২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ব্রেক্সিট ইস্যুতে অনাস্থার মুখে থেরেসা মে

-

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আগামী সপ্তাহে অনাস্থা প্রস্তাবের মুখে পড়তে যাচ্ছেন। মে’র রক্ষণশীল দলের ৪৮জন এমপি গতকাল শুক্রবার অনাস্থা প্রকাশ করে ভোটের দাবি করে চিঠি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দ্য টেলিগ্রাফের একজন শীর্ষ সাংবাদিক। টেলিগ্রাফের রাজনৈতিকবিষয়ক প্রধান রিপোর্টার ক্রিস্টোফার হোপ এক টুইটারে বলেন, আগামী মঙ্গলবার এ অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে। অনাস্থা ভোট হারলে থেরেসা মে’কে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারাতে হতে পারে।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে টানা দেড় বছর দেনদরবারের পর গত বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে খসড়া চুক্তিতে একমত হন মে। ওই দিনই ব্রেক্সিটের খসড়া চুক্তিতে মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সব উল্টে যায়। সমর্থনের বদলে ব্রিটেনের স্বার্থবিরোধী চুক্তি করার অভিযোগ আনেন এমপি-মন্ত্রীরা। চুক্তির নানা ত্রুটি দেখিয়ে বৃহস্পতিবার সকালেই একে একে পদত্যাগ করেন ব্রিটেনের ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডোমিনিক র্যাব, কর্মসংস্থান ও ভাতাবিষয়ক মন্ত্রী এসথার ম্যাকভি, উত্তর আয়ারল্যান্ড বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শৈলেশ ভেরা, ব্রেক্সিট বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শিলা ব্রেভারম্যান। পদত্যাগের কারণ হিসেবে ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডোমিনিক র্যাব বলেছেন, চুক্তিতে ইইউর ‘ব্ল্যাকমেইলে’র শিকার হচ্ছে ব্রিটেন। তিনি বলেন, এ চুক্তি যুক্তরাজ্যের ভবিষ্যৎ কী হবে সে ব্যাপারে ব্রাসেলসকে ‘ভেটো’ ক্ষমতা দিচ্ছে। তাই এ চুক্তিকে সমর্থন করতে পারেন না তিনি। এ দিকে এক সাথে এত মন্ত্রীর পদত্যাগে মে’র মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসে।
শেষ দেখে ছাড়বেন মে
তবে থেরেসা মে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, তিনি এর শেষ দেখে ছাড়বেন। ব্রেক্সিট ইস্যুতে মে’র নেতৃত্বে অনাস্থা প্রকাশ করে ভোটের দাবি জানিয়ে এমপিরা চিঠি দেয়া শুরু করলে মে বলেন, ‘আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব’। ব্রেক্সিট চুক্তিকে ‘দেশের জন্য সবচেয়ে ভালো এবং সঠিক বলেও দাবি করেন মে। কয়েক মাস ধরে আলোচনার পর যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কর্মকর্তারা সম্প্রতি ব্রেক্সিট চুক্তির খসড়া নিয়ে একমত হন। এ চুক্তিতে কিছু কঠিন এবং অস্বস্তিকর সিদ্ধান্ত আছে বলে স্বীকার করলেও জাতীয় স্বার্থের দিকে লক্ষ্য রেখেই এটি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। মে বলেন, চুক্তিতে কিছু বিষয়ে আপস করা নিয়ে কেউ কেউ অসন্তুষ্ট হয়েছেন সেটি আমি বুঝতে পারছি। কিন্তু জনগণ যার জন্য ভোট দিয়েছিল এ চুক্তিতে সেটিই করা হয়েছে এবং তা জাতীয় স্বার্থেই হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement