২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খাশোগি হত্যাকাণ্ডের উত্তেজনার মধ্যে রিয়াদে জিসিসির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

-

কাতার ও খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে গতকাল রোববার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত হয়েছে গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) বা উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের বার্ষিক সম্মেলন। তবে এতে অংশ নেননি কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আলেসানি। তার পরিবর্তে কাতারের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছিল পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল-মুরাইখিকে।
কাতারের আমিরের জিসিসি সম্মেলনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে বাহরাইন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন মোবারক আল-খলিফা রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, কাতার এমন সিদ্ধান্ত নেয়ায় আরব রাষ্ট্রগুলোর দেয়া অবরোধ বাতিলের সম্ভাবনা নেই। টুইটারে তিনি লিখেছেন, কাতারের আমিরের উচিত ছিল আমাদের দাবিগুলো (যার জন্য কাতারকে আরব রাষ্ট্রগুলো বয়কট করেছে) মেনে নেয়া এবং জিসিসি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করা।
কাতারের ওপর অবরোধ ও সৌদি আরবের সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই ছয় সদস্য রাষ্ট্রের নেতারা একদিনের বার্ষিক সম্মেলনে বসেন রিয়াদে। আগেই জানানো হয়েছিল, এ দিন আলোচনায় জোর দেয়া হবে নিরাপত্তা ইস্যু, ইরানের আঞ্চলিক কর্মকাণ্ড, তেল রাজনীতি এবং কিছু সদস্যের কাতারকে বর্জনের বিষয়। তারা হলো সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও জিসিসিভুক্ত সদস্য নয় এমন দেশ মিসর। এ দেশগুলো ২০১৭ সালের জুনে কাতারের সাথে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। তাদের অভিযোগ, সন্ত্রাসে সমর্থন দিচ্ছে কাতার।
তবে এমন অভিযোগ জোর দিয়ে অস্বীকার করেছে দেশটি। গত সপ্তাহে দেশটি জোরালভাবে ঘোষণা দিয়েছে, তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিচ্ছে তারা। কাতার বলেছে, তাদের বিরুদ্ধে যে অবরোধ দেয়া হয়েছে এর উদ্দেশ্য হলো কাতারের সার্বভৌমত্বকে খর্ব করা। তা সত্ত্বেও রোববারের সম্মেলনে কাতারের আমিরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সৌদি আরবের বাদশা সালমান।
জিসিসির গত বছরের সম্মেলন বসেছিল কুয়েতে। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন কাতারের আমির। অন্য দিকে, ওই সম্মেলনে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন পাঠিয়েছিল জুনিয়রপর্যায়ের কর্মকর্তাদের। ১৯৮০ সালে বৃহৎ প্রতিবেশী ইরান ও ইরাকের বিরুদ্ধে গঠিত হয় জিসিসি। এ গ্রুপের সদস্য হলোÑ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ওমান, কাতার ও কুয়েত। কিন্তু তেলের নিয়ন্ত্রণ বা কার কতভাগ তেল থাকবে তা নিয়ে রিয়াদের সাথে এ দেশগুলোর একরকম টানাপড়েন আছে।


আরো সংবাদ



premium cement