২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে’ নিহতের সংখ্যা পাঁচ লক্ষাধিক

বাগদাদের নিকটবর্তী আল ফাজলে অভিযান চালানোর সময় চার দিক পর্যবেক্ষণ করছে এক মার্কিন সৈন্য :ইন্টারনেট -

যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ‘সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধে’ নিহত হয়েছে পাঁচ লাখ মানুষ। ইরাক, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে গত কয়েক বছরে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ওয়াটসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের এক গবেষণা রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়, নিহতদের সংখ্যা চার লাখ ৮০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ সাত হাজারের মধ্যে। তবে প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে বেশি হতে পারে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে সন্ত্রাসী হামলার পর বিশ্বপরিস্থিতি অনেকটাই অস্থির হয়ে পড়ে। আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়াসহ বিভিন্ন দেশে শুরু হয় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের আগ্রাসন। ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ওই রিপোর্টে বলা হয়, আমেরিকার জনগণ, গণমাধ্যম ও আইনপ্রণেতারা সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধ নিয়ে তেমন একটা মাথা ঘামায় না। নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি ইঙ্গিত দিচ্ছে এটি কমার সম্ভাবনা কম এবং যুদ্ধ দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে। এর আগে আগস্ট ২০১৬তে এ আগ্রাসনের শিকার হয়ে নিহতদের যে সংখ্যা প্রকাশ করা হয়েছিল বৃহস্পতিবারের রিপোর্টে প্রকাশিত সংখ্যাটি তার চেয়ে এক লাখ ১০ হাজার বেশি।
নিহতদের মধ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী, স্থানীয় পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনী, বেসামরিক নাগরিক, আগ্রাসী শক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর সেনাবাহিনীর সদস্যরা রয়েছে। গবেষণা রিপোর্টের লেখক নিতা ক্রাউফোর্ড বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও স্থানীয় বাহিনী যাদের সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করছে তাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। তিনি বলেন, আমরা হয়তো কোনো দিনই এসব যুদ্ধে মোট মৃতের সংখ্যা জানতে পারব না। ইরাকের মসুল ও অন্যান্য শহরের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ইসলামিক স্টেট (আইএস) সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে এসব শহর মুক্ত করতে হয়তো হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন; কিন্তু তাদের লাশ উদ্ধার করা যায়নি।
গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়, ইরাকে এক লাখ ৮২ হাজার ২৭২ থেকে দুই লাখ চার হাজার ৫৭৫ জন, আফগানিস্তানে ৩৮ হাজার ৪৮০ জন ও পাকিস্তানে ২৩ হাজার ৩৭২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। একই সময়ে ইরাক ও আফগানিস্তানে প্রায় সাত হাজার মার্কিন সেনাও প্রাণ হারিয়েছে। যুদ্ধের প্রভাবে অবকাঠামোগত ক্ষতি বা রোগসহ বিভিন্ন কারণে পরোক্ষভাবে কতজন মারা গেছেন এ গবেষণায় তা উল্লেখ করা হয়নি।

 


আরো সংবাদ



premium cement