছে, এমন লোকেরা কেন এ পোস্টে মর্মাহত হয়েছেন?’ ফেসবুক নেতানিয়াহুর ছেলের মুসলিমবিরোধী এ পোস্টটি মুছে দিয়েছে, তবে নেতানিয়াহু রোববার মূল পোস্টের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে এই সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মকে ‘পুলিশি চিন্তা’ হিসেবে সমালোচনা করেন।
তার পর কমিউনিটি নির্দেশিকা লঙ্ঘনের কারণে ২৪ ঘণ্টার জন্য নেতানিয়াহুর ফেসবুক আইডিকে ব্লক করেছিল ফেসবুক। ইয়ার এর আগে কেলেঙ্কারি করেছিল মে মাসে। যখন তিনি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ছবি দেখিয়েছিলেন যে ছবিটিতে তুরস্কের পতাকার ওপরে লেখাছিল ‘এফ ... তুরস্ক’; অর্ধচন্দ্র ও তারকা দিয়ে তৈরি শব্দটিতে এফ-এর মধ্যে ‘সি’ ব্যবহার করেছিল। জানুয়ারিতে ইসরাইলের মিডিয়া রেকর্ডিংগুলো প্রকাশ করেছিল, যাতে দেখা যায় ইয়ার তার ধনাঢ্য বন্ধুদের সাথে আনন্দে মেতে থেকে তেল আবিবের স্ট্রিপ ক্লাবে বলেছিলেন, কিভাবে তার বাবা অবৈধ সুবিধার বিনিময়ে বিতর্কিত গ্যাস বিল পাস করিয়েছিলেন।
নেতানিয়াহু পরিবারে ইয়ারই কেবল এমন কেলেঙ্কারিতে যুক্ত নয়। তার বাবা ও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন ও তার মা সারাকে ঘুষের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। ইসরাইলি পুলিশ বলেছে, নেতানিয়াহু ও সারার ঘুষ গ্রহণ, প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতায় দোষী সাব্যস্ত করার যথেষ্ট প্রমাণ ছিল। দেশটির টেলিকম সেক্টরের শক্তিশালীদের সাথে তারা এসব দুর্নীতিতে জড়িত বলে মনে করে পুলিশ।

 


আরো সংবাদ



premium cement