২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাখাইনে ভয়াবহ অপরাধে দায়ীদের বিচার চায় যুক্তরাজ্য

সাত বছরের শিশু মোহাম্মাদ শোয়াইবও মিয়ানমার সেনাদের নৃশংসতার হাত থেকে রেহায় পায়নি। তার বুকে গুলি চালায় সেনারা। উদ্বাস্তু শিবির থেকে বেঁচে যাওয়া শিশুটির এ ছবি তোলা হয় : ইন্টারনেট -

মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ভয়ানক অপরাধে জড়িতদের বিচার চায় যুক্তরাজ্য। এই ইস্যুতে দেশটি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এসব তথ্য জানিয়েছেন মিয়ানমারে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েল চাগ।
ইরাবতিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের অভিজ্ঞতা, মিয়ানমার-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক, যুক্তরাজ্যের মিয়ানমার নীতি নিয়েও কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বলেন, কিছু সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের কিছু সংশ্লিষ্টতা ছিল। তবে গত বছর রাখাইনের ঘটনার পর আমরা সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছি। মিয়ানমারের সরকার থেকে সামরিক বাহিনীকে আলাদা কঠিন, কারণ তারা সরকারের অংশ।
রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েল চাগ বলেন, এই ভয়ানক অপরাধে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে কী ঘটছে তা দেখতে আমরা আগ্রহী। সামগ্রিকভাবে এটা মিয়ানমারের স্বচ্ছতা এবং আইনের শাসনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটা ভবিষ্যতে এই বার্তা দেবে যে, কোনো কিছু করে দায়মুক্তি পাওয়া যাবে না। আমরা আমাদের পদক্ষেপে পুরো ব্যবস্থাকে লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছি না। আমরা শুধু যারা দায়ী তাদেরই বিচারের মুখোমুখি করতে চাইছি। রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতিসঙ্ঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের রিপোর্টে শুধু রাখাইনের অপরাধের কথা বলা হয়নি, এতে কাচিন ও শান প্রদেশের কথাও বলা হয়েছে। এই সফরে আমি কারেন ও কারেন্নি গোষ্ঠীর মানুষদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে তাদের গোষ্ঠীর সঙ্গেও ঘটা একই ধরনের অপরাধের কথা বলেছে। এমনকি অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মধ্যে আমরা এমন এক সংস্কৃতি দেখতে পাই যাতে কিছু ব্যক্তি ভয়ানক অপরাধ করে যাচ্ছেন। কিন্তু তাদের বিচারের আওতায় আনা হয়নি। এ কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য এসব ঘটা বন্ধ করার ব্যবস্থা করতে আগ্রহী। কারণ আমাদের মতে, এসব অপরাধের দায়মুক্তি চলতে থাকলে ভবিষ্যতে একটি গণতান্ত্রিক, টেকসই ও শান্তিপূর্ণ মিয়ানমার গঠন কঠিন হবে।
রাখাইন ইস্যুতে যুক্তরাজ্য সরকারের মিয়ানমার নীতিতে কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত জানান, ঠিক কী পরিবর্তন হয়েছে তা তিনি জানেন না। তবে এই নীতি আরো জটিল ও কঠিন হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আরো জানান, গত ৩০ বছর ধরে আমাদের নীতি ছিল মিয়ানমারের গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা ও দুর্বল জনগোষ্ঠীকে সমর্থন।

 


আরো সংবাদ



premium cement